মুক্তি পেল হিন্দি হাসির ছবি ‘তেরে বিন লাদেন’
১৬ জুলাই ২০১০প্রথম দিনে দর্শকদের ভিড় বলে দিচ্ছে বক্স অফিসের আনুকুল্য পেতে দেরি নেই৷
স্যাটায়ার ধর্মী এক নতুন ধরণের হিন্দি কমেডি ফিল্ম৷ কাহিনী ও চিত্রনাট্যের প্রতি পরতে নির্ভেজাল হাসি আর মজার খোরাক৷ যদিও ছবির পরিচালক, টেকনিশিয়ান থেকে কুশীলব সবাই নতুন৷ স্টোরিলাইনটা এই রকম: আলি এক উচ্চাকাঙ্খী তরুণ রিপোর্টার৷ কাজ করেন এক টিভি নিউজ চ্যানেলে৷ আরো বড় কিছু সে করতে চায়৷ সে মার্কিন মুলুকে পাড়ি দিতে মরিয়া৷ ভাগ্য খারাপ৷ বার বার তাঁর ভিসা নামঞ্জুর হয়৷ হঠাৎ মাথায় তাঁর অন্য বুদ্ধি খেলে৷ নকল ওসামা বিন লাদেনের ওপর বানায় এক ভিডিও ফিল্ম৷ খুঁজে পায় ওসামার চেহারার সঙ্গে হুবহু মিল থাকা নুরাকে৷ ওসামার ক্লোন বেচারি নুরা পেশায় মুরগি বিক্রেতা৷ কাহিনির নায়ক আলি মনে করে এই ভিডিও ফিল্মই হবে তাঁর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যাবার টিকিট৷ ফাটাফাটি স্কুপ নিউজ হিসেবে সে বিক্রি করবে টিভি চ্যানেলকে৷ নানা ঘটনার মধ্য দিয়ে শেষে জড়িয়ে পড়ে হোয়াইট হাউসও৷ আলিকে পাকড়াও করতে পাঠানো হয় সিক্রেট সার্ভিসকে৷ অবশেষে সব ভেস্তে যায়৷
‘তেরে বিন লাদেন' মুক্তির আগে এক সংবাদ সম্মেলনে ছবির নায়ক পাকিস্তানের তরুণ গায়ক তথা অভিনেতা আলি জাফর বলেন, আমার জন্য ফিল্মের চরিত্রটা এক অসাধারণ অভিজ্ঞতা৷ পরিচালক কাহিনীর সঙ্গে চরিত্রটাকে অত্যন্ত ইন্টারেস্টিংভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন৷ দর্শকদের মনোরঞ্জন হবে ষোলআনা৷ দর্শক এবং মিডিয়া থেকে যে ফীডব্যাক্ ইতিমধ্যেই পাওয়া গেছে, তার জন্য আমরা কৃতজ্ঞ৷ জর্জ বুশ সম্পর্কে পরিচালক অভিষেক শর্মার সরস মন্তব্য, আমি নিশ্চিত, রসিক জর্জ বুশ নিজেকে এই ছবিতে খুঁজে পাবেন৷ শঙ্কর মহাদেবনের সঙ্গীত ছবির অন্য আকর্ষণ৷
ছবির বিতর্কিত নাম নিয়ে পাকিস্তান খুব স্পর্শকাতর, পাছে আসল ওসামার সাঙ্গো পাঙ্গোরা হামলা চালায়৷ তাই শেষমেশ লাদেন নামটি বাদ দিয়ে ছবিটি দেখানোর অনুমতি দেন পাকিস্তান কর্তৃপক্ষ৷
প্রতিবেদন: অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুনদিল্লি
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক