মিয়ানমারের উপর নিষেধাজ্ঞা বহাল রাখার আহ্বান সু চি’র
৭ ফেব্রুয়ারি ২০১১সোমবার সু চি বলেছেন, এই নিষেধাজ্ঞায় দেশের বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর ক্ষতি হচ্ছে না, ক্ষতিগগ্রস্ত হচ্ছে সামরিক শাসকচক্র৷ মিয়ানমারের বৃহত্তম বিরোধী শক্তি ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি বা এনএলডি'র এই ঘোষণা সামরিক শাসক গোষ্ঠী এবং বিচ্ছিন্ন এই দেশটির বিশাল প্রাকৃতিক সম্পদের ব্যাপারে আগ্রহী পশ্চিমা বিনিয়োগকারীদের জন্য এক আঘাত হয়ে দেখা দেবে৷
এনএলডি'র ভাইস চেয়ারম্যান টিন উ বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, ‘‘আমরা দেখতে পেয়েছি যে, এই নিষেধাজ্ঞা কেবল শাসক গোষ্ঠীর নেতাদের এবং তাদের ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়িক সহযোগীদেরই ক্ষতি করছে, দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনমানুষের এতে কোন ক্ষতি হচ্ছে না৷'' টিন উ এ ব্যাপারে বিস্তারিত আর কিছু জানাননি৷ তবে তিনি বলেছেন, এনএলডি-র রিপোর্ট আজই প্রকাশ করা হবে৷ এই রিপোর্ট দলের নিজস্ব গবেষণা ও অর্থনীতিবিদদের সঙ্গে পরামর্শের ওপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে৷
উল্লেখ্য, এনএলডি নেত্রী সু চি দীর্ঘদিন গৃহবন্দি থাকার পর গত নভেম্বরের ১৩ তারিখ মুক্তি পান৷ তিনি পশ্চিমা দেশের আরোপিত এই নিষেধাজ্ঞাকে দশকের পর দশক ধরে চলে আসা দেশটির সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে লড়ার একটি হাতিয়ার মনে করেন৷ গৃহবন্দি থেকে মুক্ত হওয়ার পর বিভিন্ন সাক্ষাৎকার এবং বক্তব্যে এই নিষেধাজ্ঞার প্রতি তাঁর সমর্থনেরই ইঙ্গিত পাওয়া যায়৷
তবে বিশ্লেষকদের অনেকেই মনে করেন, এই নিষেধাজ্ঞা দেশটির অর্থনীতিকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে এবং মিয়ানমারের জনগণের উপরও প্রভাব ফেলছে৷ এছাড়া এই নিষেধাজ্ঞার সুযোগে সামরিক সরকার চীন এবং থাইল্যান্ডের মতো প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে ব্যবসায়িক সহযোগিতা বাড়াচ্ছে৷ ফলে এই দুই প্রতিবেশী দেশ সেখানকার মজুদ জ্বালানি ও সম্পদ দখল ও ভোগ করার সুযোগ পাচ্ছে৷
প্রতিবেদন: জান্নাতুল ফেরদৌস
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক