মহাকরণের মহিমা উদ্ধার
ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের দ্বিতীয় শহর হিসেবে গড়ে উঠেছিল কলকাতা৷ ব্রিটিশ স্থাপত্যের একাধিক নিদর্শন আছে এই শহরে, রাইটার্স বিল্ডিং বা মহাকরণ তার অন্যতম৷ সম্প্রতি সেই ইমারত সংস্কারের কাজ শুরু হয়েছে৷ হচ্ছে ঐতিহ্যের পুনর্নির্মাণও৷
ঐতিহ্যের স্মারক
কলকাতা শহরের ব্রিটিশ এলাকার সবথেকে ঐতিহ্যপূর্ণ এলাকা হলো ডালহাউসি চত্বর৷ সেই এলাকার সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ ইমারত রাইটার্স বিল্ডিং বা মহাকরণ৷
গ্রেকো-রোমান স্থাপত্য
গ্রিক ও রোমান স্থাপত্যরীতিতে তৈরি অতিকায় এই মহাকরণের বাইরের চেহারা বেশ সম্ভ্রম জাগানো, কিন্তু ঐতিহাসিক এই স্মারক ক্ষয়ে যাচ্ছিল ভেতর থেকে৷
আয়তন বৃদ্ধি
দীর্ঘ সময় মহাকরণ প্রশাসনিক ক্ষমতার সদর দপ্তর হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে৷ বহু মন্ত্রক, সচিবালয় এবং বিভাগ ও তার কর্মীদের জায়গা করে দিতে বাড়িটিতে একাধিক অংশ বিভিন্ন সময়ে সংযোজিত হয়েছে৷
অপরিকল্পিত সংযোজন
কিন্তু মহাকরণের সব সংযোজনই মূল স্থাপত্যরীতির সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ৷ প্রাচীন কাঠামোর ওপর চাপও ফেলছিল সেই অপরিকল্পিত বৃদ্ধি৷ নতুন সরকার সিদ্ধান্ত নেয়, বর্ধিত অংশগুলো ভেঙে ফেলার৷
সুচিন্তিত সিদ্ধান্ত
শুরু হয়েছে নতুন অংশ ভেঙে ঐতিহাসিক এই ইমারতকে তার পুরনো চেহারা এবং ঐতিহ্য ফিরিয়ে দেওয়ার কাজ৷ মহাকরণের স্থাপত্যের পুরনো নকশা অনুসারে এই সংস্কার চলছে৷
বিরাট কর্মযজ্ঞ
এখানে ছিল মহাকরণের ই ব্লক৷ এখন ধ্বংসস্তূপ৷ সব পরিষ্কার হয়ে যাওয়ার পর এখানে হবে বাগান, ঠিক যেমনটা ছিল ১৮ শতকে তৈরি এই ইমারতের মূল নকশায়৷
নিরাপদ হাতে
সরকারি পূর্ত দপ্তর আর শিবপুর ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের বিশেষজ্ঞ স্থপতিরা মিলে এই সংস্কারের কাজে হাত দিয়েছেন৷ একটাই উদ্দেশ্য, মহাকরণকে তার পুরনো গরিমা ফিরিয়ে দেওয়া৷