ছোট্ট সাম্য কাঁপাচ্ছে ফেসবুক
৩ মে ২০১৯ঘটনার শুরু ‘মোর ঘুম ঘোরে এলে মনোহর’ গানটি দিয়ে৷ মেলান্দহের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তামিম ইয়ামীনের মেয়ে লিলিথের বন্ধু হওয়ার সুবাদে সাম্যর বেশিরভাগ সময় কাটে খেলাধুলা করেই৷ মাঝেমধ্যেই আপন মনে গেয়ে ওঠে নিজের পছন্দের নানা গান৷
এমনই এক গ্রীষ্মের দিনে ইয়ামীনের মনে হয়, শুধু নিজে না শুনে ফেসবুকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা অন্য বন্ধুদেরও এই খুদে প্রতিভার সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়া উচিত৷
যেই ভাবা, সেই কাজ৷ হাতের স্মার্টফোনটি নিয়ে শুরু করলেন ফেসবুক লাইভ৷ মাইক্রোফোন হাতে নিলে যেখানে পেশাদার শিল্পিদেরও ঘাম ঝরে, সেখানে অবলীলায় বেশ কঠিন সুরের গানটি সাবলীল কণ্ঠে গেয়ে ওঠে সাম্য৷
গান গাওয়ার সময় সামনের একটি গামলায় কাঁচা আম ভর্তার প্রস্তুতি চলছিল৷ কিন্তু তাতে সাম্যর গান বা কাজ কোনোটাই একে অপরের বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি৷
ধীরে ধীরে এরপর ছড়িয়ে পরে সাম্যর এই প্রতিভা৷ অনেকেই তাঁর সুমিষ্ট কণ্ঠ ও আদুরে চেহারার ভক্ত বনে গেছেন৷ ‘ন্যাচারাল ট্যালেন্ট’ আখ্যা দিয়ে প্রশংসায় মেতেছেন অনেকে৷
২৬ এপ্রিল আপলোড করা লাইভ ভিডিওটি ৮০ হাজার বার দেখা হয়েছে, শেয়ার হয়েছে প্রায় ৯০০ বার৷ এছাড়া বিভিন্ন পেজে আপলোড করা হচ্ছে ভিডিওটি৷ সাম্যর বাসায় জাতীয় গণমাধ্যমগুলোও আসছে তার সুরেলা কণ্ঠের জাদু খুঁজতে৷
তামিম ইয়ামীন পরবর্তীতে সাম্যর বিস্তারিত পরিচয় দিয়েছেন ফেসবুকে, ‘‘মা Arjuman Mostari ও বাবা আজমত আলী'র ২য় সন্তান সাম্য৷ উপজেলা সমাজসেবা অফিস, মেলান্দহর অফিস সহকারী হিসেবে কর্মরত আছেন আজমত৷ আমাদের উপজেলা শিল্পকলা একাডেমি'র শিক্ষার্থী সাম্য গান গাওয়া, ছবি আঁকা ও নাচার পাশাপাশি পড়াশুনাও করে, এবং খুব ভালোভাবে করে৷ সে উত্তর মেলান্দহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৩য় শ্রেণির ছাত্রী৷''
তিনি লিখেছেন, ‘‘ওকে দেখতে চাইলে আপনাকে আসতে হবে জামালপুর জেলার মেলান্দহ উপজেলায়৷ আর যদি কষ্ট করে এতদূর না আসতে চান তবে কিছুদিন অপেক্ষা করুন৷ সে তার গান দিয়ে আপনাদের হৃদয়ের অন্দরে পৌঁছে যাবে৷''
বহুমুখী এ প্রতিভা যাতে হারিয়ে না যায়, সে ব্যাপারে দৃষ্টি রাখতে অনুরোধ করে মন্তব্য করেছেন অনেকে৷
এডিকে/এসিবি