1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ভয় দেখিয়ে জয় করা যায় না

প্রভাষ আমিন
২৭ ডিসেম্বর ২০১৯

ফরাসি দার্শনিক ভলতেয়ারের একটি উক্তি খুব বিখ্যাত৷ আমাদের দেশের অনেককেই দেখি সেটি উদ্ধৃতও করেন, ‘আমি তোমার কথার সাথে বিন্দুমাত্র একমত না হতে পারি, কিন্তু তোমার কথা বলার অধিকার রক্ষার জন্য আমি জীবন দেবো৷‘

https://p.dw.com/p/3VO3p
Bangladesch Studenten Proteste in Dhaka
ছবি: Nasirul Islam

আমরা চট করে লিখি বটে৷ কিন্তু প্রায় কেউই মন থেকে বিশ্বাস করি না৷ ভিন্নমত মানেই আমাদের কাছে অপরাধ৷ আমরা শুধু সহমত সহ্য করি, ভিন্নমত নয়৷ ভিন্নমতের জন্য জীবন দেয়া তো দূরের কথা, সুযোগ থাকলে ভিন্নমতের জীবন নিতে চাই আমরা৷ কয়েকদিন আগে আমি ‘আপনি ভলতেয়ারপন্থী না স্ট্যালিনপন্থী?' এই শিরোনামে একটি কলাম লিখেছিলাম৷ সেই শিরোনামের উৎস ছিল ফেসবুকের একটি স্ট্যাটাস, ‘সকল ভিন্নমতই কারও না কারও কাছে সহমত৷ এবং প্রত্যেকেই এক একটি সহমত ভাই৷ ভিন্নমত যতক্ষণ সহমতের লক্ষ্মণরেখার ভেতরে থাকে, ততক্ষণ ভলতেয়ারগিরি ঠিক আছে৷ গণ্ডি পার হলেই ভলতেয়াররা স্ট্যালিন হয়ে ওঠে৷' আমরা আসলে সবাই মুখে মুখে ভলতেয়ারপন্থি, আর চেতনায় স্ট্যালিনপন্থি৷

বাংলাদেশের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা বা ভিন্নমতের পরিস্থিতি নিয়ে আমার মিশ্র প্রতিক্রিয়া আছে৷ নানা আন্তর্জাতিক সূচকে বারবার গণতন্ত্র, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের অবস্থান নিচের দিকেই থাকে৷ কিন্তু সরকার বারবার দাবি করে দেশে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা আছে৷ প্রমাণ হিসেবে তারা ৪২টি টিভির লাইসেন্স দেয়া, ৩০টি টিভি অন এয়ারে থাকা, অসংখ্য পত্রিকা-অনলাইন-এফএম রেডিওর উদাহরণ দেন৷ দাবিটি পুরোপুরি মিথ্যা নয়৷ দেশে ৩০টি টেলিভিশনে প্রতিদিন টক শোতে বিএনপি নেতারা বা বিএনপি সমর্থিত পেশাজীবীরা আসেন; সরাসরি কথা বলেন, সরকারের সমালোচনা করেন৷ আমি বেশ কয়েকবছর ধরে একটি টেলিভিশনে টকশো উপস্থাপনা করি, লেখালেখি করি৷ কিন্তু এখন পর্যন্ত আমাকে কেউ কোনো চাপ দেয়নি৷ কিন্তু ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা বা গণমাধ্যমের সংখ্যা দিয়ে মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে মাপতে চাইনা আমি৷ অনেকেরই ভিন্ন অভিজ্ঞতা আছে, তিক্ত অভিজ্ঞতা আছে৷ একসময় সরকারের কঠোর সমালোচক অনেককে এখন আর টিভি টকশোতে দেখা যায় না৷ বিএনপি নেতাদের টক শোতে আনতে অনেক কষ্ট হয়৷ তারা আসতে চান না দুটি কারণে, বিশেষ সময়ে টক শো থেকে বেরুলেই পুলিশ আটক করে নিয়ে যাওয়ার উদাহরণ আছে৷ আবার কেউ কেউ বলেন, টক শোতে গিয়ে সব কথা বলতে পারবো না৷ সত্য বললে বাসায় ফিরতে পারবো কিনা জানি না৷ মিথ্যা বলার চেয়ে না বলাই ভালো৷ এটাই আসল সমস্যা৷

আমরা অনেক কথা বলতে পারি, সব কথা বলতে পারি না৷ কতটুকু বলা যাবে, কতটুকু যাবে না; এই মাপকাঠি নির্ধারণই বড় সমস্যা৷ কে ঠিক করবে কাঠির এই মাপ৷ অথচ মাপকাঠি কিন্তু সংবিধানে ঠিক করে দেয়া আছে৷ সংবিধানে বলা আছে  ‘রাষ্ট্রের নিরাপত্তা, বিদেশী রাষ্ট্রসমূহের সহিত বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক, জনশৃঙ্খলা, শালীনতা ও নৈতিকতার স্বার্থে কিংবা আদালত-অবমাননা, মানহানি বা অপরাধ-সংঘটনে প্ররোচনা সম্পর্কে আইনের দ্বারা আরোপিত যুক্তিসঙ্গত বাধানিষেধ-সাপেক্ষে (ক) প্রত্যেক নাগরিকের বাক্ ও ভাব প্রকাশের স্বাধীনতার অধিকারের, এবং (খ) সংবাদক্ষেত্রের স্বাধীনতার নিশ্চয়তা দান করা হইল৷‘ 

কিন্তু সমস্যা হলো, আমরা সংবিধান মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলে নিজেরা নিজেরাই একটা মাপকাঠি ঠিক করে নিয়েছি৷ এই স্বেচ্ছা নির্ধারিত মাপকাঠিই আমাদের মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে৷ অদৃশ্য এক ভয় আমাদের তাড়িয়ে বেড়ায়৷ এই ভয়কে জয় করতে না পারলে আমাদের কিছু কথা বলেই সন্তুষ্ট থাকতে হবে, পুরো কথা কখনোই বলতে পারবো না৷ কোটা বিরোধী আন্দোলন, নিরাপদ সড়কের আন্দোলন বা আরো আগের ভ্যাটবিরোধী আন্দোলন সরকারের ভিন্নমতের প্রতি শ্রদ্ধার উদাহরণ হতে পারতো৷ কিন্তু হয়নি সহনশীলতার অভাবে৷ কোটা আন্দোলন তো সরকার পিটিয়ে দমন করতে চেয়েছিল৷ কিন্তু বরাবরের মত এবারও প্রমাণিত হয়েছে, পিটিয়ে দমন করা যায় না, বরং তাতে আন্দোলন আরো চাঙ্গা হয়৷ শেষ পর্যন্ত আন্দোলনের মুখে কোটা বাতিলের অন্যায় আবদার মেনে নিতে হয়েছে সরকারকে৷ আর নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের শিশুদের দমন করতে সরকার মাঠে নামিয়েছিল হেলমেট বাহিনীকে৷ অথচ শুরুতে সরকার দারুণভাবে আন্দোলনগুলো মোকাবেলা করছিল, শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে বাধাও দেয়নি৷ কিন্তু শেষটা আর ভালো হয়নি৷ সরকারি দলের অনেককে বলতে শুনেছি, ধৈর্য্যের একটা সীমা আছে৷ সমস্যাটা এখানেই৷ র্ধৈয্য কমে গেলে ডাক্তারের স্মরনাপন্ন হতে পারেন৷ কারণ সরকারের ধৈর্য্যের সীমা মেনে তো আর আন্দোলন হবে না৷ আর সরকারের ধৈর্য্যের সীমা মানেই তো আন্দোলনের সীমা নয়৷ 

মানুষের মৌলিক অধিকার কোনটার কতটুকু সীমা সেটা কিন্তু সংবিধানেই লেখা আছে৷ নাগরিকদের বাক ও ভাব প্রকাশ এবং সংবাদক্ষেত্রের স্বাধীনতার নিশ্চয়তা দেয়া হয়েছে, রাষ্ট্রের নিরাপত্তা, বিদেশী রাষ্ট্রসমূহের সহিত বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক, জনশৃঙ্খলা, শালীনতা ও নৈতিকতার স্বার্থে কিংবা আদালত-অবমাননা, মানহানি বা অপরাধ-সংঘটনে প্ররোচনা সম্পর্কে আইনের দ্বারা আরোপিত যুক্তিসঙ্গত বাধানিষেধ-সাপেক্ষে৷ মতপ্রকাশের স্বাধীনতা সরকার নির্ধারিত সীমা মেনে যেমন নয়, আবার যা ইচ্ছা তাই বলাও নয়৷ সমস্যা হলো সরকারের র্ধৈয্যের সীমা যেখানে শেষ, দমন সেখানেই শুরু৷ গত ১১ বছর ধরেই আওয়ামী লীগ নিষ্ঠুর কায়দায় রাজনৈতিক ভিন্নমতকে দমন করে আসছে৷ কোটাবিরোধী আন্দোলন বা শিশুদের নিরাপদ সড়কের আন্দোলনে সরকার কয়েকদিন র্ধৈয্য দেখাতে পারলেও বিএনপি-জামাতের ব্যাপারে একেবারে জিরো টলারেন্স৷ বিএনপি আন্দোলনের নামে ২০১৪ ও ২০১৫ সালে দেশজুড়ে আগুনসন্ত্রাস চালিয়েছে, এটা যেমন ঠিক; আবার এটাও তো ঠিক আর কোনো উপায়ে আন্দোলন করার সুযোগ পাচ্ছিল না একসময়ের প্রতাপশালী দলটি৷ রাস্তায় নামলেই পুলিশী আক্রমনের শিকার হয়েছে বিএনপি-নেতাকর্মীরা৷ দলটির নয়াপল্টনের অফিসের সা্মনে সার্বক্ষণিকভাবে পুলিশ পাহাড়া থাকে৷

আওয়ামী লীগ বিরোধী দলে থাকতে আন্দোলন, সমাবেশ, মিছিল, হরতাল এমনকি রাজপথে সহিংসতাও করেছে৷ আওয়ামী লীগ করেছে বলেই বিএনপিরও সন্ত্রাস করার অধিকার আছে, এমন কুযুক্তিতে আমি বিশ্বাস করি না৷ কিন্তু একটি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের তো মিছিল, সমাবেশ, হরতালসহ নিয়মতান্ত্রিক সব কর্মসূচি পালন করার অধিকার আছে৷ সংবিধানেও বলা আছে, ‘জনশৃঙ্খলা বা জনস্বাস্থ্যের স্বার্থে আইনের দ্বারা আরোপিত যুক্তিসঙ্গত বাধানিষেধ-সাপেক্ষে শান্তিপূর্ণভাবে ও নিরস্ত্র অবস্থায় সমবেত হইবার এবং জনসভা ও শোভাযাত্রায় যোগদান করিবার অধিকার প্রত্যেক নাগরিকের থাকিবে৷‘ যতক্ষণ কর্মসূচিটি শান্তিপূর্ণ থাকবে, ততক্ষণ পুলিশের কিছু করার কথা নয়৷ কিন্তু বিএনপি মিছিল-সমাবেশ করতে নামলেই পুলিশ পিটিয়ে সরিয়ে দেয়৷ এখন অবশ্য বিএনপি রাস্তায়ই নামে না৷ নয়াপল্টন আর প্রেসক্লাবের চারদেয়ালের ভেতরেই তাদের সকল বিপ্লব সীমাবদ্ধ৷ সমাবেশ করার আগে আইনশৃঙ্খলা পুলিশকে জানানোটা জরুরি, কিন্তু সমাবেশের জন্য পুলিশের অনুমতি লাগবে, এটা আগে জানতাম না৷ এখন পুলিশ আসলে বিএনপিকে সমাবেশের অনুমতিই দেয় না৷ দিলেও শেষ মুহুর্তে গাদা গাদা শর্ত দিয়ে দেয়, যাতে বিএনপি ঠিকমত সমাবেশটি করতে না পারে৷ এভাবে বিএনপিকে কোনঠাসা করতে করতে রাজনীতিকে রাজপথ থেকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে৷ কবে সর্বশেষ বিএনপি ঢাকায় একটি মিছিল বা সমাবেশ নির্বিঘ্নে করতে পেরেছে; তা কারোই মনে থাকার কথা নয়৷ একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে এই রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, শান্ত রাজপথ আমাদের ভালোই লাগে৷

কিন্তু মানুষের অধিকারের প্রশ্নে এই অবস্থা কোনোভাবেই কাম্য নয়৷ বিএনপিকে দমাতে শুধু যে সমাবেশ-মিছিলে বাধা দেয়া হয় তাই নয়; নেতাদের নামে সত্য-মিথ্যা মামলা দিয়ে দৌড়ের ওপর রাখা হয়৷ আর গুম-খুনের আতঙ্কও আছে৷ বিরোধী নেতারা সারাক্ষণ ভয়ে সিটিয়ে থাকেন৷ আসলে বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতিটাই বদলে গেছে৷ সুস্থ রাজনৈতিক সংস্কৃতির বদলে ভয়ের সংস্কৃতির চর্চা হচ্ছে বেশি৷ সরকার বিরোধিতাকেই রাষ্ট্রবিরোধিতার সঙ্গে গুলিয়ে ফেলা হচ্ছে৷ সরকারের বিরুদ্ধে কিছু বললেই রাষ্ট্রবিরোধিতার মামলা হয়৷ শেখ হাসিনার যে কোনো সমালোচনাই যেন শাস্তিযোগ্য অপরাধ৷ অথচ এক সময় এই বাংলাদেশেই রাজনৈতিক বিরোধীতার চমৎকার সংস্কৃতি ছিল৷ শিল্পী শিশির ভট্টাচার্য তারকাখ্যাতি পেয়েছিলেন রাজনৈতিক কার্টুন একে৷ একসময় তিনি হাসিনা-খালেদা-এরশাদের অসংখ্য কার্টুন এঁকেছিলেন৷ সেই স্মৃতি যেন এখন সুদূর অতীত৷ ভিন্নমতের প্রতি আমাদের সত্যিকারের জিরো টলারেন্স৷ মতপ্রকাশের স্বাধীনতা আর ভিন্নমতের শ্রদ্ধা বা পরমতসহিষ্ণুতার একটা ওতপ্রোত সম্পর্ক আছে৷ কিন্তু মজাটা হলো আমরা মত প্রকাশের স্বাধীনতা চাই বটে, কিন্তু ভিন্নমতের প্রতি শ্রদ্ধা তো দূরের কথা, সামান্য সহনশীলতাও নেই৷ সবার মত একরকম হবে না৷ ভিন্নমতেই গণতন্ত্রের সৌন্দর্য৷ কারও মতের সঙ্গে না মিললে আমি যুক্তি দিয়ে তার মত খণ্ডন করবো৷ পাল্টা মত দেবো৷ কিন্তু আমরা দেই গালি৷ তাও দুর্বল বলে গালি দেই৷ সবল হলে পিটাই বা চাপাতি দিয়ে কোপাই৷ এই আমরাই আবার মত প্রকাশের স্বাধীনতার জন্য গলা ফাটাই৷

আমার ইদানীং মনে হয়, লিখেছিও, বাংলাদেশের প্রধান বিরোধী দল ফেসবুক৷ যে কোনো ঘটনা ঘটুক, ফেসবুকে দ্রুত একটা জনমত গড়ে ওঠে৷ অধিকাংশ ক্ষেত্রে সরকার সেই জনমতের প্রতি শ্রদ্ধা দেখিয়ে দ্রুত ব্যবস্থাও নিচ্ছে৷ ফেসবুক যদি মানদণ্ড হতো, তাহলে বাংলাদেশে মতপ্রকাশের স্বাধীনতার সূচক আরেকটু উর্ধ্বগামীই থাকতো৷ তবে ফেসবুকেব স্ট্যাটাস দেয়ার অপরাধেই পিটিয়ে মারা হয়েছে বুয়েটের আবরারকে৷ ফেসবুকে মানুষ অনেক স্বাধীনভাবে নিজের মতামত দেয় বটে, তবে এই ফেসবুক দেখলেই বোঝা যায়, ভিন্নমতের প্রতি আমাদের অশ্রদ্ধা কতটা তীব্র৷ সারাক্ষণ গালাগাল, হুমকি, ভয় দেখানোই চলে সেখানে৷ এই ভয়ের সংস্কৃতিটাই আমাদের আষ্টেপৃষ্ঠে বেধে ফেলেছে৷ সরকারি দলও ভয় দেখিয়েই জয় করতে চাইছে৷ কিন্তু আমার ধারণা এটা একটা বৃথা চেষ্টা৷ ভয় দেখিয়ে কখনো জয় করা যায় না৷ জয় করতে হয় ভালোবেসে৷ বাংলাদেশে রাজনীতিটা বরাবরই আওয়ামী লীগ বনাম অ্যান্টি আওয়ামী লীগ ধারায় বিভক্ত৷ এমনকি ৭০এর নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সুনামি জয়েও একটা উল্লেখযোগ্য সংখ্যা্‌ক মানুষ আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে ছিল৷ স্বাধীনতার সময়ও আওয়ামী বিরোধীরা স্বাধীনতা বিরোধিতা করেছে৷ স্বাধীনতার পর জাসদ অ্যান্টি আওয়ামী লীগ অংশের নেতৃত্ব দিয়েছে৷ এখন দিচ্ছে বিএনপি৷ আওয়ামী লীগ যে কোনো মূল্যে বিএনপিকে ধ্বংস করে দিতে চাইছে৷ কিন্তু বিএনপি ধ্বংস হলেই কি অ্যান্টি আওয়ামী লীগ ভোটাররা হারিয়ে যাবেন নাকি তারা আওয়ামী লীগকে ভোট দেবেন? প্লাস-মাইনাস ৩০ শতাংশ ভোটার আওয়ামী লীগের বিপক্ষে৷ একটা সুষ্ঠু নির্বাচন দিলে আওয়ামী লীগ টের পাবে, সংখ্যাটা বেড়েছে না কমেছে৷ ভালোবাসা দিয়ে হয়তো এদের কাউকে কাউকে আওয়ামী লীগ নিজেদের দিকে টানতে পারবে, কিন্তু ভয় দেখিয়ে, দমন করে কখনোই নয়৷ বরং দমন করতে গেলে সেই সংখ্যাটা আরো বাড়তে পারে৷ ভয় দেখিয়ে জয় করা যায় না, জোর করে যায় না দমন করা৷

প্রিয় পাঠক, আপনার কি কিছু বলার আছে? লিখুন নীচের মন্তব্যের ঘরে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান