ভাসান চরে যাচ্ছে রোহিঙ্গাদের প্রথম দল
১ ডিসেম্বর ২০২০তিনি ডয়চে ভেলের কনটেন্ট পার্টনার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোরকে সোমবার বলেন, ‘‘আমরা ভাসানচর পরিদর্শন করে এসেছি৷ আগামী ৭-১০ দিনের মধ্যে রোহিঙ্গাদের একটি দলটি ভাসান চরে স্থানান্তরের যাবতীয় প্রস্তুতি চলছে৷’’
কক্সবাজার ও তার বাইরে প্রায় ১১ লাখ রোহিঙ্গাকে নিয়ে নানা সামাজিক সমস্যা সৃষ্টির কারণে দুই বছর আগে সরকার তাদের একটি অংশকে ভাসান চরে স্থানান্তরের পরিকল্পনা নেয়৷ সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে ২৩১২ কোটি টাকা ব্যয়ে মোটামুটি ১৩ হাজার একর আয়তনের ওই চরে এক লাখের বেশি মানুষের বসবাসের ব্যবস্থা করা হয়েছে৷
মালয়েশিয়া যেতে ব্যর্থ হয়ে ফিরে আসা তিন শতাধিক রোহিঙ্গাকে সমুদ্র থেকে উদ্ধার করে ইতোমধ্যে ভাসানচরে নিয়ে রাখা হয়েছে৷
তবে রোহিঙ্গাদের ভাসান চরে স্থানান্তরের ব্যাপারে জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর আপত্তি রয়েছে৷ সাগরের মাঝে বিচ্ছিন্ন ওই দ্বীপে ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসে রোহিঙ্গারা কতটা নিরাপত্তা পাবে, তা নিয়ে তাদের উদ্বেগ৷ এ প্রসঙ্গে ভাসান চর আশ্রয়ণ প্রকল্পের পরিচালক কমোডোর আবদুল্লাহ আল মামুন চৌধুরী জানান, গত ১৭৬ বছরের মধ্যে কোনো ঘূর্ণিঝড় এই দ্বীপের ওপর দিয়ে অতিক্রম করেনি৷
গত কয়েক দশকে মিয়ানমারে দমন-নিপীড়নের শিকার হয়ে বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নেয় কয়েক লাখ রোহিঙ্গা৷
শরণার্থীদের ফেরত নিতে মিয়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশের চুক্তি হলেও এখনও তা নিয়ে অনিশ্চয়তা থাকায় রোহিঙ্গাদের ভাসান চরে স্থানান্তরের উদ্যোগ নেওয়া হয়৷
এনএস/কেএম (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)
গতবছরের সেপ্টেম্বরের ছবিঘরটি দেখুন...