‘মানবাধিকার সংগঠনগুলো কি শুধু সন্ত্রাসীদের জন্যই?’
২৭ জানুয়ারি ২০১১দেশে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে কোন বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড হচ্ছে না বলে আবারো দাবি করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন৷ বুধবার সচিবালয়ে আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ দাবি করেন৷ দৈনিক জনকণ্ঠ, ইত্তেফাক, যুগান্তর, ডেইলি স্টার, নিউএইজসহ সকল পত্রিকাতেই বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এমন দাবিকে৷ পত্রিকাগুলো লিখেছে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘‘আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী কোন সন্ত্রাসীকে ধরতে গেলে সন্ত্রাসীর সহযোগীরা তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়ে৷ এক্ষেত্রে তারা কি গুলি খাবে? আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীও নিজেদের বাঁচাতে গুলি ছুঁড়ে৷'' মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ মঙ্গলবার প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানিয়েছে, বাংলাদেশে পুলিশও ব়্যাবের পথ অনুসরণ করে বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড ঘটাচ্ছে৷ এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘‘অনেকে অনেক কথা বলছে৷ তবে দুঃখ হয় সড়ক দুর্ঘটনায় মানুষ মারা গেলে কিংবা সন্ত্রাসীদের হাতে পুলিশ মারা গেলে কোথায় থাকে এসব মানবাধিকার সংগঠনগুলো৷ তারা কি শুধু সন্ত্রাসীদের জন্যই?''
দুই আসনে উপনির্বাচন এবং ১২ পৌরসভায় নির্বাচন
দুটি সংসদীয় আসনে উপনির্বাচন এবং ১২ পৌরসভায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে আজ৷ আজকের প্রায় সব পত্র-পত্রিকার প্রধান খবর হয়েছে নির্বাচনের খবর৷ এতে বলা হয়, প্রধান বিরোধী দল বিএনপি দাবি জানালেও সরকার সাড়া না দেয়ায় নির্বাচনি এলাকাগুলোতে এবার সেনা মোতায়েন করা হচ্ছে না৷ তবে নির্বাচন উপলক্ষ্যে এলাকাগুলোতে নেয়া হয়েছে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা৷ এদিকে, বিএনপি অভিযোগ করেছে, কারচুপির উদ্দেশ্যেই সেনা মোতায়েন করা হচ্ছে না৷ সংশ্লিষ্টদের মতে, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে প্রধান দুটি রাজনৈতিক দল জয়-পরাজয় আর প্রাপ্তির চুলচেরা বিশ্লেষণ করছে৷ বিশেষ করে, দুটি আসনে উপনির্বাচন সরকারের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ৷
কুড়িগ্রামে মেলায় ৩ কোটি ১৮ লাখ টাকা দেনমোহর পরিশোধ
মুসলিম বিবাহ রীতিতে ‘দেনমোহর' অনেকটা অপরিত্যাজ্য শর্ত৷ নামমাত্র অঙ্ক থেকে কোটি টাকার দেনমোহর ধার্য হয়ে থাকে৷ তবে প্রায়ই দেখা যায় দেনমোহর পরিশোধ না করতে নানা উপায় খুঁজে থাকে বরপক্ষ৷ এ নিয়ে কখনও কখনও দাম্পত্য কলহও দেখা যায়৷ স্ত্রীর পাওনা এই দেনমোহরের অর্থ আদায়ে বুধবার কুড়িগ্রামে আয়োজন করা হয়েছিল এক নজিরবিহীন আনন্দঘন অনুষ্ঠান৷ দৈনিক কালের কণ্ঠ, সমকালসহ বেশ কিছু পত্রিকার প্রথম পাতায় স্থান পেয়েছে এই মেলার খবর৷ এতে বলা হয়েছে, মেলার স্লোগান ছিল ‘স্ত্রীর দেনমোহর পরিশোধ করি, যৌতুক পরিহার করি৷ মেলায় উপস্থিত ৫৪৮ জন স্বামী তাদের স্ত্রীর দেনমোহর হিসেবে মোট ৩ কোটি ১৮ লাখ টাকা আনুষ্ঠানিকভাবে পরিশোধ করেন৷ এছাড়া মেলায় ১৬টি স্টলের মাধ্যমে দর্শনার্থীদের নারী নির্যাতন প্রতিরোধে উদ্বুদ্ধ করা হয়৷
গ্রন্থনা: হোসাইন আব্দুল হাই
সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন