মিশরে সংসদ বিলুপ্ত, সেপ্টেম্বরে নির্বাচন
১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১১সরকারি টেলিভিশন সূত্রে জানা গেছে এসব তথ্য৷
নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন সরকার গঠিত না হওয়া পর্যন্ত বর্তমান মন্ত্রীরাই দায়িত্ব পালন করবেন বলেও সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে৷
এদিকে মুবারকের পতনের পর রবিবার প্রথমবারের মত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সদস্যরা বৈঠকে মিলিত হয়েছেন৷ এরপর প্রধানমন্ত্রী আহমেদ শফিক এক সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন হোসনি মুবারক এখনো মিশরেই আছেন৷ এছাড়া তিনি বলেন নিরাপত্তা ফিরিয়ে আনা এখন সরকারের প্রথম কাজ৷ এছাড়া জনগণের অধিকার ফিরিয়ে দেয়া ও দুর্নীতির বিরুদ্ধেও লড়াই করবে সরকার, বলেন প্রধানমন্ত্রী শফিক৷
মিশরের পরিস্থিতি
ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হয়ে আসছে৷ রাজধানী কায়রো আবারও ব্যস্ত হয়ে উঠছে৷ বিক্ষোভের পর প্রথমবারের মতো তাহরির চত্বর এলাকায় যান চলাচল শুরু করেছে৷ তবে এখনো বেশ কিছু বিক্ষোভকারী সেখানে অবস্থান করছেন৷
এদিকে কলংক মুছতে সকালের দিকে বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য তাহরির চত্বরে গিয়ে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে কথা বলতে চাইলে ভর্ৎসনার শিকার হন৷ কারণ বিক্ষোভের সময় পুলিশই আন্দোলনকারীদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়েছিল৷ তবে পুলিশের দাবি, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কঠোর নির্দেশের কারণেই তাঁরা বিক্ষোভের সময় জও রকম করেছিলেন৷
আন্দোলন চলার সময় কায়রোর বিখ্যাত জাদুঘর থেকে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সংগ্রহ চুরি হয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন সরকারের এক মন্ত্রী৷
ইসরায়েলের সঙ্গে যোগাযোগ
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে মিশরের ঊর্ধ্বতন সামরিক পরিষদ প্রধানের টেলিফোনে কথা হয়েছে৷ ইসরায়েলের পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে৷ উল্লেখ্য, আরব বিশ্বে একমাত্র মিশরের সঙ্গেই ইসরায়েলের একটা শান্তিচুক্তি রয়েছে৷ এবং মুবারকের সঙ্গে ইসরায়েলের বেশ ভাল সম্পর্ক ছিল৷ তাই বিক্ষোভ চলাকালীন সময়ে কী হয় সেটা নিয়ে ইসরায়েল বেশ উদ্বিগ্ন ছিল৷ পরে যখন মুবারকের পতন হয় তখন এক প্রতিক্রিয়ায় ঐ শান্তিচুক্তি মেনে চলতে মিশরের প্রতি আহ্বান জানায় ইসরায়েল৷ পরে মিশরের পক্ষ থেকে জানানো হয় যে, তারা আন্তর্জাতিক সব চুক্তি মেনে চলবে৷ এই কথায় ইসরায়েলে স্বস্তি নেমে আসে৷
প্রতিবেদন: জাহিদুল হক
সম্পাদনা: ফাহমিদা সুলতানা