1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মণিপুরে বিবস্ত্র নারী, অভিযুক্তের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ

২১ জুলাই ২০২৩

মণিপুরের ঘটনা নিয়ে এই প্রথম মুখ খুললেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। বিরোধীরা পার্লামেন্টে তার বিবৃতি চায়।

https://p.dw.com/p/4UCrT
মণিপুরে সহিংসতা
ছবি: -/AFP/Getty Images

বৃহস্পতিবার পার্লামেন্টে বর্ষা অধিবেশন শুরু হয়েছে। পার্লামেন্টের বাইরে মণিপুরের ঘটনা নিয়ে তার 'বেদনা'র কথা জানিয়েছেন তিনি। নরেন্দ্র মোদীর কথায়, ''মণিপুরে যা ঘটেছে, যে কোনো সভ্যতাতেই তা ভয়াবহ। গোটা দেশের জন্য এই ঘটনা লজ্জার। দেশের সমস্ত মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আমার আবেদন, নারী সুরক্ষার আইন আরো কঠিন করুন। এমন ঘটনা যেন আর না ঘটে।'' মোদী বলেছেন, রাজস্থান থেকে ছত্তিশগড় অথবা মণিপুর-- অপরাধীদের ছাড়া হবে না। তাদের বিরুদ্ধে কঠোরতম শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে।

বস্তুত, ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর বৃহস্পতিবার মূল অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়। শুক্রবার তার বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করেছে বিক্ষোভকারীরা। তবে ওই দিনের ঘটনায় রাস্তায় আরো যাদের দেখা গেছিল ভিডিওতে, তাদের এখনো গ্রেপ্তার করা হয়নি।

দুই মাস আগে মণিপুরের দুই কুকি জনজাতির নারীকে উলঙ্গ করে প্রকাশ্য রাস্তায় ঘোরানো হয় বলে অভিযোগ। তাদের একজনকে ধর্ষণ করা হয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। ঘটনা দুই মাস আগের হলেও ওই ভিডিও দিনকয়েক আগে সমাজমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। তারপরেই দেশজুড়ে বিষয়টি নিয়ে আলোড়ন তৈরি হয়েছে। এরপরেও মুখ্যমন্ত্রী বীরেন সিং কেন পদত্যাগ করছেন না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। বিরোধীরা বিষয়টি নিয়ে সংসদেও আলোচনা চেয়েছে এবং প্রধানমন্ত্রীর বিবৃতি দাবি করেছে। মুখ্যমন্ত্রী বীরেন অবশ্য জানিয়ে দিয়েছেন, পদত্যাগ করার কোনো পরিকল্পনা তার নেই। মণিপুরের ঘটনা নিয়ে তিনিও টুইট করেছেন।

৭৯ দিন আগে মণিপুরে সহিংসতা শুরু হয়েছে। ৩ মে প্রথম মেইতেই এবং কুকিদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এখনো পর্যন্ত সংঘর্ষে ১৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে। ৫০ হাজার মানুষ ঘরছাড়া। বহু মানুষের বাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। বহু নাগরিক পার্শ্ববর্তী রাজ্যগুলিতে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ মণিপুর গেলেও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এতদিন এবিষয়ে একটি কথাও বলেননি। বিরোধীরা বার বার তার বিবৃতি দাবি করলেও মোদী মুখ খোলেননি।

বৃহস্পতিবার তিনি মুখ খুললেও বিরোধীরা একাধিক অভিযোগ সামনে এনেছেন। অভিযোগ, দুই নারীর সঙ্গে যা ঘটেছে, কেবল সেটুকুই বলেছেন মোদী। এর প্রেক্ষাপট নিয়ে আলোচনা করেননি। কথা বলেননি ৭৯ দিন ধরে ঘটে চলা সহিংসতা নিয়ে। শুধু তা-ই নয়, বিষয়টিকে জেনারেলাইজ করার চেষ্টা করেছেন প্রধানমন্ত্রী। সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর প্রতি বার্তা দিয়েছেন। নাম করেছেন কংগ্রেসশাসিত দুই রাজ্য ছত্তিশগড় এবং রাজস্থানের। অথচ বিজেপিশাসিত একটি রাজ্যের নামও করেননি।

বস্তুত, মণিপুরের সরকারে বিজেপিও আছে। সে কারণেই মণিপুর নিয়ে মোদী মুখ খুলছেন না বলে অভিযোগ। এবিষয়ে পার্লামেন্টে অধিবেশন চেয়েছে বিরোধীরা। বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, বর্ষা অধিবেশন মণিপুর নিয়ে উত্তাল হওয়ার আশঙ্কা আছে।

এসজি/জিএইচ (পিটিআই)