ভোটদানের পর অ্যামেরিকা
ভোটদান শেষে ভোট গণনার মধ্যে কেমন আছে অ্যামেরিকা, তারই কিছু দৃশ্য দেখুন এই ছবিঘরে...
শুরু থেকেই প্রতিবাদ
৪ নভেম্বরের রাত থেকেই যখন অ্যারিজোনার ফলাফল আস্তে আস্তে পরিষ্কার হতে থাকে, রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জো বাইডেনকেই জয়ের হিসাবে এগিয়ে রাখেন৷ ভোটগণনার হিসাবেও সেই ধারা উঠে আসে৷ প্রত্যাশিত ফলাফল উঠে না আসায় রিপাবলিকান প্রার্থী ডনাল্ড ট্রাম্পের সমর্থকেরা পথে নেমে প্রতিবাদ জানান৷
প্রতিবাদে অ্যানার্কিস্টরাও
অরেগনের প্রতিবাদী জনতাদের একাংশের মত, তাদের বাইডেন প্রয়োজন নেই৷ তারা শুধু ‘ফ্যাসিবাদী হত্যা’, ‘সাম্রাজ্যবাদী যুদ্ধ’ ও পুলিশি নির্যাতনের বদলা চায়৷ প্রতিবাদী জনতার হাতে ধরা ফেস্টুনে রয়েছে অ্যানার্কিস্ট বা নৈরাজ্যবাদী বিশ্বাসের চিহ্ন৷
প্রতিবাদীদের অস্ত্র
অরেগনের শহর পোর্টল্যান্ডের প্রতিবাদীদের মধ্যে এক নারীর হাতে ধরা রয়েছে একটি রাইফেল৷ এরই মধ্যে সেই শহরে দাঙ্গার পরিস্থিতি হওয়ায় অবস্থা সামলাতে পথে নেমেছে ন্যাশনাল গার্ড৷
পুলিশের মুখোমুখি
মিনেসোটা রাজ্যের মিনিয়াপোলিস শহরের দৃশ্য এটি৷ ঘোড়ায় সওয়ার পুলিশের মুখোমুখি বিক্ষোভকারী জনতার একাংশ৷
‘ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার’
পেনসিলভ্যানিয়ায় ভোটগণনা থামানোর দাবি করেছিল ট্রাম্পপক্ষ৷ বিপরীতে, ভোটগণনা নিয়ম মেনে শেষ করার দাবিতে মানুষ পথে নামেন৷ গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচনের প্রক্রিয়া শেষ হোক, এই বক্তব্য নিয়ে সেই বিক্ষোভে যোগ দেন ২০ বছরের আঙ্গেল রিভেরা৷ তার গায়ে ও হাতে স্পষ্ট স্লোগান: ‘ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার’৷
ভোট জমা পড়ে যেখানে
নির্বাচন বিশেষজ্ঞ শ্যানন জাস্তুপিল ও নির্বাচনকর্মী টম ডেফাজিও গভীর আলোচনায় মগ্ন উইসকনসিনের একটি ব্যালট রুমের ভেতর৷ তাদের চারদিকে স্তূপাকৃত করে রাখা আছে ‘মেল-ইন’ ও অ্যাবসেন্টি ব্যালট৷
করোনা সতর্কতাও আছে
ব্যস্ত হাতে ভোটগণনার কাজ করছেন উইসকনসিনের কেনোশা শহরের নির্বাচনকর্মীরা৷ গণতন্ত্র রক্ষার মাঝেও করোনাবিধি ভুলে যাননি কেউ৷ তাই প্রায় সবার মুখেই মাস্ক৷
সব ভোট সমান
করোনা সংক্রমণের ফলে মুখে মাস্ক এখন স্বাভাবিক জীবনের অঙ্গ৷ কিন্তু নিউ ইয়র্কের এক বাসিন্দা সেই মাস্ক দিয়েই নির্বাচনকর্মীদের প্রতি তার বক্তব্য জানাচ্ছেন: ‘কাউন্ট এভরি ভোট’, অর্থাৎ প্রতিটি ভোটই গোনা হোক৷