1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মিশরে জনসংখ্যা সমস্যা প্রকট আকার ধারণ করেছে

জাহিদুল হক৪ জুলাই ২০০৮

মিশরে গত ২৭ বছরে জনসংখ্যা পূর্বের চেয়ে দ্বিগুন হয়ে যাওয়ায় সমস্যা প্রকট আকার ধারণ করেছে৷ এক হিসেব অনুযায়ী, মিশরে ১৯৮১ সালে যত জনসংখ্যা ছিল বর্তমানে তা প্রায় দ্বিগুন হয়ে গেছে৷

https://p.dw.com/p/EWbj
প্রেসিডেন্ট হোসনী মোবারক জনসংখ্যা সমস্যা নিয়ে চিন্তিতছবি: AP

মিশরে গত দশকে জনসংখ্যা প্রবৃদ্ধির হার ছিল প্রায় ২ শতাংশ আর প্রতি একজন মহিলা গড়ে ৩.১ জন সন্তান জন্ম দিয়ে থাকেন৷

নতুন কোনো শিশুর জন্ম দেয়ার আগে তার জন্য প্রয়োজনীয় সবকিছুর ব্যবস্থা আছে কি না চিন্তা করে দেখুন- এ ধরনের শ্লোগানের মাধ্যমে জনসংখ্যা প্রবৃদ্ধির হার কমাতে জনগণের মধ্যে সচেতনতা তৈরী করতে সরকার চেষ্টা করে যাচ্ছে৷

তবে সরকারের গ্রহণ করা পরিবার পরিকল্পনা কর্মসূচি জনগণের মধ্যে সামান্যই প্রভাব ফেলছে বলে জানা গেছে কারণ সেখানকার জনগণের ধারণা একমাত্র আল্লাহই সিদ্ধান্ত নিতে পারে যে কার ঘরে কয়টা সন্তান হবে৷

যেমন কায়রোতে টেক্সী চালান এমন একজন পাঁচ সন্তানের জনক মোহাম্মদ আহমেদকে সন্তান কম নেয়ার জন্য সরকারের আহবান সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন অসম্ভব, এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়ার জন্য আল্লাহ রয়েছেন৷

এছাড়া দেশটির পল্লী অঞ্চলে একটি বদ্ধমূল ধারণা রয়েছে যে বড় পরিবারই হলো অর্থনৈতিক শক্তির সবচেয়ে বড় মাধ্যম৷ আবার অনেক পরিবার ছেলে সন্তানের আশায় একটার পর একটা মেয়ে সন্তানের জন্ম দিয়ে থাকে৷

এদিকে মিশরে প্রাকৃতিক সম্পদের অভাবের কারণে সরকার বেশী সন্তান নেয়ার মানসিকতা পরিবর্তনের জন্য জনগণকে চাপ দিতে পারছে না বলে জানা গেছে৷

উল্লেখ্য, ইরানে ৯০ এর দশকে যেসব পরিবার বেশী সন্তান নিতো তাদের বিরুদ্ধে সরকার কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতো৷ এর ফলে সেখানে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার উল্লেখজনকভাবে কমে গিয়েছিল৷ এ ধরনের পদক্ষেপ মিশরে নেয়া হলে সেটা রাজনৈতিকভাবে বিপজ্জনক হতে পারে বলে প্রাক্তন সংসদ সদস্য মিলাদ হানা বলেছেন৷

এছাড়া মিশরে গর্ভপাত ঘটানোর ব্যাপারটি বৈধ হবার সম্ভাবনা নে‍ই যদিও তিউনিশিয়া গর্ভপাত বৈধ করে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার উল্লেখজনকভাবে কমিয়েছে৷ ইরানের মতো ভ্যাসেক্টমির কথাও মিশরে শোনা যায় না৷

হানা বলেন মিশর এমন একটি দেশ যেখানে জনসংখ্যা কমানোর ব্যাপারে সরকারের নাগরিকদের শুধু আহবান জানানো ছাড়া আর কিছু করার নেই৷

তিনি বলেন জনসংখ্যা বিষ্ফোরণ মারাত্মক আকার ধারণ করেছে৷ সরকার জানে না কিভাবে তা মোকাবেলা করতে হবে৷

প্রেসিডেন্ট হোসনী মোবারক জনসংখ্যা নিয়ে আয়োজিত সরকারী এক সম্মেলনে বলেছেন জনসংখ্যার প্রবৃদ্ধি কমানোটা খুব জরুরী হয়ে পড়েছে৷

উল্লেখ্য, মি‌শরের জনসংখ্যার প্রতি পাঁচজনের একজন প্রতিদিন এক মার্কিন ডলারেরও কম আয় করে৷ এছাড়া বর্তমানে খাদ্য ও জ্বালানী তেলের মূল্যবৃদ্ধির কারণে সেখানে মূল্যস্ফীতির হার গত ১৯ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশী হয়েছে৷