1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মার্কিণ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হাওয়া গরম হচ্ছে

অরুণ শঙ্কর চৌধুরী৫ অক্টোবর ২০০৮

সারা পেলিন নিউ ইয়র্ক টাইম্‌স্‌-এর কল্যাণে পুরনো কাসুন্দি ঘেঁটে বার করলেন ওবামার বিরুদ্ধে৷ কিন্তু এ-পথে জিত আছে কিনা বলা শক্ত৷

https://p.dw.com/p/FURq
ছবি: picture-alliance / Newscom

আজ চিকাগোয় শিক্ষাবিজ্ঞানের অধ্যাপক উইলিয়াম আয়ার্স ষাটের দশকে ভিয়েতনাম যুদ্ধের ঘোর বিরোধী ছিলেন৷ আর ছিলেন ওয়েদারমেন নামধারী একটি জঙ্গি দলের সদস্য, যারা পেন্টাগন এবং আরো কয়েকটি সরকারী ভবনের উপর মারাত্মক বোমা আক্রমণ চালিয়েছিল৷ এই বিল আয়ার্স আবার ১৯৯৫ সালে ওবামাকে তাঁর রাজনৈতিক জীবনের প্রথম নির্বাচনে সমর্থন করেন৷

নিউ ইয়র্ক টাইম্‌স্‌ এ-সব তথ্য প্রকাশ করার পরই শনিবার সারা পেলিনকে কলোরাডোর ঈগলউডে বলতে শোনা যায়, যে ওবামা সন্ত্রাসবাদীদের সঙ্গে দহরম-মহরম করে থাকেন৷ জো বাইডেনের সঙ্গে ভাইস প্রেসিডেন্সিয়াল বিতর্ক ভালোভাবে সামলানোর পর পেলিনের সাহস এবং আত্মবিশ্বাস যতোই বেড়ে থাক না কেন, ওবামার চরিত্রের উপর এরকম সরাসরি আক্রমণের আগে তিনি যে ম্যাককেনের প্রচার অভিযানের মাথাদের সঙ্গে আলোচনা করেননি, এমন হতেই পারে না৷ বিশেষ করে ঐ মাথারাই যখন আগেভাগে ঘোষণা করেছেন, যে এবার রিপাবলিকান প্রচার অভিযান আর কাউকে রেয়াত করবে না৷

বাস্তব পরিস্থিতি

ম্যাককেন আপাততঃ বিভিন্ন জাতীয় জনমত সমীক্ষায় ওবামার চেয়ে নয় শতাংশ পেছিয়ে৷ ভোটারদের কাছে সারা পেলিনের নবীনতা, অভিনবত্ব এবং আকর্ষণ কমছে৷ মিচিগানের মতো তথাকথিত রণক্ষেত্র রাজ্য ম্যাককেনের প্রায় হাতছাড়া৷ ভার্জিনিয়ার মতো রিপাবলিকান ঘাঁটিতে বিপুল অর্থব্যয়ে ওবামার অভিযান চলেছে৷ ওহাইও, পেনসিলভানিয়া এবং ফ্লোরিডার মতো সুইং রাজ্যগুলিও ওবামার দিকে ঝুঁকছে৷

মাভেরিক এবং ওয়ার হিরো হিসেবে ম্যাককেন যে ব্যক্তিত্ব-ভিত্তিক নির্বাচনী প্রচার অভিযান চালাতে চেয়েছিলেন, নানা বাধায় তা সম্ভব হয়নি, যেমন যুক্তরাষ্ট্রের চলতি অর্থসঙ্কট৷ ওদিকে সময় ফুরিয়ে আসছে৷ কাজেই ম্যাককেনের ক্যাম্পেইন ম্যানেজাররা কিছুটা নিরুপায় হয়েই এই শেষ স্ট্র্যাটেজীটা বার করেছেন, যে ওবামাকে লিবারাল বা উদারপন্থী হিসেবে দেখাতে হবে৷ মনে রাখতে হবে, যে আমেরিকার রক্ষণশীলদের, এমনকি সহজ, সাধারণ, দেশপ্রেমিক মানুষদের কাছেও বিশেষণটি নেতিবাচক হতে পারে৷

আগামীতে

বিল আয়ার্সেই ব্যাপারটা শেষ হবে না৷ আবার উঠবে ওবামার অতীতের নানা সমর্থক, সহযাত্রীদের প্রসঙ্গ, যেমন চিকাগোর জুয়াচোর টোনি রেজ়কো, কিংবা ওবামার প্রাক্তন যাজক রেভারেন্ড জেরেমিয়া রাইটের কথা৷ ম্যাককেন ক্যামপেইন শ্বেতাঙ্গ-কৃষ্ণাঙ্গ ভেদাভেদের পথ না মাড়ালেও রক্ষণশীলদের দক্ষিণ প্রান্তে সে-ধরণের চরিত্রেরা ইতিমধ্যেই ইন্টারনেটে সক্রিয়৷

ওবামা তরফের জবাব হল পূর্বাপর এই, যে ম্যাককেন বুশের ক্লোন ছাড়া আর কিছু নন৷ যেমন হিলারি ক্লিন্টন এই শনিবারেই ম্যাককেনকে বুশের নকল বলে অভিহিত করেছেন৷ ওবামা হেল্থ কেয়ার, বা স্বাস্থ্য বীমা কি চিকিত্‌সার খরচের ক্ষেত্রে ম্যাককেনের পরিকল্পনাকে জনসাধারণের কাছে অসামাজিক বলে পরিবেশন করছেন৷ এছাড়া চলতি অর্থসঙ্কটেও তিনি ম্যাককেনের চেয়ে কিছু বেশী বা কম না করলেও, তাঁকেই যেন বেশী যোগ্য এবং ঠান্ডা মাথার বলে মনে হয়েছে৷

এবং এই সব নিয়েই তো মার্কিণ নির্বাচন৷