1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মাদ্রাসা ভাঙাকে ঘিরে উত্তরাখণ্ডে সহিংসতা, মৃত চার

৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

উত্তরাখণ্ডের হলদোয়ানিতে মাদ্রাসা ভাঙাকে কেন্দ্র করে সহিংসতা, গুলি, মৃত চার, আহত ২৫০। সহিংসতা হলেই গুলির নির্দেশ।

https://p.dw.com/p/4cCfz
নুহ-তে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনার পর প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
উত্তরাখণ্ডের হলদোয়ানিতেও প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। ফাইল ছবি। ছবি: Ab Rauoof Ganie/DW

হলদোয়ানিতে কার্ফিউ জারি করা হয়েছে। সব স্কুল ও কলেজ বন্ধ রাখা হয়েছে। শহরে এখনো যথেষ্ট উত্তেজনা আছে। ইন্টারনেট পরিষেবাও বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।

পুলিশ জানিয়েছে, একটি বেআইনি মাদ্রাসা ভাঙা হচ্ছিল। মাদ্রাসার সংলগ্ন একটি মসজিদও আছে। প্রশাসন জানিয়েছে,  ওই মাদ্রাসা ও মসজিদ বেআইনি। বানভুলপুরা থানার কাছে ওই মাদ্রাসা আদালতের নির্দেশে ভাঙা হচ্ছিল বলে পুলিশ ও প্রশাসনের দাবি। 

পুলিশের সঙ্গে সরকারি কর্মকর্তারা যখন মাদ্রাসা ভাঙতে যান, তখনই গোলমাল শুরু হয়। পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথর ছোড়া হয়। পরিস্থিতি রীতিমতো উত্তেজক হয়ে ওঠে।

সংঘর্ষে প্রায় একশ জন পুলিশ কর্মী আহত হন। কয়েকজন সরকারি কর্মকর্তারও আঘাত লাগে। পুরসভার কর্মী ও সাংবাদিকরাও সহিংসতার মধ্যে পড়ে যান।

পুলিশ প্রথমে কাঁদানে গ্য়াসের সেল ফাটায়। কিন্তু পরে থানার সামনে রাখা কয়েকটি গাড়ি, ২০টি মোটরসাইকেল ও একটি পুলিশের বাসে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়। এরপর গুলি চলে।

মুখ্যমন্ত্রী পুস্কর সিং ধামি বলেছেন, ''আদালতের নির্দেশের পর বেআইনি কাঠামো ভাঙার জন্য টিম পাঠানো হয়। কিন্তু ওই এলাকায় কিছু অসামাজিক মানুষ পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আরো পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।''

পুরসভার কমিশনার পঙ্কজ উপাধ্যায় দাবি করছেন, ''পুরসভা ওই বেআইনি কাঠামো সিল করে দিয়েছিল। তার আশপাশের তিন একর জমিও সিজ করা হয়েছে।''

 নৈনিতালের জেলাশাসক বন্দনা সিং জানিয়েছেন, ''হাইকোর্টের নির্দেশেই জবরদখল হওয়া জমি উদ্ধার করতে অভিযান চলছে। অনেকে হাইকোর্টে আবেদন জানিয়েছিলেন। কয়েকজনকে হাইকোর্ট বাড়তি সময় দিয়েছে, কয়েকজনকে দেয়নি। যেখানে বাড়তি সময় দেয়া হয়নি, সেখানে পুরসভা ও পিডাব্লিউডি বেআইনি নির্মাণ ভাঙছে।''

উত্তরাখণ্ডই হলো ভারতের প্রথম রাজ্য যেখানে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি চালু করা হচ্ছে।

জিএইচ/এসজি(পিটিআই, এএনআই, এনডিটিভি)