বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড
২২ সেপ্টেম্বর ২০১৫সম্প্রতি বিএনপি-জামাত জোট সরকারের সময় পরিচালিত ‘অপারেশন ক্লিন হার্ট' অভিযানের দায়মুক্তিকে অবৈধ ও অসাংবিধানিক বলে ঘোষণা করে হাইকোর্ট৷ এ প্রসঙ্গে ডয়চে ভেলেকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে আইন ও সালিশ কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক অ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল বলেন, ‘‘শুধু অপারেশন ক্লিন হার্টের সময় নয়, যে-কোনো বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডই অবৈধ৷ এখনো যেসব বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড ঘটছে সেগুলোও অবৈধ৷ আমরা হাজারবার বলছি যে, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড ঘটা উচিত নয়৷ এটা ঘটতে দেয়াও উচিত নয়৷ একটি গণতান্ত্রিক দেশে এভাবে চলতে পারে না৷ এর একটা শেষ হওয়া উচিত৷ আমরা এর অব্যাহত প্রতিবাদ করছি৷ আমার মতে, সরকারকে এ ব্যাপারে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে৷ এখানে বিন্দুমাত্র ছাড় দেয়ার কোনো সুযোগও নেই৷''
২০০৪ সালে র্যাব প্রতিষ্ঠার পর থেকেই বাংলাদেশে ক্রসফায়ারের বিষয়টি আলোচনায় আসে৷ এরপর র্যাব ছাড়াও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অন্যান্য ইউনিটের বিরুদ্ধেও ক্রসফায়ারের অভিযোগ বাড়তে থাকে৷ র্যাব-এর ‘বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড' নিয়ে বারবার সরকারকে বিপাকে পড়তে হয়েছে৷ আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলো একাধিকবার র্যাব-এর কার্যক্রম বন্ধ অথবা পুনর্গঠনের দাবি জানিয়েছে৷ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও র্যাব-এর এই ধরণের কর্মকাণ্ড বন্ধের কথা বলেছে, তবে তাতে তেমন কাজ হচ্ছে না৷
আইন ও সালিশ কেন্দ্রের আরেক কর্মকর্তা নূর খান বলেন, ‘‘কোনো ক্রসফায়ারই গ্রহণযোগ্য নয়, এমনকি সে যদি মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিও হয়৷ ক্রসফায়ারের মাধ্যমে কোনো অপরাধীকে হত্যা করার আইন বা অধিকার আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর নেই৷ তাহলে তো দেশে আর বিচারব্যবস্থা বলে কিছু থাকে না৷''
নূর খানের এই বক্তব্যের সঙ্গে কি আপনি একমত? জানান নীচে মন্তব্যের ঘরে৷