মোহনবাগানের প্রথম শিল্ড জয় বাঙালিদের প্রেরণা দিয়েছিল
২৯ জুলাই ২০১০সব অর্থেই ঐতিহাসিক এক ঘটনা ছিল সেদিন মোহনবাগান ক্লাবের সেই শিল্ড জয়৷ সেই প্রথম শ্বেতাঙ্গদের বিরুদ্ধে দেশীয় খেলোয়াড়দের কোনও উল্লেখযোগ্য সাফল্য, যা নতুন করে উদ্বুদ্ধ করেছিল স্বদেশ চেতনা৷ ফুটবল বুট পরা ইউরোপীয় খেলোয়াড়দের বিরুদ্ধে খালি পায়ে খেলে জিতে যাওয়া এক নতুন আত্মবিশ্বাস এনে দিয়েছিল সারা দেশেই৷ সেদিন মোহনবাগান ক্লাবের সেই ১১ জন বাঙালি খেলোয়াড় হয়ে উঠেছিলেন জননায়ক৷ এতদিন শিল্ড জয়ের দিনটি, অর্থাৎ ২৯ জুলাই পালিত হয়েছে মোহনবাগান দিবস হিসেবে৷ শিল্ড জয়ের শতবর্ষে, সেই ১১ জন খেলোয়াড়ের উত্তরসূরিদের হাতে মোহনবাগান রত্ন ট্রফি তুলে দিয়ে তাঁদের শ্রদ্ধা জানাল মোহনবাগান৷ ক্লাব প্রাঙ্গণে, দলের প্রতীক পাল তোলা নৌকার আদলে তৈরি এক মঞ্চে দেওয়া হল এই সংবর্ধনা৷ এখন মোহনবাগান ক্লাবের যিনি কর্ণধার, সেই স্বপন সাধন বসু বললেন, স্বভাবসিদ্ধ উত্তেজনা ভুলে তিনিও অনেক শান্ত আছেন, কারণ ক্লাবটার নাম মোহনবাগান৷ জাতীয় ক্লাব৷ ভারতীয় ফুটবলের সূচনা করেছিল যারা, ১৯১১ সালে৷
শ্যামবাজার অঞ্চলের যে সরু গলি থেকে মোহনবাগান ক্লাবের যাত্রা শুরু, এখন যার নাম মোহনবাগান লেন, বৃহস্পতিবার সেখানেও ছিল উৎসবের মেজাজ৷ এই পাড়ার প্রবীণ বাসিন্দারা, যাঁরা অনেকেই বাংলার ফুটবলের স্বর্ণযুগের সাক্ষী, তাঁরা এখনও গর্ব বোধ করেন ভারতের একমাত্র জাতীয় ক্লাবের স্বীকৃতি পাওয়া মোহনবাগানের ইতিহাসের সঙ্গে নিজেদের যুক্ত রাখতে পেরে৷
ময়দানে গোষ্ঠ পালের মূর্তি থেকে মোহনবাগান ক্লাবের ফটক পর্যন্ত, ১৯১১ সালের শিল্ডজয়ী দলের খেলোয়াড়দের কাট আউটে সাজানো হয়েছে৷ ক্লাব তাঁবু সাজানো হয়েছে আলোয় ফুলে৷ দিনভর নানা অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছেন চিত্র তারকারা, ক্রীড়া সাংবাদিকরা, মোহনবাগানের নবীন-প্রবীণ খেলোয়াড়েরা৷ আগামী এক বছর, অর্থাৎ ২৯ জুলাই ২০১১ পর্যন্ত এই উৎসবের রেশ থাকবে৷
প্রতিবেদন: শীর্ষ বন্দ্যোপাধ্যায়
সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন