মুম্বইতে ঝড়ে পেট্রোল পাম্পে বিলবোর্ড আছড়ে পড়ে মৃত ১৪
১৪ মে ২০২৪মুম্বইয়ের ঘাটকোপার এলাকায় একটি পেট্রোল পাম্পের উল্টোদিকে ছিল ওই বিলবোর্ডটি। প্রবল ঝড়ে তা উড়ে গিয়ে আছড়ে পড়ে পাম্পের উপর। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, বেশ কয়েকটি গাড়ির ছাদ চিড়ে দিয়ে আছাড় খেয়ে পড়েছে বিলবোর্ডটি। বিলবোর্ড ৭০ মিটার চওড়া ও ৫০ মিটার লম্বা ছিল।
ঘটনাস্থলে এখনো উদ্ধারকাজ চলছে। এনডিআরএফ দুইটি দল পাঠিয়েছে। দমকলের কর্মীরা কাজ করছেন। অন্য তদন্তকারী দলও সেখানে আছে। এনডিআরএফের ইন্সপেক্টর গৌরব চৌহান বলেছেন, ''পোট্রোল পাম্প বলে খুব সাবধানে কাজ করতে হচ্ছে। সেজন্য হোর্ডিংয়ের নিচে যারা চাপা পড়ে আছেন, তাদের উদ্ধার করতে কিছুটা সময় লাগছে।''
মহারাষ্ট্রের উপ-মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিস বলেছেন, ''ঘটনার উচ্চপর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।''
মুম্বই সরকারের পুলিশ হাউসিং বিভাগের পুলিশ ওয়েলফেয়ার কর্পোরেশনের লিজ দেয়া এলাকায় হোর্ডিংটি লাগানো হয়েছিল। এরকম আরো তিনটি হোর্ডিং ওখানে একটি বিজ্ঞাপনসংস্থা লাগিয়েছে। মুম্বই পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে।
ওই বিজ্ঞাপন সংস্থাকে পুলিশের অ্যাসিস্টেন্ট কমিশনার(রেলওয়েজ) হোর্ডিং লাগানোর অনুমতি দিলেও পুরসভার কাছ থেকে কোনো এনওসি নেয়া হয়নি বলে এনডিটিভির রিপোর্ট জানাচ্ছে। বিএমসি এখন পুলিশের এসিপি-কে নোটিশ দিয়েছে। তারা বলেছে, পুলিশের অনুমতিক্রমে যে সব হোর্ডিং লাগানো হয়েছে, সব যেন অবিলম্বে খুলে নেয়া হয়।
মুম্বইয়ে সোমবার সন্ধ্যায় হঠাৎ প্রবল ধুলোর ঝড় শুরু হয়। রেল ও বিমান চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ হয়ে যায়। কারণ,. সেসময় দৃশ্যমানতা ছিল খুবই কম। ঝড়ের পর বৃষ্টি শুরু হয়।
এই অসময়ের ঝড়-বৃষ্টিতে প্রবল গরমের হাত থেকে মুম্বইবাসী কিছুটা স্বস্তি পেয়েছেন ঠিকই, কিন্তু বিল বোর্ড দুর্ঘটনায় এতজনের মৃত্যুতে শহরে শোকের ছায়া নেমেছে। বেশ কিছু প্রশ্নও উঠছে।
মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে বলেছেন, তার সরকার শহরের সব হোর্ডিংয়ের স্ট্রাকচারাল অডিট করবে। যে সব হোর্ডিং বেআইনি ও ভয়ংকরভাবে লাগানো, তা সরিয়ে দেয়া হবে। শিন্ডে বলেছেন, ''এই দুর্ঘটনার পিছনে যাদের গাফিলতি কাজ করছে, তাদের শাস্তি দেয়া হবে।''
জিএইচ/এসজি(পিটিআই, এপি, এএফপি, এনডিটিভি)