ভ্লাদিমির পুটিন : ক্ষমতার স্তম্ভে দীর্ঘ ১১ বছর
৯ আগস্ট ২০১০সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের লেলিনগ্রাদ যা বর্তমানে সেইন্ট পিটাসবুর্গ নামে পরিচিত, সেই শহরে ১৯৫২ সালের ৭ অক্টোবর জন্ম গ্রহণ করেন ভ্লাদিমির পুটিন৷ ছোটবেলা থেকেই খেলাধুলো এবং মার্শাল আর্ট ভালোবাসতেন৷ সাবেক রুশ গুপ্তচর সংস্থা কেজিবি'র দুর্ধর্ষ এজেন্ট পুটিন কিন্তু পড়াশোনা করেছেন আন্তর্জাতিক আইনের ওপর৷ ১৯৭৫ সালে লেলিনগ্রাদ স্টেট ইউনিভার্সিটি থেকে আন্তর্জাতিক আইনে ডিগ্রি নেওয়ার পর কেজিবি'তে যোগ দেন পুটিন৷ ১৯৮৫ থেকে ১৯৯০ সালে পর্যন্ত তিনি দায়িত্ব পালন করেছিলেন তৎকালীন পূর্ব জার্মানিতে যা ছিল কমিউনিস্ট শাসনাধীন৷ নব্বই দশকে সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙ্গে যাওয়ার পর পুটিনের কর্মজীবন একটি মোড় নেয়৷ গোয়েন্দা এজেন্ট থেকে তিনি প্রবেশ করেন রাজনৈতিক জীবনে৷
সাবেক রুশ প্রেসিডেন্ট বরিস ইয়েলৎসিনের অত্যন্ত আস্থাভাজন ছিলেন পুটিন৷ তাই ১৯৯৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর ইয়েলৎসিন রাজনীতি থেকে বিদায় নিলে অস্থায়ী প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেন তিনি৷ এরপর রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিজয়ী হন৷ ২০০৪ সালে আবারও প্রেসিডেন্ট হিসেবে চার বছরের জন্য নির্বাচিত হন৷ কিন্তু রুশ প্রেসিডেন্ট হিসেবে পরপর দুই বারের বেশি নির্বাচিত হওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় ২০০৮ সালে আর নির্বাচন করেননি পুটিন৷ বরং নিজের জায়গায় নিয়ে আসেন তাঁর দীর্ঘদিনের বিশ্বস্ত লোক দিমিত্রি মেদভেদেভ'কে৷ আর নতুন প্রেসিডেন্ট, স্বাভাবিকভাবেই তাঁর প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বহাল রাখেন পুটিনকেই৷
অনেকেই মনে করছেন, আগামী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে পুটিনই আবার ক্ষমতায় ফিরে আসবেন৷ সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার জন্য তিনি কিছুদিনের জন্য রুশ ক্ষমতার মূল পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন৷ তা সত্ত্বেও রাশিয়ার ক্ষমতার বৃত্তের মূল কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে তাঁকেই ধরা হয়৷ অত্যন্ত কঠোর মনোভাবের এই প্রেসিডেন্ট তাঁর শাসনামলে রাশিয়াকে অর্থনৈতিক দুরবস্থা থেকে তুলে দাঁড় করিয়ে দিয়েছেন৷ তাই রাশিয়ার জন্য পুটিন এখনও অনিবার্য, এটা মনে করেন অনেকেই৷
প্রতিবেদন: রিয়াজুল ইসলাম
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ