1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ভারতে টুইটার নিয়ে বিতর্ক অব্যাহত

১৪ জুন ২০২৩

টুইটারের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা জ্যাক ডরসির অভিযোগ, ভারত সরকার দেশে টুইটার বন্ধ করার হুমকি দিচ্ছে।

https://p.dw.com/p/4SXc7
ভারত-টুইটার বিতর্ক
ছবি: Avishek Das/SOPA/ZUMA/picture alliance

মঙ্গলবার ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, ডরসির অভিযোগ সর্বৈব মিথ্যা। ভারত টুইটারকে এধরনের কোনো কথাই বলেনি।

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের ডেপুটি মন্ত্রী রাজীব চন্দ্রশেখর টুইট করেই এর প্রতিবাদ করেছেন। তার বক্তব্য, 'জ্যাক যা লিখেছেন, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। তার সময়ে ভারতে টুইটার একের পর এক আইন ভেঙেছে। কিন্তু ভারত কখনো এ ধরনের চাপ তৈরি করেনি।'

২০২১ সালে টুইটার ছাড়েন জ্যাক। তিনি টুইটারের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা। এক টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে সম্প্রতি জ্যাক বলেছেন, কৃষক আন্দোলন নিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে করা বেশ কিছু পোস্ট ভারত সরকার মুছে দিতে বলেছিল। হুমকি দেওয়া হয়েছিল, তা না করলে কর্মীদের বাড়িতে অভিযান চালানো হবে, টুইটার তুলে দেওয়া হবে। শুধু তা-ই নয়, সরকারবিরোধী বিভিন্ন পোস্ট সময়ে সময়ে মুছে দেয়ার, ব্লক করে দেয়ার আবেদন জানানো হয়েছে। জ্যাকের দাবি, 'এই হলো নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে ভারতের গণতন্ত্রের চেহারা।'

যে কারণে হুমকির মুখে ভারতের সাংবাদিক রানা আইয়ুব

চন্দ্রশেখরের অভিযোগ, ২০২০ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত একের পর এক মিথ্যা খবর প্রচার করে গেছে টুইটার। ভারত সেই ফেক নিউজ বা ভুয়া খবর বন্ধ করার আর্জি জানিয়েছে কেবল। কারণ, ওই ধরনের খবর পরিস্থিতি জটিল করে দিতে পারতো। কিন্তু টুইটার বন্ধের হুমকি কখনো দেয়া হয়নি। কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি, জেলেও ঢোকানো হয়নি।

আন্তর্জাতিক অধিকার মঞ্চগুলির অভিযোগ, করোনা-কালে এবং কৃষক আন্দোলনের সময় সরকারের বিরুদ্ধে করা একাধিক টুইট ব্লক করার মরিয়া চেষ্টা চালিয়েছিল গেরুয়া সরকার। টুইটারের অফিসে রেড করা হয়েছে। জ্যাকের সাক্ষাৎকারেও সেই কথাগুলিই উঠে এসেছে বার বার।

ভারতে টুইটারের বিরাট বাজার আছে। টুইটারের জন্য ভারত বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম বাজার। জাপান, রাশিয়া এবং তুরস্কের পরেই। টুইটারের বর্তমান কর্তৃপক্ষের সঙ্গে ভারতের বনিবনা ভালো বলেই বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য।

এসজি/জিএইচ (রয়টার্স, পিটিআই)