1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘মেড ইন জার্মানি' ব্র্যান্ডের অজানা সব দৃষ্টান্ত

৩ জানুয়ারি ২০১৯

মার্সিডিজ, আডিডাস, ডিএইচএল – জার্মানির এই সব ব্র্যান্ড গোটা বিশ্বে পরিচিত৷ কিন্তু এমন আরও কিছু জনপ্রিয় ডিজাইনের উৎস যে জার্মানি, অনেকেই সে কথা জানেন না৷ এমন পাঁচটি ডিজাইনের বৈশিষ্ট্য তুলে ধরা যাক৷

https://p.dw.com/p/3AxWy
DW Sendung Made in Germany Lasertechnik zur Datenübertragung
ছবি: DW

পঞ্চম স্থানে ভাল্টার গ্রোপিয়ুস

অনেক ক্লাসিক ডিজাইন যে জার্মানি থেকে এসেছে, অনেকেই সে বিষয়ে সচেতন নন৷ যেমন ভাল্টার গ্রোপিয়ুস-এর নাম বাউহাউস স্থাপত্যশৈলির সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে রয়েছে৷ ১৯১৯ সালে ভাইমার শহরে তিনি এই শৈলি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, যার মূলমন্ত্রই হলো কার্যকারিতা৷ স্থপতি হিসেবে গ্রোপিয়ুস বিশ্ববিখ্যাত৷ কিন্তু তাঁর শেষ সৃষ্টিকর্ম কোনো ভবন ছিল না৷ তিনি রোজেনটাল নামের চীনামাটির বাসন কোম্পানির জন্য চায়ের কাপ-প্লেটের একটি সেট ডিজাইন করেছিলেন৷ ১৯৬৯ সাল থেকে সেই সেটের ‘টিএসি ওয়ান' কেটলি বড় আকারে উৎপাদন করা হচ্ছে৷ আজও গোটা বিশ্বে তা বিক্রি করা হয়৷

চতুর্থ স্থানে আক্সেল কুফুস

এই ক্লাসিক ডিজাইন তার অসাধারণ, অথচ সহজ গঠনের জন্য পরিচিত৷ এমন এক বইয়ের তাক, যার কোনো স্ক্রু নেই৷ বইয়ের সংখ্যা বাড়লে সেটি অনায়াসে আরও বড় করা যায়৷ এফএনপি নামের এই শেল্ফ সিস্টেমের উৎস যে জার্মানি, অনেকেই তা জানেন না৷ কোনো যন্ত্রপাতি ছাড়াই মাত্র ১৫ মিনিটের মধ্যে এই তাক গড়ে তোলা যায়৷ ১৯৮৯ সালে আক্সেল কুফুস নামের ছুতার মিস্ত্রী প্রথম শেল্ফ ডিজাইন করেন৷ তারপর থেকে তিনি ৫০ কিলোমিটারেরও বেশি দীর্ঘ শেল্ফ উৎপাদন করেছেন৷

তৃতীয় স্থানে মার্সেল ব্রয়ার

ক্লাব চেয়ার বা আরামকেদারা সাধারণত চামড়া দিয়ে ভালো করে মোড়া থাকে৷ কিন্তু ডিজাইনার হিসেবে মার্সেল ব্রয়ার প্রথাগত শৈলি ভেঙে আসবাব তৈরি করতে চেয়েছিলেন৷ ইস্পাতের পাইপসহ তাঁর তৈরি ক্লাব চেয়ার আজ শৈল্পিক নন্দনতত্বের ক্ষেত্রে এক আইকন বা প্রতীক হিসেবে বিবেচিত হয়৷ ‘বি থ্রি' নামের এই কেদারা ‘ওয়াসিলি চেয়ার' নামেও পরিচিত৷ সাধারণ মানুষের ব্যবহারের উপযোগী করেই এটি ডিজাইন করা হয়েছে৷ তবে শুরু থেকেই এই চেয়ারের দাম কিন্তু অনেকেরই ধরাছোঁয়ার বাইরে৷

দ্বিতীয় স্থানে ভিলহেল্ম ভাগেনফেল্ড

এই বাতি নিউ ইয়র্কের বিখ্যাত মিউজিয়াম অফ মডার্ন আর্টেও শোভা পাচ্ছে৷ বোদ্ধারা বলেন, এর বৈশিষ্ট্য হলো এই যে, এর আদৌ কোনো বৈশিষ্ট্যই নেই! জার্মানির রৌপ্যশিল্পী ভিলহেল্ম ভাগেনফেল্ড ‘ডাব্লিউজি টোয়েন্টিফোর' নামের এই টেবিল ল্যাম্প ডিজাইন করেছিলেন৷ প্রথমে মাত্র ৫০টি ল্যাম্প তৈরি হয়েছিল৷ বাজারেও তেমন সাড়া পড়ে নি৷ তারপর ১৯৮০ সালে মূল ডিজাইনে কিছু রদবদল ঘটানোর পর গোটা বিশ্বে এই বাতির বিপুল চাহিদা দেখা যায়৷

প্রথম স্থানে টোনেট চেয়ার

ভিয়েনার কফিহাউসের এই ক্লাসিক চেয়ার সবচেয়ে বেশি নকল করা হয়৷ জার্মানির হেসে রাজ্যের ফ্রাংকেনব্যার্গ শহরে এই নিয়ে পঞ্চম প্রজন্মের মিস্ত্রীরা এটি তৈরি করছেন৷ এই ডিজাইন যে জার্মানিতে তৈরি, তা কি সবাই জানে? ‘টোনেট চেয়ার নম্বর ১৪' সেই ১৮৫৯ সালেই ডিজাইনের ক্ষেত্রে বিপ্লব এনেছিল৷ কারণ চেয়ার তৈরি করতে তখন প্রথমবার কাঠ বাঁকানো হয়েছিল৷ বিচ গাছের কাঠ প্রায় পাঁচ ঘণ্টা ধরে বাষ্পের সংস্পর্শে এনে নরম করা হয়৷ এখনো পর্যন্ত কোম্পানি সেই প্রক্রিয়ায় কোনো রদবদল করেনি৷

মাইকে ক্র্যুগার/এসবি

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য