ভারতের বিতর্কিত টেলিকমমন্ত্রী ইস্তফা দিতে নারাজ
১২ নভেম্বর ২০১০বিরোধীদের অভিযোগের হাতিয়ার, কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেলের রিপোর্ট৷
বিরোধীদের দাবি নস্যাৎ করে টেলিকম মন্ত্রী শরিক দলের এ.রাজা বলেন, টু-জি স্পেকট্রাম বন্টনে কোন দুর্নীতি করা হয়নি, নিয়ম মেনেই তা করা হয়েছে৷ কাজেই তাঁর ইস্তফা দেবার প্রশ্ন ওঠেনা৷ টেলিকম বিভাগ বন্টনের বিষয়ে আদালতে তিনি হলফনামা দিয়েছেন, বিষয়টি আদালতের বিচারাধীন৷ কাজেই বিস্তারিত কিছু বলা যাবেনা৷
এ.রাজার ডিএমকে দলের প্রধান করুণানিধি মন্ত্রীর পক্ষে জোরালো সওয়াল করে বলেছেন, রাজার পদত্যাগের কোন কারণ নেই৷ ২০০৮ সালে টু-জি স্পেকট্রাম বন্টনে রাজা তাঁর পূর্বসূরি বিজেপি মন্ত্রীদের নিয়মই অনুসরণ করেছেন৷ তাহলে দোষটা কোথায়? গোটা বিরোধী পক্ষ এবং অন্যান্যরা হাতিয়ার করেছে সরকারের কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেলের রিপোর্টকে৷ রিপোর্ট সরকারের কাছে পেশ করার আগেই ফাঁস হয়ে যায়৷ মূলত তার ভিত্তিতে বিরোধীদের অভিযোগ, টেলিকম মন্ত্রী টু-জি স্পেকট্রামের লাইসেন্স নিলাম না করে বন্টন করেছেন নির্বাচিত কিছু কোম্পানিকে বাজার দামের চেয়ে কম দামে৷ নিলাম করলে সরকারের কোষাগারে আসতো অনেক বেশি টাকা৷ বন্টন করা হয়েছে এমন অনেক কোম্পানিকে যারা এই ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত নয়৷ তাই পরে সেইসব কোম্পানি বেশি টাকায় তা বিক্রি করে দেয় অন্যদের৷ উদাহরণ, থ্রি-জি স্পেকট্রাম নিলাম করে সরকার যেখানে পায় ৬৮ হাজার কোটি টাকা সেখানে টু-জি স্পেকট্রাম বন্টন করে পায় মাত্র ১০ হাজার কোটি টাকা৷
এই অবস্থায় কংগ্রেস পড়েছে উভয় সঙ্কটে৷ এ.রাজাকে সরালে সরকারের ওপর থেকে সমর্থন তুলে নেবে বলেছে ডিএমকে দল৷ না সরালে সরকারের বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রীর ভাবমূর্তি হবে কলঙ্কিত৷ সঙ্কটমোচনে আসরে নেমেছেন প্রণব মুখোপাধ্যায়৷ মধ্যপন্থায় রাজার পরিবর্তে দলের অন্য কাউকে ঐ পদ দিতে চেয়ে ডিএমকে প্রধান করুণানিধিকে তিনি অনুরোধ করেন৷ তিনি তা মানতে অস্বীকার করেন৷ এখন এর ফয়সালা আদালতের হাতে এবং প্রধানমন্ত্রী সৌল থেকে ফিরে এলে৷
তামিলনাড়ু রাজনীতিতে ডিএমকে দলের বিরোধী এআইএডিএমকে দলের প্রধান জয়ললিতা এগিয়ে এসেছেন সরকারের সমর্থনে৷ বলেছেন, ডিএমকে চলে গেলে তাঁর দল কংগ্রেস-জোট সরকারকে সমর্থন করবে৷ পাল্টা চালে ডিএমকে বলেছে, সমর্থন তুলে নিলেও জয়ললিতার দলকে আটকাতে তারা বাইরে থেকে সমর্থন দেবে সরকারকে৷
প্রতিবেদন: অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুনদিল্লি
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল ফারূক