মহাকাশে ভারতের কয়েকটি সাফল্য
৭ সেপ্টেম্বর ভারতের চন্দ্রযান-২ চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে নামার কথা থাকলেও শেষ মুহূর্তে বিচ্ছিন্ন হয় পৃথিবীর সঙ্গে যোগাযোগ৷ ফলে চতুর্থ দেশ হিসেবে চাঁদ স্পর্শ করার সফলতার জন্য ভারতের অপেক্ষা বাড়লো৷
চন্দ্রমিশন
ভারতের প্রথম চন্দ্রমিশন চন্দ্রযান-১৷ চাঁদে নামার উদ্দেশ্য এর ছিল না৷ এটি শুধু অর্বিটে ঘুরেছে৷ ২০০৮ সালের ২২ অক্টোবর রওয়ানা হয়েছিল এটি৷ দশ মাস তার সঙ্গে যোগাযোগ ছিল৷ এরপর ২০০৯ সালের ২৮ আগস্ট হঠাৎ করে চন্দ্রযান-১ এর সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়৷ তবে এই সময়ের মধ্যে অভিযানের মূল উদ্দেশ্যের ৯৫ ভাগ কাজ সম্পাদিত হওয়ায় একে সফল অভিযান হিসেবে দেখা হচ্ছে৷ চাঁদে পানির উপস্থিতির প্রমাণ পেয়েছিল চন্দ্রযান-১৷
চন্দ্রযান-২
২০১৯ সালের ২২ জুলাই চাঁদের দক্ষিণ মেরুর উদ্দেশে রওয়ানা হয়েছিল চন্দ্রযান-২৷ ৭ সেপ্টেম্বর তার চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে নামার কথা থাকলেও শেষ মুহূর্তে পৃথিবীর সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় ৷ ফলে চতুর্থ দেশ হিসেবে চাঁদ স্পর্শ করার সফলতার জন্য ভারতের অপেক্ষা বেড়েছে৷
রকেট
স্যাটেলাইট প্রেরণের জন্য যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্যরা স্পেসএক্স-এর মতো বাণিজ্যিক কোম্পানির রকেটের উপর নির্ভরশীল৷ তবে ভারতের রয়েছে নিজস্ব রকেট, নাম জিওসিনক্রোনাস স্যাটেলাইট লঞ্চ ভেহিকল মার্ক- থ্রি (জিএসএলভি এমকে-থ্রি)৷ এতে করেই চন্দ্রযান-২ পাঠানো হয়েছে৷
জিপিএস-এর পরিবর্তে নাভিক
‘গ্লোবাল পজিশনিং সিস্টেম’ বা জিপিএস ছাড়া জীবন যাপন আজকাল কঠিন৷ তবে যুক্তরাষ্ট্র যদি তাদের এই সিস্টেম কোনো দিন কোনো কারণে বন্ধ করে দেয় তাহলে কী হবে? এই অবস্থায় যেন সমস্যায় পড়তে না হয় তাই ভারত নিজেই একটি সিস্টেম গড়ে নিয়েছে, যার নাম ‘নাভিক’ (ন্যাভিগেশন উইথ ইন্ডিয়ান কনসটেলেশন)৷ এটি ভারত ও তার সীমান্তের আশেপাশে প্রায় দেড় হাজার কিলোমিটার এলাকা পর্যন্ত কাজ করতে পারে বলে দাবি করা হয়৷
মঙ্গলযান
পোশাকি নাম ‘মার্স অর্বিটার মিশন’ বা এমওএম৷ ২০১৩ সালের ৫ নভেম্বর যাত্রা শুরু করে ২০১৪ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর মঙ্গলের কক্ষপথে প্রবেশ করে ভারতের মঙ্গলযান৷ এশিয়ার প্রথম দেশ হিসেবে মঙ্গলের কক্ষপথে যেতে সক্ষম হয় ভারত৷ এছাড়া বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে প্রথম প্রচেষ্টাতেই কক্ষপথে ঢুকতে সফল হয় মঙ্গলযান৷ ভারতের আগে রাশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপ মঙ্গলের কক্ষপথে গিয়েছিল৷ মঙ্গলযান এখনও কক্ষপথে ঘুরে বেড়াচ্ছে৷
স্যাটেলাইট
১৯৮৮ সালে ভারত প্রথম মহাকাশে রিমোট সেন্সিং স্যাটেলাইট পাঠায়৷ এরপর একে একে বেশ কয়েকটি স্যাটেলাইট পাঠানো হয়েছে৷ এগুলোর মাধ্যমে টেলিযোগাযোগ থেকে শুরু করে টেলিভিশন সম্প্রচার, আবহাওয়ার পূর্বাভাস পাওয়া, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ইত্যাদি কাজ করা হচ্ছে৷ বর্তমানে ভারতের ১৫টি রিমোট সেন্সিং স্যাটেলাইট রয়েছে৷