মেট্রোরেল খুলে দিল বাংলাদেশের নতুন দুয়ার
২৮ ডিসেম্বর ২০২২প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বুধবার দেশের প্রথম এ বৈদ্যুতিক গণপরিবহনের উদ্বোধন করেন, যার মধ্যে দিয়ে নতুন যুগে প্রবেশ করল বাংলাদেশ৷
বেলা ১১টায় দিয়াবাড়ি খেলার মাঠে তৈরি উদ্বোধনী মঞ্চে মেট্রোরেলের ফলক উন্মোচন করেন সরকারপ্রধান৷ এরপর বায়তুর মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ মিজানুর রহমান মোনাজাত করেন৷
মঞ্চে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ রেহানা, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, ঢাকা উত্তরের মেয়র আতিকুল ইসলাম, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি বেগম রওশন আরা মান্নান, স্থানীয় সংসদ সদস্য হাবীব আহসান, সচিব এ বিএম আমিনুল্লা নূরী, প্রকল্প পরিচালক আফতাব উদ্দিন এবং ডিএমসিটিএল এর এমডি এম এ এন ছিদ্দিক৷
শুরুতে উত্তরা থেকে আগারগাঁওপর্যন্ত ৯টি স্টেশন চলাচলের জন্য খুলে দিয়েছে সরকার৷ বুধবার উদ্বোধন হলেও সাধারণ মানুষ স্বপ্নের এই রেলে চড়তে পারবেন পরদিন বৃহস্পতিবার থেকে৷ যাত্রীদের নির্দিষ্ট নিয়মকানুন মেনে মেট্রোরেলে সুশৃঙ্খলভাবে চড়তে হবে৷
মেট্রোরেলের প্রতি কিলোমিটারে জন্য ৫ টাকা এবং সর্বনিম্ন ২০ টাকা ভাড়া নির্ধারণ করেছে সরকার৷ সেই হিসাবে দিয়াবাড়ির উত্তরা উত্তর স্টেশন থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত প্রত্যেক যাত্রীকে গুণতে হবে ৬০ টাকা করে৷
বিশ্বের অর্ধশতাধিক দেশে ইতোমধ্যে মানুষকে মেট্রোরেলে সেবা দেওয়া হচ্ছে৷ কেবল চীনেই ৪৬টি মেট্রো সিস্টেম রয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতে রয়েছে ১৫টি করে৷ অবশেষে বাংলাদেশও সেই ক্লাবে যোগ দিয়েছে৷
২০১৬ সালে ২৬ জুন এমআরটি-৬ প্রকল্পের নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা৷ দীর্ঘ পথ পরিক্রমা পেরিয়ে সাড়ে ছয় বছর পর তিনিই এ নতুন বাহন উদ্বোধন করলেন৷
৩৩ হাজার ৪৭১ কোটি ৯৯ লাখ টাকা ব্যয়ে উত্তরা থেকে কমলাপুর পর্যন্ত ২১ দশমিক ১৬ কিলোমিটার দীর্ঘ এই মেট্রোরেল নির্মাণের কাজ চলছে জাপানের উন্নয়ন সংস্থা জাইকার সহযোগিতায়৷ উত্তরা থেকে কমলাপুর পর্যন্ত এই লাইনের নাম দেওয়া হয়েছে এমআরটি-৬৷
সূচি ধরে পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা গেলে ২০৩০ সাল নাগাদ ঢাকা যানজটের যন্ত্রণা অনেকটাই লাঘব হবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের৷
এনএস/কেএম (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)