1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মিয়ানমারে সেনার জুলুম, নিন্দা অ্যামেরিকার

১০ ফেব্রুয়ারি ২০২১

বিক্ষোভকারীদের কড়া হাতে দমন করছে মিয়ানমারের পুলিশ। নিন্দা করল অ্যামেরিকা এবং জাতিসংঘ। 

https://p.dw.com/p/3p8mw
মিয়ানমার
ছবি: REUTERS

মিয়ানমারে সেনা অভ্যুত্থানের পর দেশ জুড়ে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। সোম এবং মঙ্গলবারের বিক্ষোভে পুলিশ রবার বুলেট এবং কাঁদানে গ্যাস ব্যবহার করে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করেছে। বহু প্রতিবাদকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আহত অসংখ্য। মঙ্গলবার অ্যামেরিকা এবং জাতিসংঘ পুলিশের ব্যবহারের তীব্র নিন্দা করেছে। মিয়ানমারে যাতে দ্রুত গণতন্ত্র পুনর্প্রতিষ্ঠিত হয়, তার জন্য সব রকম ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়েছে বিবৃতিতে। তবে মিয়ানমারের সেনা আপাতত মত পরিবর্তন করার কোনো ইঙ্গিত দেয়নি।

সেনা মিয়ানমারের শাসন ক্ষমতা দখল করে নেওয়ার পরে অং সান সু চি থেকে শুরু করে দেশের সমস্ত নেতা-মন্ত্রীদের গ্রেপ্তার করেছে নিরাপত্তাকর্মীরা। যার বিরুদ্ধে গোটা দেশ জুড়ে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। গণতন্ত্রপন্থিদের বক্তব্য, তাঁরা সেনা শাসন চান না। গণতান্ত্রিক সরকার চান। কিন্তু সেনার বক্তব্য, শেষ নির্বাচনে কারচুপি করে শাসন ক্ষমতা দখল করেছেন সু চি। সে কারণেই সেনা বিদ্রোহ করতে বাধ্য হয়েছে। সেনা আশ্বাস দিয়ে বলেছে, এক বছর তারা মিয়ানমার শাসন করবে। তারপর ফের গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে সরকার তৈরির ব্যবস্থা করা হবে।

কিন্তু সাধারণ মানুষ সেনার এই আশ্বাস মানতে নারাজ। অনেকেরই বক্তব্য, এর আগেও এ ভাবেই সেনা শাসনক্ষমতা দখল করে বছরের পর বছর শাসন করেছে। গণতান্ত্রিক নির্বাচনকে পাত্তাই দেয়নি। এবারও সেই একই ঘটনা ঘটতে দিতে চান না জনগণ।

দেশের বিভিন্ন প্রান্তে প্রায় প্রতিদিনই ছোটবড় বিক্ষোভ হচ্ছে। তবে সেনা জানিয়ে দিয়েছে, আপাতত জমায়েত করা যাবে না। বিক্ষোভও দেখা যাবে না। ফলে বিক্ষোভকারীদের উপর হামলা চালাচ্ছে পুলিশ। রবার বুলেট, কাঁদানে গ্যাস ব্যবহার করে বিক্ষোভকারীদের সরানোর চেষ্টা চলছে। বহু বিক্ষোভকারী আহত হয়েছেন। বহু মানুষকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

মঙ্গলবার অ্যামেরিকার বিদেশ মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নেড প্রাইস বলেন, ''মিয়ানমারে গণতান্ত্রিক সরকার ফিরিয়ে আনার আবেদন আরো একবার করছি।আমরা চাই, সেনা ক্ষমতা থেকে সরে যাক। যেভাবে সাধারণ মানুষের উপর অত্যাচার করা হচ্ছে, আমরা তারও নিন্দা করছি। সকলেরই শান্তিপূর্ণ ভাবে বিক্ষোভ দেখানোর অধিকার আছে।'' জাতিসংঘও একটি বিবৃতিতে বিক্ষোভকারীদের উপর পুলিশি অত্যাচারের নিন্দা করেছে।

অ্যামেরিকা জানিয়েছে, সেনা এভাবেই ক্ষমতা ধরে রাখলে মিয়ানমারের সেনা সরকারের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করতে বাধ্য হবে সরকার।

এসজি/জিএইচ (রয়টার্স, এপি)