1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ভুয়া তথ্য দিলে জেল, তুরস্কে বিল পাস

১৪ অক্টোবর ২০২২

সামাজিক মাধ্যমে বা অন্যত্র ভুয়া তথ্য দিলে জেল হবে তুরস্কে। আইন পাস পার্লামেন্টে। সাংবাদিক থেকে সাধারণ মানুয সবারই জেল হতে পারে।

https://p.dw.com/p/4IAnP
সামাজিক মাধ্যমে ভুয়া তথ্য নিয়ে তুরস্কে বিল পাস।
সামাজিক মাধ্যমে ভুয়া তথ্য নিয়ে তুরস্কে বিল পাস। ছবি: OZAN KOSE/AFP/Getty Images

আইনে বলা হয়েছে, সামাজিক মাধ্যমে যিনি ভুয়া তথ্য দেবেন, তার ব্যক্তিগত সব তথ্য দিতে বাধ্য থাকবে সংশ্লিষ্ট সংস্থা।

কাউন্সিল অফ ইউরোপ জানিয়েছে, ভুয়া তথ্য কাকে বলা হবে, সেই বিষয়টি বিলে স্পষ্ট করে বলা হয়নি। তাদের মতে, ২০২৩-এর জুনে তুরস্কে নির্বাচন। তার আগে এই আইন পাস করার অর্থ হলো, মানুষকে জেলের ভয় দেখানো এবং মানুষ যাতে নিজেরাই সমালোচনা থেকে বিরত থাকে তার ব্যবস্থা করা।

আইনের একটি অংশ নিয়ে সবচেয়ে বেশি প্রশ্ন উঠছে। সেখানে বলা হয়েছে, অনলাইনে তুরস্কের নিরাপত্তা সংক্রান্ত কোনো তথ্য দিলে বা কোনো তথ্য যা জনমানসে ভয় তৈরি করতে পারে বা জনশৃঙ্খলার বিরোধী এমন কিছু লিখলে-- এক থেকে তিন বছরের জেল হবে।

প্রধান বিরোধী দল রিপাবলিকান পিপলস পার্টি (সিএইচপি) নেতা অ্যালটে বলেছেন, সংবাদপত্রের স্বাধীনতার ক্ষেত্রে তুরস্ক অন্যদের থেকে অনেক পিছিয়ে। এই আইন করার পর সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার তালিকায় তুরস্ক থাকবেই না।

কিন্তু এর্দোয়ানের দলের দাবি, ভুয়া ও ভুল তথ্যের স্রোত বন্ধ করার জন্য এই আইন দরকার ছিল। এই বিল সংবাদমাধ্যম বা বিরোধীদের চুপ করানোর জন্য করা হয়নি।

পার্লামেন্টে পাস হওয়ার পর বিলটি এখন প্রেসিডেন্টের অনুমোদনের জন্য গেছে। তিনি অনুমোদন দিলেই তা আইনে পরিণত হবে।

নির্বাচনের আগে তুরস্ক

আগামী বছর প্রেসিডেন্ট ও পার্লামেন্ট নির্বাচনের আগে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার বিষয়টি তুরস্কে খুবই গুরুত্ব পাচ্ছে। সমীক্ষা বলছে, এর্দোয়ান এবং তার দলের প্রতি জনসমর্থন কমছে।

মানবাধিকার সংগঠন কাউন্সিল অফ ইউরোপের পরামর্শদাতা ভেনিস কমিশন জানিয়েছে, এই আইনে অপরাধীদের জেলে পাঠানোর কথা বলা হয়েছে। খুবই উদ্বেগজনক বিষয়। এটাই মানুষকে ভয় পাইয়ে দেবে।

শুধু জেল নয় বিলে জরিমানার বিষয়টিও আছে। তাছাড়া সামাজিক মাধ্যমের সংস্থাগুলি অভিযুক্তের বিষয়ে যাবতীয় তথ্য দিতে বাধ্য থাকবে।

সামাজিক মাধ্যমে কড়াকড়ি

২০১৬ সালে ব্যর্থ অভ্যুত্থানের পর তুরস্কের প্রায় সব সংবাদপত্র ও টিভি এখন সরকারি কর্মকর্তাদের নিয়ন্ত্রণে থাকে।

কিন্তু সামাজিক মিডিয়াগুলি ব্যতিক্রম। পরে ফেসবুক, টুইটারের মতো বড় সংস্থাগুলিকে তুরস্ক একজন স্থানীয় প্রতিনিধি রাখতে বাধ্য করেছে, যিনি দ্রুত স্থানীয় আদালতের নির্দেশ মানবেন এবং আপত্তিকর পোস্ট মুছে দেবেন।

এর্দোয়ানের যুক্তি, তুরস্কের সমাজের উপর ভুাল ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত খবরের কুপ্রভাব পড়ছে। গত ডিসেম্বরে তিনি বলেন, সামাজিক মাধ্যম গণতন্ত্রের প্রধান বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার তালিকায় ১৮০টি দেশের মধ্যে তুরস্ক ১৪৯ নম্বরে। এই বছরের গোড়ায় রিপোটার্স উইথআউট বর্ডার এই তালিকা প্রকাশ করেছে। বলা হয়েছে, তুরস্ক হামেশাই সাংবাদিকদের জেলে পাঠায়।

গত জুলাইয়ে তুরস্কের রেডিও ও টেলিভিশন ইনস্টিটিউট লাইসেন্সের সমস্যার কথা বলে জার্মান সরকারি ব্রডকাস্টার ডয়চে ভেলেকে ব্লক করেছে।

জিএইচ/এসজি (এএফপি, রয়টার্স)