1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মোদীর কলকাতা সফরে অশান্তির আশঙ্কা

স্যমন্তক ঘোষ নতুন দিল্লি
১০ জানুয়ারি ২০২০

শনিবার কলকাতা সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। শহরের বিভিন্ন কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরাও জানিয়ে দিয়েছেন, মোদীর যাত্রা পথে বিক্ষোভ দেখানো হবে।

https://p.dw.com/p/3VzEB
ছবি: picture-alliance/AP

লোকসভা নির্বাচনের পর এই প্রথম কলকাতায় আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। শনিবার বিকেলে কলকাতায় পৌঁছে ফের রবিবার দুপুরে দিল্লি উড়ে যাওয়ার কথা তাঁর। তবে মোদীর সফর ঘিরে কলকাতায় উত্তেজনা তুঙ্গে। বিভিন্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, বিমানবন্দরে নামার পর থেকেই প্রধানমন্ত্রীকে বিক্ষোভের মুখে পড়তে হতে পারে। বিক্ষোভ যে হবে ইতিমধ্যেই গোয়েন্দা রিপোর্টে তা উল্লেখ করা হয়েছে।

শনিবার বিকেলে কলকাতা বিমানবন্দরে নামার কথা প্রধানমন্ত্রীর। সেখান থেকে সড়ক পথে ময়দান ঘুরে তাঁর যাওয়ার কথা বিবাদী বাগে পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণের একটি প্রদর্শনীর উদ্বোধনে। যেহেতু তিনি বিকেলে আসবেন, তাই কলকাতা বিমানবন্দর থেকে রেসকোর্স পর্যন্ত তাঁকে হেলিকপ্টারে নিয়ে যাওয়া সম্ভব নয় বলেই সূত্র মারফত জানা গিয়েছে। ফলে তাঁকে যেতে হবে সড়ক পথেই। আর তাতেই সমস্যা। এনআরসি, সিএএ, ছাত্রদের উপর আক্রমণ ইত্যাদি বিবিধ বিষয় নিয়ে গত প্রায় ১ মাস ধরে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে পথে নেমেছে পশ্চিমবঙ্গের শাসক দল এবং বামেরা। লাগাতার বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন ছাত্ররা। ছাত্রদের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, শনিবারও মোদীর যাত্রাপথে বিক্ষোভ দেখানো হবে। 

বাম ছাত্রদল এসএফআইয়ের কলকাতা জেলার সম্পাদক সমন্বয় রাহা ডয়চে ভেলেকে জানিয়েছেন, ''শনিবার দুপুর থেকেই শহরের পাঁচটি জায়গায় অবরোধ করা হবে। রাস্তায় বসে পড়া হবে ভারতীয় সংবিধানের প্রস্তাবনা। এরপর বিকেলে ৪টে নাগাদ এয়ারপোর্ট ১ নম্বর গেটের সামনে বিক্ষোভ কর্মসূচি আছে। সেখানে সাধারণ মানুষও আমাদের সঙ্গে যোগ দেবেন। ''

এসএফআই ছাড়াও বিভিন্ন কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ ছাত্রছাত্রীরাও ভিআইপি রোড এবং রাজভবনের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে পারেন বলে গোয়েন্দা মহলের একাংশের খবর।

পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণের অনুষ্ঠানের পর গঙ্গাবক্ষে বেলুড় মঠ যাওয়ার কথা প্রধানমন্ত্রীর। বৃহস্পতিবার থেকেই গঙ্গার দু'ধারে নিরাপত্তার দেখভাল করতে শুরু করেছে এসপিজি। শনিবার রাতে রাজভবনে বিশ্রাম নিয়ে রবিবার সকালে নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার কথা প্রধানমন্ত্রীর। সেখান থেকে রেসকোর্সে গিয়ে হেলিকপ্টারে বিমানবন্দরে এসে তাঁর দিল্লি ফেরার কথা। বিক্ষোভকারী ছাত্ররা জানিয়েছেন, শনিবারের পরে রবিবারেও প্রধানমন্ত্রীর অনুষ্ঠানস্থলের বাইরে তাঁরা বিক্ষোভ প্রদর্শন করতে পারেন।

এনআরসি, সিএএ নিয়ে গোটা দেশ জুড়েই চলছে বিক্ষোভ। জামিয়া মিলিয়া, জেএনইউয়ের ছাত্রদের উপর হামলার বিরোধিতা করে রাস্তায় নেমেছেন বলিউডের তারকারাও। ইতিমধ্যেই আসামে বিক্ষোভ এমন জায়গায় পৌঁছেছে যে দ্বিতীয়বার মোদীর আসাম সফর বাতিল করেছে প্রধানমন্ত্রীর দফতর। যদিও সরকারি ভাবে সে কথা জানানো হয়নি। তারই মধ্যে মোদীর কলকাতা সফর ঘিরে অতিরিক্ত সতর্ক পুলিশ এবং গোয়েন্দারা। 

ডয়চে ভেলের দিল্লি প্রতিনিধি স্যমন্তক ঘোষ
স্যমন্তক ঘোষ ডয়চে ভেলে, দিল্লি ব্যুরো