মিয়ানমারে প্রথম পার্লামেন্ট অধিবেশন
৩১ জানুয়ারি ২০১১অধিবেশন প্রত্যক্ষ করার জন্যে কোন বিদেশি গণমাধ্যমকেই অনুমতি দেওয়া হয়নি৷ এমনকি নতুন পার্লামেন্ট ভবনের ছবি তোলার অনুমতিও দেওয়া হয়নি কাউকে৷
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মিয়ানমারের একজন সরকারি কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ‘‘স্থানীয় সময় সকাল ৮টা ৫৫ মিনিটে পার্লামেন্টের অধিবেশন শুরু হয়৷ সব সদস্যই অধিবেশনে যোগ দেন৷''
দুই দশকের মধ্যে শুরু হওয়া মিয়ানমারের প্রথম পার্লামেন্ট অধিবেশনে খুব স্বাভাবিকভাবেই জান্তা সরকারের সদস্যরাই প্রভাব বিস্তার করে ছিল৷ কয়েক দশক পরে গত নভেম্বরে অনুষ্ঠিত মিয়ানমারের ঐ নির্বাচনে গণতন্ত্রপন্থী নেত্রী অং সান সু চি'কে অংশগ্রহণ করতে দেওয়া হয়নি৷ ঐ নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ রয়েছে৷ নির্বাচনের আগেই চারভাগের তিনভাগ আসন সামরিক সদস্যদের জন্যে নির্ধারিত করে রাখা হয় এবং সেনাবাহিনী সমর্থিত ইউনিয়ন সলিড্যারিটি এ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি নির্বাচনে ব্যাপক বিজয় অর্জন করে৷ ১,১৫৪টি আসনের মধ্যে তারা ৮৮২টি আসনে জয়লাভের দাবি করে৷
ন্যাশনাল ডেমোক্র্যাটিক ফোর্স এনডিএফ-এর একজন আইন প্রণেতা বলেন, পার্লামেন্ট কীভাবে বসছে বা সেখানে কীভাবে কী করা হচ্ছে তা কেউ আগে থেকে জানতে পারছে না৷ সেখানে গেলে তবেই তা জানা যাবে৷
জানা গেছে, জান্তা সমর্থিত প্রথম বেসামরিক প্রেসিডেন্ট পছন্দ করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন তারা৷ মাত্র চারবছর আগে তৈরি মিয়ানমারের নতুন রাজধানী নেপিদ'তে পার্লামেন্টের অধিবেশন বসে৷ সেখানে রাস্তাঘাটে ছিল সশস্ত্র পুলিশের পাহারা৷
প্রতিবেদন: ফাহমিদা সুলতানা
সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন