যাত্রী নিয়ে পানিতে উড়োজাহাজ
প্রশান্ত মহাসাগরের দ্বীপ দেশ মাইক্রোনেশিয়ার একটি বিমানবন্দরের রানওয়ে সংলগ্ন হ্রদে পড়েছিল একটি যাত্রীবাহী উড়োজাহাজ৷ আশপাশের মাছ ধরার ট্রলার ও স্পিডবোট ছুটে আসায় সবাইকে জীবিত উদ্ধার করা গেছে৷
আরোহী ছিলেন ৪৭ জন
মাইক্রোনেশিয়ার চুক প্রদেশের ওয়েনে শহরের বিমানবন্দরে অবতরণের সময় সংলগ্ন হ্রদে পড়ে উড়োজাহাজটি৷ এতে যাত্রী ছিলেন ৩৬ জন, আর ক্রু ১১ জন৷
পড়েই অর্ধ নিমজ্জিত
পাপুয়া নিউগিনির এয়ার নিউগিনি এয়ারলাইন্সের উড়োজাহাজটি হ্রদে পড়েই অর্ধেক তলিয়ে যায়৷
ছুটে আসেন স্থানীয়রা
বোয়িং ৭৩৭-৮০০ উড়োজাহাজটি হ্রদে পড়ার পরপরই আশপাশের মাছ ধরার ট্রলার ও স্পিডবোট নিয়ে ছুটে আসেন স্থানীয়রা৷ আর তাতেই ঠেকানো গেছে প্রাণহানি৷
সহায়তায় ছিল ইউএস নেভি
যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনীর পাঠানো এই ছবিতে ইউএস নেভি সেইলরস ফ্রম আন্ডারওয়াটার কনস্ট্রাকশন টিম (ইউসিটি) ২ এর সদস্যদের উড়োজাহাজ থেকে যাত্রী ও নাবিকদের উদ্ধারে সহায়তা করতে দেখা যাচ্ছে৷
চারজন আশঙ্কাজনক
এ ঘটনায় উড়োজাহাজের আরোহীদের মধ্যে কেউ মারা না গেলেও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন৷ তাঁদের মধ্যে চারজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে স্থানীয় হাসপাতালের এক কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন৷
পোর্ট মরসেবির পথে ছিল
মাইক্রোনেশিয়ার পোনপেই দ্বীপ থেকে ৩৬ জন যাত্রী নিয়ে পাপুয়া নিউ গিনির রাজধানী পোর্ট মরসেবির উদ্দেশে যাত্রা করে উড়োজাহাজটি৷ পথে ওয়েনো দ্বীপে যাত্রাবিরতি করতে গিয়ে ঘটে এই দুর্ঘটনা৷
আগেই অবতরণ
এয়ার নিউগিনি এয়ারলাইন্স বলছে, বৃষ্টি ও খারাপ আবহাওয়ার মধ্যে বিমানটি রানওয়েতে পৌঁছানোর আগেই অবতরণ করে৷ এ ঘটনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে বিমানবন্দরের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন৷
ঢুকছিল পানি
উড়োজাহাজটি অবতরণের পরপরই একটি গর্ত এবং সেখান দিয়ে পানি ঢুকতে দেখেন বলে জানান বিল জেইনেস নামের একজন যাত্রী৷ ‘‘তখন বুঝতে পারলাম যেভাবে হওয়ার কথা তা হয়নি,’’ বলেন তিনি৷
বেরোনোর বেপরোয়া চেষ্টা
প্লেনের দরজা খোলার সঙ্গে সঙ্গে বিশৃঙ্খলা দেখা যায়৷ সবাই নির্দিষ্ট পথ দিয়ে বেরোতে চাইছিলেন৷ ‘‘কপাল ভালো সেখানে ২০টি নৌযান ছিল এবং আমরা সবাইকে বের করে আনতে পারি,’’ বলেন উদ্ধারকারী ও চুক স্টেট হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. জেমস ইয়াইনগেলু৷