1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মেট্রোরেল খুলে দিল বাংলাদেশের নতুন দুয়ার

২৮ ডিসেম্বর ২০২২

রাজধানীর চিরচেনা যানজট এড়াতে সাড়ে ছয় বছর আগে উত্তরায় দেশের প্রথম মেট্রোরেলের নির্মাণকাজ শুরু হয়েছিল, ২০২২ সালের শেষে এসে আজ উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে তা পরিণতি পেল৷

https://p.dw.com/p/4LTQE
ছবি: Mamunur Rashid/NurPhoto/picture alliance

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বুধবার দেশের প্রথম এ বৈদ্যুতিক গণপরিবহনের উদ্বোধন করেন, যার মধ্যে দিয়ে নতুন যুগে প্রবেশ করল বাংলাদেশ৷

বেলা ১১টায় দিয়াবাড়ি খেলার মাঠে তৈরি উদ্বোধনী মঞ্চে মেট্রোরেলের ফলক উন্মোচন করেন সরকারপ্রধান৷  এরপর বায়তুর মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ মিজানুর রহমান মোনাজাত করেন৷

মঞ্চে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ রেহানা, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, ঢাকা উত্তরের মেয়র আতিকুল ইসলাম, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি বেগম রওশন আরা মান্নান, স্থানীয় সংসদ সদস্য হাবীব আহসান, সচিব এ বিএম আমিনুল্লা নূরী, প্রকল্প পরিচালক আফতাব উদ্দিন এবং ডিএমসিটিএল এর এমডি এম এ এন ছিদ্দিক৷

শুরুতে উত্তরা থেকে আগারগাঁওপর্যন্ত ৯টি স্টেশন চলাচলের জন্য খুলে দিয়েছে সরকার৷ বুধবার উদ্বোধন হলেও সাধারণ মানুষ স্বপ্নের এই রেলে চড়তে পারবেন পরদিন বৃহস্পতিবার থেকে৷ যাত্রীদের নির্দিষ্ট নিয়মকানুন মেনে মেট্রোরেলে সুশৃঙ্খলভাবে চড়তে হবে৷

মেট্রোরেলের প্রতি কিলোমিটারে জন্য ৫ টাকা এবং সর্বনিম্ন ২০ টাকা ভাড়া নির্ধারণ করেছে সরকার৷ সেই হিসাবে দিয়াবাড়ির উত্তরা উত্তর স্টেশন থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত প্রত্যেক যাত্রীকে গুণতে হবে ৬০ টাকা করে৷

বিশ্বের অর্ধশতাধিক দেশে ইতোমধ্যে মানুষকে মেট্রোরেলে সেবা দেওয়া হচ্ছে৷ কেবল চীনেই ৪৬টি মেট্রো সিস্টেম রয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতে রয়েছে ১৫টি করে৷ অবশেষে বাংলাদেশও সেই ক্লাবে যোগ দিয়েছে৷

২০১৬ সালে ২৬ জুন এমআরটি-৬ প্রকল্পের নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা৷ দীর্ঘ পথ পরিক্রমা পেরিয়ে সাড়ে ছয় বছর পর তিনিই এ নতুন বাহন উদ্বোধন করলেন৷

৩৩ হাজার ৪৭১ কোটি ৯৯ লাখ টাকা ব্যয়ে উত্তরা থেকে কমলাপুর পর্যন্ত ২১ দশমিক ১৬ কিলোমিটার দীর্ঘ এই মেট্রোরেল নির্মাণের কাজ চলছে জাপানের উন্নয়ন সংস্থা জাইকার সহযোগিতায়৷ উত্তরা থেকে কমলাপুর পর্যন্ত এই লাইনের নাম দেওয়া হয়েছে এমআরটি-৬৷

সূচি ধরে পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা গেলে ২০৩০ সাল নাগাদ ঢাকা যানজটের যন্ত্রণা অনেকটাই লাঘব হবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের৷

এনএস/কেএম (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)