ভিসাপ্রার্থীদের ‘সোশ্যাল মিডিয়া' পরীক্ষা করবে যুক্তরাষ্ট্র
১ এপ্রিল ২০১৮আগামী মে মাসের শেষ নাগাদ এই নতুন নিয়ম চালু করা হতে পারে, যা বছরে প্রায় এক কোটি যুক্তরাষ্ট্র ভ্রমণপ্রত্যাশীর ওপর কার্যকর হবে৷
শুক্রবার প্রকাশ হওয়া স্টেট ডিপার্টমেন্টের পরিকল্পনায় বলা হয়, সাধারণ ভ্রমণকারী (ডিএস-১৬০) ও অভিবাসনপ্রত্যাশী (ডিএস-২৬০) উভয়ক্ষেত্রেই এই নিয়ম কার্যকর হবে৷ যাঁরা ব্যবসার কাজে কিংবা পড়াশোনার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে যেতে চান, তাঁদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হবে এটি৷ তবে কূটনীতিক বা আনুষ্ঠানিক সফরগুলো এই নিয়মের আওতামুক্ত থাকবে৷
নতুন নিয়ম অনুযায়ী, ভিসার জন্য ‘আবেদন জমা দেয়ার তারিখ থেকে পাঁচ বছর আগ পর্যন্ত' যতগুলো সামাজিক মাধ্যমে আবেদনকারী সক্রিয় ছিলেন, সবগুলোর তথ্য দিতে হবে আবেদনের সঙ্গে৷
ফেডারেল রেজিস্ট্রারে প্রকাশিত ঐ নোটিশে আরো লেখা হয়েছে, ‘‘এছাড়াও আবেদনের তারিখের পূর্ববর্তী পাঁচ বছরের সব ফোন নম্বর, ই-মেল অ্যাকাউন্ট ও আন্তর্জাতিক ভ্রমণের তথ্য'' জমা দিতে হবে৷
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নির্বাচনে জয়ের পর যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণকারীদের বিষয়ে ‘কড়া নজরদারির' ঘোষণা দেয়ার পর গত বছরই এই ধরনের উদ্যোগের পরামর্শ আসে৷ তবে বিভিন্ন পর্যায় থেকে তখনই একে ‘ব্যক্তি স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ' হিসেবে উল্লেখ করে প্রতিবাদও জানানো হয়৷
কিন্তু কর্তৃপক্ষের ভাষ্য যে, এতে করে তারা সম্ভাব্য সন্ত্রাসীদের খুঁজে বের করতে পারবে৷ উদাহরণ হিসেবে বলা হয়, ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে স্যান বার্নাডিনোতে বন্দুক নিয়ে হামলাকারী আগেই সামাজিক গণমাধ্যমে ‘জিহাদ'-এর ঘোষণা দিয়েছিলেন৷ কিন্তু তারপরও তিনি ভিসা পান৷
গত বছর যুক্তরাষ্ট্রে সাড়ে পাঁচ লাখেরও বেশি অভিবাসন ভিসার আবেদন জমা পড়েছে৷ আর সাধারণ ভ্রমণপ্রত্যাশীদের আবেদন জমা পড়েছে প্রায় ৯৭ লাখ৷
এমন একটি ব্যবস্থা আরো আগে থেকেই চালু আছে যুক্তরাষ্ট্রে৷ তবে যাঁরা জঙ্গি গোষ্ঠী নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলে ভ্রমণ করেছেন, শুধু তাঁদের সামাজিক গণমাধ্যমের তথ্যগুলো পর্যালোচনা করা হতো৷ আনুমানিক বছরে ৬৫ হাজার মানুষ সেই নিয়মে পড়তেন৷
শুক্রবারের ঘোষণার পর আগামী ৬০ দিন এই নতুন নিয়মের বিষয়ে আগ্রহীদের মন্তব্য জমা নেয়া হবে৷ ২৯ মে থেকে এই নিয়ম চালুর সম্ভাবনা রয়েছে৷
জেডএ/এসিবি (এএফপি, এপি)
এই নতুন নিয়ম সম্পর্কে আপনার মন্তব্য লিখুন নিচের ঘরে৷