মাছেরও আছে অনুভূতি
গোল্ড ফিশ মেমোরি বলে একটা কথা আছে৷ কারো ক্ষণস্থায়ী স্মৃতির তুলনা দিতে ব্যবহার হয় এই মাছের স্মৃতিকে৷ কিন্তু মাছের যে নানা রকমের অনুভূতিও আছে, সেটা কি জানেন? না জানলে জেনে নিন৷
অনুভব করতে পারে মাছ
একসময় মাছকে মনে করা হতো অনুভূতিহীন প্রাণী৷ কিন্তু ধীরে ধীরে বিজ্ঞানীরা জানতে পারছেন যে, মাছেরও আছে নিজেদের সামাজিক জীবন৷ তারা শোক প্রকাশ করে, একসাথে শিকারে যায় এমনকি বিভিন্ন অদ্ভুত রকমের যৌন সম্পর্কেও জড়ায়৷ মাছের এই অজানা জীবন দেখতে হলে যেতে হবে সাগরের গভীরে৷
মাছেরও আছে দেহরক্ষী!
মাছেরাও একে অপরকে রক্ষা করে৷ব়্যাবিট ফিশ বা খরগোশ মাছরা দুপুরে একসাথে খেতেও যায়৷ একজন যখন গভীর জলে প্রবালপ্রাচীরে জন্মানো শেওলা খেতে ব্যস্ত, অন্যজনের চোখ তখন শিকারিদের সন্ধানে৷ এভাবে ভাগাভাগি করেই খাবার খায় খরগোশ মাছ৷ এতদিন শুধু উচ্চবুদ্ধির প্রাণীদের মধ্যেই এমন সামাজিকতা দেখা যেতো৷
ভয়ে জড়োসড়ো
অনেকদিন ধরে মনে করা হতো মাছেরা ভয় পায় না৷ কারণ, ভয় পাওয়ার জন্য মস্তিষ্কের যে অংশ দায়ী, তা মাছের নেই৷ কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে, মাছেরাও ভয় পায়৷ শুধু তাই না, ব্যথা এবং চাপ অনুভব করার ক্ষমতাও আছে মাছের৷ এ নিয়ে অবশ্য বিজ্ঞানীদের মধ্যে বেশ বিতর্কও চলছে৷ মৎসকল্যাণ কর্মীরা মাছ শিকার বিষয়ে নতুন করে ভাবার কথাও বলছেন৷
বাসা ভাগাভাগি
আড্ডা তো আমাদের খুবই পছন্দ৷ ছুটির দিনে বন্ধুদের বাসায় নিয়ে এসে গল্প করতে কার না ভালো লাগে৷ ক্লাউন ফিশ বা সং মাছ অবশ্য আড্ডা দেয় কিনা জানা যায়নি৷ তবে তাদের বাসায় কিন্তু বন্ধুবান্ধবের অভাব হয় না৷ বিষাক্ত এক ধরনের জলজ ফুলগাছে বাসা বানায় এই মাছ, যা শিকারিদের দূরে রাখে৷ প্রায়ই এক মাছের বাসায় কয়েকদিন বেড়াতে আসে অন্য কোনো এক মাছ৷
শিকারি বন্ধু
গ্রাউপার মাছ দেখতেই কেমন বদখত৷ তার মধ্যে আবার মোরে ঈলের সাথে জুটি বেঁধে শিকারে গেলে অন্যদের তো ভয়েই পালানোর কথা৷ গবেষকরা বলছেন, গ্রাউপার মাছ শিকারে যাওয়ার সময় মাথা ঝাঁকায়৷ ঈল সে ইশারা বুঝতে পেরে অন্য মাছের বাসায় ঢুকে পড়ে৷ দুর্ভাগা মাছ হয় বাসার ভেতরেই ঈলের খাবারে পরিণত হয়, নাহলে পালাতে গিয়ে ঢুকে পরে বাইরে হাঁ করে থাকা গ্রাউপারের মুখে৷