ভারতের মুখ্য ভিজিল্যান্স কমিশনারের নিয়োগ বাতিল
৩ মার্চ ২০১১একেই বলে সর্ষের মধ্যে ভুত৷ দুর্নীতি দমনের কাজে নজর রাখতে শীর্ষ ব্যক্তি হিসেবে চিফ ভিজিল্যান্স কমিশনার পদে যাঁকে নিয়োগ করা হয়, সেই পি.জে থমাস নিজেই দুর্নীতি মামলায় জড়িত বলে থমাসের নিয়োগ বাতিল করে বৃহস্পতিবার রায় দেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতিসহ তিনজন বিচারকের ডিভিশন বেঞ্চ৷ একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার দায়ের করা জনস্বার্থ মামলার এই রায়ে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের কমিটি নিয়োগের সময় প্রাসঙ্গিক তথ্যাদি বিবেচনা না করায় থমাসের এই নিয়োগ অবৈধ৷ রায়ের অব্যবহিত পরেই থমাস ইস্তফা দেন৷ ৬-মাস আগে তিনি ঐ পদে নিযুক্ত হন৷ তার আগে থমাস ছিলেন টেলিকম বিভাগের সচিব৷
উল্লেখ্য, ১৯৯১-৯২ সালে মালেশিয়া থেকে পামোলিন আমদানিতে ঘুষ নেবার অভিযোগ ওঠে৷ ঐ আমদানিতে সরকারের লোকসান হয় ২ কোটি ৩২ লাখ টাকা৷সে সময় কেরালায় ছিল কংগ্রেস সরকার৷ থমাস ছিলেন সেই সরকারের খাদ্য সচিব৷
সুপ্রিম কোর্টের রায় মেনে নিয়েছেন বলে মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী ড: মনমোহন সিং৷ বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি এই রায়কে স্বাগত জানিয়েছে৷ এবিষয়ে সংসদে সরকারের বিবৃতি দাবি করেছে বিজেপি৷ প্রধানমন্ত্রীর বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সিপিআই-এম সাংসদ বৃন্দা কারাত৷ কারণ এই ভুল সিদ্ধান্তের তিনিও ভাগিদার৷ বিজেপি সভাপতি নীতিন গাডকরী বলেন, এই রায় মনমোহন সিং সরকারের গালে এক চপেটাঘাত৷ নিয়োগ কমিটির সদস্য হিসেবে সুষমা স্বরাজের আপত্তিতে কান দিলে সরকারকে আজ বেইজ্জত হতে হতোনা৷ সিপিআই-এম সাংসদ সীতারাম ইয়েচুরি, প্রথম দিন থেকে আমাদের যে অবস্থান ছিল সেটাই সঠিক প্রমাণিত৷এই রায়ে সবথেকে বড় ধাক্কা খেয়েছে ইউপিএ সরকার, মনমোহন সিং, সোনিয়া গান্ধী এবং কংগ্রেস বলেন বিজেপি নেতা রুডি৷ আইনমন্ত্রী বীরাপ্পা মইলি বলেন, নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ভুল হয়ে থাকলে সেই প্রক্রিয়া পর্যালোচনা করা হবে৷
প্রতিবেদন: অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুনদিল্লি
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক