1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মণিপুরে পুলিশের বাধার মুখে রাহুল

৩০ জুন ২০২৩

রাহুল গান্ধী যে অঞ্চলে যাচ্ছিলেন, তা নিরাপদ নয় বলে জানিয়েছে পুলিশ। সে কারণেই তার রাস্তা আটকানো হয়।

https://p.dw.com/p/4TFl3
মণিপুরে রাহুল
ছবি: Hindustan Times/IMAGO

বৃহস্পতিবার দুই দিনের মণিপুর সফরে গেছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। বৃহস্পতিবার ইম্ফল থেকে সংঘর্ষের অন্যতম পীঠস্থান চূড়াচাঁদপুরের দিকে রওনা হয়েছিলেন তিনি। কিন্তু খানিকটা যেতেই পুলিশ রাস্তা বন্ধ করে দেয়। পুলিশের অভিযোগ, ওই জায়গা রাহুলের জন্য যথেষ্ট নিরাপদ নয়। রাহুল যখন রওনা হয়েছিলেন, ঠিক তখনই রাস্তায় লোক জড়ো হতে শুরু করেছিল। পুলিশ কাঁদানে গ্যাস চালিয়ে তাদের সরিয়ে দেয়। কিন্তু রাহুলকে আর এগোনোর অনুমতি দেয়া হয়নি।

গত ৩ মে থেকে লাগাতার সংঘর্ষ শুরু হয়েছে মণিপুরে। সংখ্যাগুরু মেইতেইদের সঙ্গে সংখ্যালঘু জনজাতি গোষ্ঠী কুকিদের তীব্র সংঘর্ষ চলছে। মেইতেইরা জনজাতির অধিকার চায়। কিন্তু কুকিরা তা দিতে চায় না। এই নিয়েই দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষ চলছে। ঘটনায় এখনো পর্যন্ত ১৪০ জনের মৃত্যু হয়েছে। ঘরছাড়া প্রায় ৫০ হাজার মানুষ।

এই পরিস্থিতিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ মণিপুরে গিয়ে প্রশাসন এবং সেনার সঙ্গে বৈঠক করেছেন। সেনা রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ প্রতিরোধ করছে। বৃহস্পতিবার সেখানে পৌঁছান কংগ্রেস নেতা রাহুল। রাজধানী ইম্ফলে কিছু সময় কাটিয়ে তিনি চূড়াচাঁদপুরের দিকে রওনা হন। চূড়াচাঁদপুরে সবূচেয়ে বেশি সংঘর্ষ হয়েছে। কিন্তু তাকে সেখানে যেতে দেয়া হয়নি।

পরে রাহুলকে হেলিকপ্টারে ওই জায়গায় যাওয়ার অনুমতি দেয় পুলিশ। তবে রাহুল মণিপুরে নামার পরেও সংঘর্ষ বন্ধ হয়নি। বৃ-হস্পতিবার ইম্ফলের পাশেই দুই মেইতেইকে গুলি করে হত্যা করা হয়।

মণিপুরের সংঘর্ষ থামানোর জন্য সর্বদল বৈঠকও করেছে সরকার। কিন্তু সংঘর্ষ কমেনি বরং বেড়েছে। শুক্রবার ঘরছাড়াদের আশ্রয়শিবিরগুলিতে যাওয়ার কথা রাহুলের। তবে পুলিশ শেষ মুহূর্তে তাকে সেখানে যেতে দেবে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন আছে। রাহুলের উপর গ্রেনেড হামলা হতে পারে, এমন তথ্য আছে বলে পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে।

এসজি/জিএইচ (পিটিআই, এএনআই)