যাঁরা তরুণ এবং তরুণ থাকতে চান
ওজন কমাতে চান অথবা পড়াশোনা মনে না থাকার সমস্যায় ভুগছেন? নাকি মনের কষ্ট কাউকে বলতে পারছেন না? আপনার এ সব সমস্যার বৈজ্ঞানিক সমাধান পাবেন এখানে৷
চোখের জল মন ভালো করে
‘কান্না মন ভালো করতে পারে’ – হ্যাঁ, এমনটাই জানিয়েছেন নেদারল্যান্ডের মনোবিজ্ঞানীরা, ‘মোটিভেশন অ্যান্ড ইমোশন’ নামের একটি ম্যাগাজিনে৷ তাঁদের করা একটি সমীক্ষায় ৬০ জন মানুষকে একটি আবেগপ্রবণ ছবি দেখানো হয়েছিল৷ দেখা যায়, তাঁদের মধ্যে ছবি দেখে মোট ২৮জন মানুষ কেঁদেছেন৷ পরে জানা যায়, যাঁরা হলে বসে কাঁদেননি তাঁদের চেয়ে যাঁরা কেদেছেন তাঁরা প্রফুল্ল ছিলেন৷
হাতে লিখলে বেশিদিন মনে থাকে
মনে রাখার জন্য কোনো তথ্য ল্যাপটপ বা কম্পিউটারের লেখার চেয়ে হাতে লিখলে বেশিদিন মনে থাকে৷ অ্যামেরিকার প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয়ের করা একটি সমীক্ষার ফলাফলে জানা যায়, ৬৫ জন অংশগ্রহণকারীর মধ্যে যাঁরা ভিডিও দেখে দেখে ল্যাপটপে নোট করেছেন, তাঁরা অনেক বেশি শব্দ লিখতে পেরেছেন৷ কিন্তু যাঁরা হাতে লিখেছেন, তাঁদের লেখা তথ্যগুলো মস্তিষ্কে ঢুকেছে আরো বেশি৷
প্রতি আধঘণ্টায় একবার উঠুন
কম্পিউটারের সামনে বেশি কাজ করতে হলে ঘনঘন চেয়ার থেকে উঠে দাঁড়িয়ে একটু নড়াচড়া করলে দারুণ ফলাফল পাওয়া যায়৷ অর্থাৎ কাজে আরো বেশি মনোযোগী হওয়া যায়৷ একটি লম্বা বিশ্রামের চেয়ে কয়েকবার ছোট ছোট বিশ্রাম অনেক বেশি ‘এফেক্টিভ’, জানিয়েছেন মার্কিন মনোবিজ্ঞানীরা৷ তবে এমন ছোট বিশ্রামগুলোতে নিজের পছন্দমতো কিছু করাই ভালো৷
ঘুমিয়ে ওজন কমান!
পরেরদিন ভোরে ওঠার তাড়া থাকা সত্ত্বেও যেসব ছাত্র-ছাত্রীরা দেরিতে ঘুমতে যায়, তারা যে শুধু সারাদিন ক্লান্ত বা অমনোযোগীই হয়, তা নয়, তারা মোটাও হয়ে যায়৷ অ্যামেরিকার ‘স্লিপ’ ম্যাগাজিনে প্রকাশিত তথ্যে এ কথা জানা গেছে৷ সমীক্ষাটি করা হয়েছিল কিছু টিন-এজারদের মধ্যে যারা কয়েক সপ্তাহ ধরে অনিয়মিতভাবে দেরিতে বিছানায় গেছে, অর্থাৎ কম ঘুমিয়েছে৷
ধীরে খেলে ওজন কমে
‘যারা ধীরে খায়, তারা সহজে মোটা হয় না৷’ – এ তথ্য জানিয়েছেন চীন এবং জাপানের একদল গবেষক৷ নয় হাজার মানুষ নিয়ে দীর্ঘ তিন বছর ধরে গবেষণা করার পর এই তথ্য জানা যায়৷ যাঁরা খাওয়ার সময় তাড়াহুড়ো করেন, তাঁরা চট করে মোটা হয়ে যান এবং শরীরে কোলেস্টরেলের মাত্রাও বেড়ে যায়৷ তাছাড়া হজমের জন্যও ধীরে খাওয়াই স্রেয়৷
প্রকৃতি মনকে প্রফুল্ল করে
প্রায় দেড় ঘন্টা ধরে ৩৮ জনের মধ্যে কিছু মানুষকে শহরে এবং বাকিদের প্রকৃতির মুক্ত বাতাসে হাঁটানো হয়৷ তারপর তাঁদের মস্তিষ্ক স্ক্যান করা হয়৷ দেখা যায়, যাঁরা শহরে হেঁটেছেন তাঁদের তুলনায় যাঁরা প্রকৃতির মুক্ত বাতাসে হেঁটেছেন তাঁদের মস্তিষ্কে ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে৷ এই তথ্য জানা গেছে অ্যামেরিকার স্ট্যান্ডফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের করা এক গবেষণার ফলাফল থেকে৷