মৃত্যুর আগে বন্ধুর কাছ থেকেই মাদক পেতেন অ্যানা
৭ আগস্ট ২০১০গত ২০০৭ সালের ৮ই ফেব্রুয়ারি ফ্লোরিডার একটি হোটেলের কক্ষে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায় সাবেক প্লেবয় মডেল অ্যানা নিকোল স্মিথকে৷ তাঁর এই হঠাৎ মৃত্যু ছিল সকলের কাছেই অপ্রত্যাশিত৷ এরপর থেকে চলছে এই মৃত্যু নিয়ে তদন্ত৷ তাঁর মৃত্যুর পেছনে অতিরিক্ত মাদক নেওয়া দায়ী বলে জানা যায়৷ এই মাদক সরবরাহের জন্য তাঁর ছেলেবন্ধু হাওয়ার্ড স্টার্ন এবং দুই চিকিৎসক ক্রিস্টিন এরোসেভিচ ও সন্দিপ কাপুরের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ আনা হয়৷
শুক্রবার আদালতে এই মামলায় সাক্ষ্য দেন অ্যানার সেসময়কার দেহরক্ষী মরিস ব্রাইটহাউপট৷ তাঁর বক্তব্য থেকে জানা যায়, নিয়মিত কড়া ডোজের ওষুধ নিতেন মডেল অ্যানা নিকোল স্মিথ৷ মরিসের ভাষায়, ‘প্রথমে তিনি এটা চাইতেন, যদি না দেওয়া হতো, তাহলে মাদকাসক্তদের মত পীড়াপীড়ি শুরু করতেন৷' তিনি জানান, মারা যাওয়ার বছর খানেক আগে থেকেই কড়া ডোজের ওষুধে আসক্ত হয়ে পড়েন যুক্তরাষ্ট্রের মডেল তারকা অ্যানা৷ এইসময় মরিস একাধিকবার হাওয়ার্ড স্টার্নকে দেখেছেন অ্যানাকে সিরিঞ্জের মাধ্যমে মাদক দিতে৷ এছাড়া একজন চিকিৎসককেও তিনি দেখেছেন অ্যানাকে কড়া মাত্রার ওষুধ এনে দিতে৷
কিন্তু কেন এই সুপার মডেল আসক্ত হয়ে পড়েছিলেন? মরিস জানান, ২০০৬ সালে অ্যানার ছেলে মারা যাওয়ার পর থেকে তিনি অত্যন্ত হতাশায় ভুগতে থাকেন৷ বিষন্নতায় ভুগতে ভুগতে একসময় তিনি মাদক নেওয়া শুরু করেন৷ প্রতিদিন অ্যানা একবারে ২০টি করে ট্যাবলেট গিলতেন এবং ১২ ঘন্টার বেশি সময় ঘুমাতেন বলে জানিয়েছেন দেহরক্ষী মরিস ব্রাইটহাউপট৷
প্রতিবেদন: রিয়াজুল ইসলাম
সম্পাদনা: জাহিদুল হক