‘মাদ্রাসার ছাত্ররা অমানবিক আচরণের শিকার হয়’
১৮ সেপ্টেম্বর ২০২০মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ বা সরকারের বিশেষ কোনো উদ্যোগ না থাকা সত্ত্বেও মাদ্রাসা ছাত্রদের মধ্যে অনেকেই যে খেলাধুলার প্রতি আগ্রহী, বিশেষ কোনো সুব্যবস্থা না থাকার পরও তারা যে সুযোগ পেলেই খেলাধুলায় আনন্দ খোঁজে- এমন এক বাস্তবতাই ফুটে উঠেছে আরো অনেক পাঠকের মন্তব্যে৷
ইব্রাহিম খলিল তার অভিজ্ঞতার কথা লিখেছেন এভাবে, ‘‘আমিও একটা মাদ্রাসায় পড়েছিলাম৷ সেখানে যে পরিমাণে খেলাধুলা করতাম, কলেজে তার অর্ধেকও করতে পারিনি৷’’ জ্যোতির্ময় সাহা অভি লিখেছেন, ‘‘কিছু কিছু মাদ্রাসার ছেলেরা খেলাধুলা করে এবং তারা বেশ ভালোই খেলে৷ বিশেষ করে ফুটবল৷ আমি আমার এলাকার অনেক মাদ্রাসার ছেলেদের সাথে খেলেছি৷’’
‘‘আমি একজন মাদ্রাসার শিক্ষার্থী৷ আমার ধারণা, প্রফেশনাল খেলোয়াড়দের পর আমরাই বেশি খেলি৷ কিছু কিছু ছেলে তো প্রফেশনাল খেলোয়াড়দের চেয়েও বেশি খেলে৷ এটা সারা দেশের চিত্র যে, দুই মহল্লার মধ্যে খেলা হলে, মাদ্রাসা থেকেও প্লেয়ার নেয়৷’’ ডয়চে ভেলের ফেসবুক পাতায় লিখেছেন মাহবুব মুবারক৷
পাঠক মাহবুব রহমান জানতে চেয়েছেন, ‘‘কে বলেছে সুযোগ নেই? মাদ্রাসায় আসরের পরে মাগরিবের আগ পর্যন্ত খেলাধুলা হয়৷’’ সাইফুল ইসলামেরও প্রায় একই মত, ‘‘প্রত্যেকটা মাদ্রাসায়ই আলাদা করে খেলার সময় থাকে, যেটা আমাদের স্কুল-কলেজে ছিল৷’’
আসিফ মাহমুদ রফি জানতে চেয়েছেন, ‘‘মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা কি ভিনগ্রহের কেউ নাকি যে তারা খেলতে পারবে না কিংবা খেলা শিখিয়ে দিতে হবে! মাদ্রাসাকে এরকম ভিন্নভাবে উপস্থাপন করার চেষ্টা করা হয় কেন বুঝি না৷’’
আসাদ জামান লিখেছেন, ফুটবল ক্রিকেটসহ সব খেলাতেই দর্শকের সারিতে মাদ্রাসা ছাত্রদের উল্লেখযোগ্য উপস্থিতি লক্ষ্যণীয়৷’’
জাকির আল ফারুকী মনে করেন, শুধু মাদ্রাসায় নয় বর্তমানে শতকরা ৬০% সরকারি স্কুলে ছেলেমেয়েদের খেলার কোনো সুযোগ নাই৷
তবে ভিন্নমত পাঠক আতিক ইসলামের৷ তিনি লিখেছেন, ‘‘শুধু খেলাধুলার সুযোগ নয়, সেই সাথে মাদ্রাসা ছাত্ররা যেসব অমানবিক আচরণের শিকার হয় সেসব ব্যাপারে সরকারের তদারকি ও প্রতিকারের ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন৷’’
সংকলন: নুরুননাহার সাত্তার
সম্পাদনা: আশীষ চক্রবর্ত্তী
গতবছর জুনের ছবিঘরটি দেখুন...