1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

যুক্তরাজ্যে আশ্রয়প্রার্থীদের রুয়ান্ডায় পাঠানোর চুক্তি

১ মে ২০২২

ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিয়ে ইংল্যান্ডে ঢোকা আশ্রয়প্রার্থীদের রুয়ান্ডায় পাঠাতে গত ১৪ এপ্রিল দুই দেশের মধ্যে একটি চুক্তি সই হয়েছে৷ মানবাধিকার সংগঠনগুলো এর সমালোচনা করেছে৷

https://p.dw.com/p/4Ag58
Flüchtlingspolitik von Großbritannien
ছবি: Muhizi Olivier/AP/picture alliance

চুক্তি অনুযায়ী ইংল্যান্ড আশ্রয়প্রার্থীদের রুয়ান্ডায় পাঠাবে৷ রুয়ান্ডার কর্তৃপক্ষ তাদের আশ্রয় আবেদন বিবেচনা করবে৷ আবেদন গৃহীত হলে সেদেশে তাদের থাকতে হবে৷

চুক্তি বাস্তবায়নে ইংল্যান্ড সর্বোচ্চ এক হাজার ৪৪৫ কোটি টাকা খরচ করবে৷

ব্রিটিশ সরকার বলছে, চুক্তির কারণে ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দেয়ার ঝুঁকি নেয়া ব্যক্তির সংখ্যা কমবে৷ এছাড়া মানবপাচারকারীদেরও ব্যবসা ক্ষতিগ্রস্ত হবে৷

জাতিসংঘসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা এমন চুক্তি সইয়ের খবরে বিস্ময় প্রকাশ করেছে এবং সবচেয়ে কঠোরভাবে এর সমালোচনা করেছে৷

চার্চ অফ ইংল্যান্ডের সবচেয়ে সিনিয়র যাজক আর্চবিশপ জাস্টিন ওয়েলবি বলেন, আশ্রয়প্রার্থীদের অন্য দেশে পাঠানো নৈতিকতার প্রশ্ন সামনে নিয়ে আসে৷ ‘‘ব্রিটেনের মতো খ্রিষ্টান মূল্যবোধের একটি দেশ আমাদের দায়িত্ব কাউকে সাব-কন্ট্রাক্ট হিসেবে দিতে পারে না,'' বলেন তিনি৷

হিউম্যান রাইটস ওয়াচের সেন্ট্রাল আফ্রিকা বিভাগের পরিচালক লুইস মাজ বলেন, ‘‘রুয়ান্ডার মানবাধিকার রেকর্ড ভয়াবহ৷ সেখানে বাকস্বাধীনতাকে সম্মান করা হয় না৷'' লুইস মাজ রুয়ান্ডায় বসবাস করেছেন৷ তিনি বলেন, আফ্রিকা মহাদেশের অন্যতম ঘনবসতিপূর্ণ দেশ রুয়ান্ডা৷ ‘‘সেখানে খুব বেশি খোলা জায়গা নেই,'' বলেন তিনি৷

২৬ হাজার ৩৩৮ বর্গকিলোমিটারের রুয়ান্ডা আফ্রিকার চতুর্থ সবচেয়ে ছোট দেশ৷ জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার হিসেবে ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে রুয়ান্ডায় এক লাখ ১৬৩ জন শরণার্থী ও আশ্রয়প্রার্থী ছিলেন৷

গতবছর তালেবান আফগানিস্তান দখল করার পর পালিয়ে যাওয়া আফগানদেরও সাময়িকভাবে আশ্রয় দিয়েছিল রুয়ান্ডা৷

সমালোচকরা বলছেন, ব্রিটেনের সঙ্গে চুক্তি সইয়ের মাধ্যমে রুয়ান্ডার প্রেসিডেন্ট পল কাগামে তার দেশকে পশ্চিমা বিশ্বের বন্ধু হিসেবে তুলে ধরতে চাইছেন৷

৬৪ বছয় বয়সি পল কাগামের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘন ও রাজনৈতিক বিরোধীদের দমনের অনেক অভিযোগ রয়েছে৷

ব্রিটেনের সঙ্গে চুক্তি নিয়ে সমালোচনা প্রসঙ্গে কাগামে বলেন, এটি ‘মানুষের ব্যবসা' নয়৷ এটি আশ্রয়প্রার্থীদের নতুন জীবন শুরুর সুযোগ দিবে বলে জানান তিনি৷

হিউম্যান রাইটস ওয়াচের লুইস মাজ জানান অন্যান্যদের দেশের সঙ্গেও রুয়ান্ডা ব্রিটেনের মতো প্রায় একই রকম চুক্তি করেছে৷ যেমন ইসরায়েল থেকে শরণার্থী বা আশ্রয়প্রার্থীদের রুয়ান্ডায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে৷

ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশ ডেনমার্কও ব্রিটেনের মতো রুয়ান্ডার সঙ্গে চুক্তি করতে আলোচনা শুরু করেছে৷

ক্রিস্পিন মুয়াকিদু/জেডএইচ