1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মস্কোয় মারা গেল ‘হিটলারের কুমির‘

২৫ মে ২০২০

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালে ১৯৪৩ সালে মিত্র শাক্তির বিমান হামলা চালিয়ে বার্লিন গুঁড়িয়ে দেওয়া সময় বেঁচে যায় কুমিরটি৷ গুঞ্জন আছে, সেটি অ্যাডলফ হিটলারের পোষা ছিল৷

https://p.dw.com/p/3cjMJ
ছবি: picture-alliance/AP Photo/M. Bibichkov

রাশিয়ার মস্কো চিড়িয়াখানায় ৮৪ বছর বয়সে কুমিরটি মারা যায়৷ শনিবার চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ সেটির মৃত্যুর খবর জানিয়ে বলে, ‘‘প্রাণীরা যুদ্ধ বা রাজনীতির সঙ্গে জড়িত নয়৷''

১৯৪৩ সালের ২৩ নভেম্বর বোমা হামলার সময় বার্লিনের একটি চিড়িয়াখানা থেকে স্যাটার্ন নামের ওই কুমিরটি বেরিয়ে গিয়েছিল এবং যুদ্ধের পুরোটা সময় সাড়ে তিন মিটারের ওই প্রাণীটি নিজে নিজেই বেঁচে ছিল৷ ১৯৪৬ সালে বৃটিশ সেনারা সেটিকে খুঁজে পায়৷

যুদ্ধের বছরগুলোতে স্যাটার্ন কিভাবে টিকে ছিল তা কেউ জানে না৷  খুঁজে পাওয়ার পর সেটিকে মস্কোর চিড়িয়াখানায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়৷ চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ বলেন, কুমিরটি দীর্ঘায়ু লাভ করেছে এবং বুড়ো হয়ে মারা গেছে৷

‘‘প্রকৃতিক পরিবেশে এ ধরনের কুমির সর্বোচ্চ ৫০ বছর বাঁচে৷’’

মস্কো চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ টুইটারে স্যাটার্নের একটি ভিডিও পোস্ট করে লিখেছে, ‘‘স্যাটার্নকে ৭৪ বছর রাখতে পেরে মস্কো চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ সম্মানিত বোধ করছে৷ সে আমাদের অনেককে শিশুকাল থেকে চেনে৷ আশা করি আমরা তাকে হতাশ করিনি৷''

হিটলারের পোষাপ্রাণী

স্যাটার্নকে মস্কোতে নিয়ে যাওয়ার পর গুঞ্জন ছিল, বার্লিন চিড়িয়াখানার নয় বরং সেটি হিটলারের পোষাপ্রাণী ছিল৷ যদিও ওই গুঞ্জনের পক্ষে কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি৷ সম্ভবত, স্যাটার্ন ১৯৩৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রে জন্ম নেয় এবং সেখান থেকে সেটিকে বার্লিনে আনা হয়৷

বিবৃতিতে চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ বলেন, ‘‘মস্কোতে আনার পরপরই কুমিরটি হিটলারের কাছে ছিল বলে গল্প রটে গিয়েছিল৷ জার্মানিতেও এই গল্প রটে৷

‘‘এটা আসলে গল্পই, এর পক্ষে কোনো প্রমাণ নেই৷ আর যদি সত্যই কুমিরটি কারো পোষা হয়েও থাকে.....তবুও যুদ্ধ বা রাজনীতির সঙ্গে প্রাণীদের কোনো সম্পর্ক নেই৷ তাই মানুষের পাপের বোঝা সেটির উপর চাপানো খুব হাস্যকর৷''

এসএনএল/কেএম (এপি, ডিপিএ)