1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ভারতে ৬৩ তম স্বাধীনতা দিবস উদযাপিত

১৫ আগস্ট ২০০৯

দিল্লির লালকেল্লা থেকে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিং৷ দেশবাসির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে, ভারতকে নতুন যুগের দিশা দেখাতে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি৷ তুলে ধরেন সরকারের নীতি ও কল্যাণ কর্মসূচির রুপরেখা৷

https://p.dw.com/p/JBy4
ছবি: AP

চিরাচরিত আনুষ্ঠানিকতার সঙ্গে শনিবার সারা ভারতে পালিত হলো ৬৩তম স্বাধীনতা দিবস৷ মূল অনুষ্ঠান দিল্লির লালকেল্লায়৷ ইলশে গুঁড়ি বৃষ্টিতে দুর্গপ্রাকারে বুলেট প্রুফ কাঁচের বেষ্ঠনীর মধ্যে থেকে জাতীয় পতাকা তুললেন প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিং৷ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে এই নিয়ে ছ'বার তিনি লালকেল্লা থেকে জাতীয় পতাকা তুললেন৷

প্রধানমন্ত্রীর প্রথাসিদ্ধ ভাষণের উল্লেখযোগ্য বিষয়গুলির মধ্যে ছিল : খরা ও অনাবৃষ্টিতে চাষীদের দুর্দশা দূর করতে সরকারের সব রকম সহায়তা দেওয়ার আশ্বাস৷ কৃষি উত্পাদন বাড়াতে বৈঞ্জানিক পদ্ধতিকে কাজে লাগিয়ে আর একটা সবুজ বিপ্লব আনা৷ এছাড়া, দেশে কেউ যাতে অনাহারে না থাকে তারজন্য আনা হবে খাদ্য সুরক্ষা আইন৷ আর গরিবি রেখার নীচে থাকা প্রতিটি পরিবারকে দেওয়া হবে মাসে কম দামে নিদ্দিষ্ট পরিমাণ খাদ্যশস্য৷

অত্যাবশ্যক সামগ্রীর মূল্যবৃদ্ধি রোধে কালোবাজারি ও মজুতদারদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা

সন্ত্রাস নির্মুল করতে দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও গোয়েন্দা নেটওয়ার্ক লাগাতার উন্নত করা৷ পাশাপাশি আর্থ-সামাজিক বৈষম্য দূর করা যাতে মাওবাদিরা সেটাকে হাতিয়ার করতে না পারে৷

জম্মু-কাশ্মীরে হালে পর পর দুবার ভোটে অংশ নিয়ে জনগণ প্রমাণ করেছেন, রাজ্যে বিচ্ছিন্নতাবাদের স্থান নেই৷ সাম্প্রদায়িক হিংসা রোধে সংসদে এক বিল আনা হয়েছে, শীঘ্রই তা আইনে পরিণত হবে৷ ভারত দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ায় শান্তি চায়৷ শান্তি চায় প্রতিবেশী দেশে৷

স্বাধীনতার ৬২ বছর পর আজকের প্রজন্ম কি চোখে দেখছে এই স্বাধীনতাকে ? তাঁদের আশা আকাংখা কতোটা পূরণ করতে পেরেছে স্বাধীন ভারত ? ডয়চে ভেলের কাছে নবীন প্রজন্মের এক প্রতিনিধি কোম্পানী এক্সিকিউটিভ বিশ্বজিত ঘোষাল বলেন, যতোটা পেয়েছি, তার থেকে পাইনি বেশি৷ তারজন্য জাতীয় রাজনীতির পুরো কাঠামোটা বদল করা জরুরি৷ গনতন্ত্রের বদ রক্ত বার করে দিতে হবে নতুন রক্ত৷ সেটা করবে শিক্ষিত নবীন প্রজন্ম৷ তাঁদেরকে বেশি করে আসতে হবে জাতীয় রাজনীতির মূলস্রোতে৷

প্রতিবেদক: অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুনদিল্লি

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ