যিনি সাদাকে ‘কালো’ বলেছিলেন
যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা৷ কিন্তু তিনি ‘দ্য ফার্স্ট ব্ল্যাক প্রেসিডেন্ট’ লিখেছিলেন আরেকজনকে নিয়ে৷ নোবেলজয়ী সেই লেখক টনি মরিসন আর নেই!
তাঁর কলমসংগ্রামের অবসান
জন্ম ১৯৩১ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি, যুক্তরাষ্ট্রর ওহায়ো রাজ্যের লরানোতে৷ পরিবারে অভাব-দারিদ্র্য এতটাই ছিল যে ভাড়া না পেয়ে বাড়িতে একবার আগুন দিয়েছিলেন বাড়িওয়ালা৷ টনি মরিসনের বয়স তখন আড়াই বছর৷ দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করে হয়েছিলেন হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্র্যাজুয়েট হয়েছিলেন তিনি, হয়েছিলেন প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর এমিরেটাস৷ গত ৫ আগস্ট ছিল নশ্বর পৃথিবীতে তাঁর শেষ দিন৷
সাড়া জাগানো প্রথম উপন্যাস
দ্য ব্লুয়েস্ট আই৷ প্রকাশকাল ১৯৭০ সাল৷ স্কুলজীবনে এক শ্বেতাঙ্গ স্বর্ণকেশী নীল চোখের বান্ধবি জানতে চেয়েছিল, ‘‘তোমার চোখ তো আমাদের মতো নীল নয়৷ তুমি নিশ্চয়ই চাও এরকম সুন্দর, নীল চোখ তোমারও হোক?’’ এই প্রশ্ন কুড়িটি বছর তাড়া করেছে তাঁকে৷ ‘দ্য ব্লুয়েস্ট আই’ লিখে তার জবাবই দিয়েছিলেন নিজের মতো করে, দেখিয়েছিলেন নীল চোখ, সোনালি চুল, সাদা চামড়ার বাইরেও একটা জগৎ আছে৷
লেখার জগৎ
‘দ্য ব্লুয়েস্ট আই’-এর পর অনেক লিখেছেন, প্রকাশিত হয়েছে অনেক গ্রন্থ৷ সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ‘বিলাভেড’, ‘সং অব সলোমন’ এবং ‘টার বেবি’৷
জীবনে অনেক পুরস্কার জিতেছেন টনি মরিসন৷ ১৯৮৮ সালে ‘বিলাভেড’-এর জন্য জেতেন পুলিৎজার৷ সাহিত্যে নোবেল পান ১৯৯৩ সালে৷
নোবেল জয়
সাদা যখন ‘কালো’
পুরস্কার অনেকেই জেতেন, নোবেলজয়ীর তালিকাও কম দীর্ঘ নয়৷ তবে টনি মরিসনের অনন্য ছিলেন লেখার গুণে৷ এ পৃথিবীতে যারা কালোকে অশুভ বলেন তাদের জবাব দিতেই মনিকা লিউইনস্কি স্ক্যান্ডালে জড়ানো বিল ক্লিন্টন সম্পর্কে মন্তব্য প্রতিবেদনের শিরোনাম দিয়েছিলেন, ‘দ্য ফার্স্ট ব্ল্যাক প্রেসিডেন্ট’৷ প্রেসিডেন্টের দপ্তরে নারী কেলেঙ্কারিতে জড়ানো ব্যক্তির কলঙ্ক যদি ‘কালো’ না হয়, কার হবে বলুন!