মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি আসবে, কিন্তু কবে?
১৭ জুলাই ২০১০জর্জ মিচেল চাইছেন ইসরায়েল আর ফিলিস্তিনের মধ্যে সরাসরি আলোচনা৷ আর ক্যাথরিন অ্যাশটনের ইচ্ছা, গাজায় অবরোধের বিষয়ে ইসরায়েল তার নীতি পরিবর্তন করুক৷ অর্থাৎ বোঝাই যাচ্ছে দু'জনের চাওয়া দু'রকম৷ কিন্তু লক্ষ্য কিন্তু একটাই – মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি৷ কারণ ২০০৮ সালের ডিসেম্বর মাস থেকে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে সরাসরি কোনো আলোচনা হচ্ছেনা৷ যুক্তরাষ্ট্রের উদ্যোগে মাত্র দুই মাস আগে শুরু হয়েছে পরোক্ষ আলোচনা৷ কিন্তু একে শুধুই সময় নষ্ট বলছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু৷ তিনি চান সরাসরি আলোচনা৷
সমস্যা কোথায়
আপাতদৃষ্টিতে কোনো সমস্যা নেই৷ তবে সরাসরি আলোচনায় বসার আগে ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস ইসরায়েলের কাছ থেকে দুটি বিষয়ে পরিষ্কার মন্তব্য জানতে চান৷ এর একটি হলো – ভবিষ্যৎ ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের সীমান্ত রক্ষা নিয়ে৷ আব্বাস চান, তৃতীয় কোনো পক্ষ ফিলিস্তিনের সীমানা পাহারা দেবে – সেটা ইসরায়েল মেনে নিক৷ সেটা ন্যাটোও হতে পারে৷ অবশ্য ইসরায়েলের জন্যই এখানে তৃতীয় পক্ষের পাহারা বসানোর কথা আসছে৷ কারণ ফিলিস্তিনের নিজের পাহারা বসানোতে ইসরায়েলের আপত্তি রয়েছে৷ আর দ্বিতীয় যে বিষয়ে ইসরায়েলের মন্তব্য জানতে চান আব্বাস, সেটি হলো – ‘ইকুইটেবল' অর্থাৎ ন্যায়সঙ্গত ভূমি চুক্তি৷ মানে, ইসরায়েল এখন পর্যন্ত পশ্চিম তীরের যতটুকু জায়গা জুড়ে বসতি স্থাপন করেছে ইসরায়েলের অভ্যন্তরে ঠিক ততটুকু জমিই চায় ফিলিস্তিন৷
ইসরায়েল কী বলছে
আসলে এ ব্যাপারে এখনো ইসরায়েলের প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি৷ কারণ মাত্র আজই এসব দাবির কথা প্রকাশিত হয়েছে জর্ডানের একটি পত্রিকাতে৷ এর আগে কখনো ফিলিস্তিনের পক্ষ থেকে এভাবে পরিষ্কারভাবে দাবির কথা জানানো হয়নি৷ তবে কিছুদিন আগে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বৈঠক করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সঙ্গে৷ সেসময় তিনি বলেছিলেন, ফিলিস্তিন যেন সরাসরি আলোচনায় বসতে উৎসাহিত হয় সেজন্য কিছু বাস্তব পদক্ষেপ গ্রহণ করতে তিনি রাজি আছেন৷
এদিকে এই সফরে জর্জ মিচেল আর ক্যাথরিন অ্যাশটনের মধ্যে আলোচনা হবার কথা রয়েছে৷ আসলে জর্জ মিচেল প্রতিনিধিত্ব করছেন যুক্তরাষ্ট্রের৷ আর অ্যাশটন ইউরোপের৷ এছাড়া দু'জনই ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন৷ তাই তাঁদের আলোচনাকে দেখা হচ্ছে গুরুত্ব সহকারে৷
প্রতিবেদন: জাহিদুল হক
সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন