1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পোশাক খাত

২৫ মার্চ ২০১২

ভারত বাংলাদেশে তুলা রফতানি বন্ধ করে দেয়ায় বাংলাদেশের স্পিনিং মিল এবং তৈরি পোশাক শিল্প ক্ষতির মুখে পড়ছে৷ কারণ বাংলাদেশ মূলত শতভাগ আমদানি করা তুলার উপর নির্ভরশীল৷

https://p.dw.com/p/14RAm
ছবি: Fotolia/Anyka

শিল্প মালিকদের দাবি দু'দেশের সরকারী পর্যায়ে আলাপ আলোচনার মাধ্যমে এই অচল অবস্থার অবসান প্রয়োজন৷ নয়তো বিকল্প পথে যেতে হবে শিল্প মালিকদের৷

কোনরকম পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই ৪ মার্চ থেকে ভারত সরকারের নির্দেশে সেদেশ থেকে বাংলাদেশে তুলা রফতানি বন্ধ আছে৷ আর এই তুলার উপর বাংলাদেশের স্পিনিং মিল এবং তৈরি পোশাক শিল্প নির্ভরশীল৷ দেন দরবার করে পাইপ লাইনে থাকা তুলা আনা গেলেও নতুন তুলা ভারত থেকে আমাদানি করা যাচ্ছেনা৷ অথচ এবার ভারতে তুলা উৎপাদন আগের বছরের চেয়ে বেশি হয়েছে বলে জানালেন বাংলাদেশ কটন এসোসিয়েশনের সভাপতি মোহাম্মদ আইউব৷

তিনি জানান বাংলাদেশে প্রতিবছর তুলার চাহিদা চার মিলিয়ন বেল৷ আর এর প্রায় ৪০ ভাগই আসে ভারত থেকে৷ এর কারণ পরিবহন খরচ কম পড়ে এবং ভারতের তুলার দাম কিছুটা কম৷ ফলে ভারতের তুলার ওপর নির্ভরতা গড়ে উঠেছে৷ তাই হঠাৎ করে ভারত থেকে তুলা রফতানি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ক্ষতির মুখে পড়েছে বাংলাদেশের কটন এবং তৈরি পোশাক শিল্প৷

তিনি বলেন ভারত থেকে বাংলাদেশের শিল্প উদ্যোক্তারা তুলা আমদানি করে বেসরকারী পর্যায়ে৷ এখন এই পরিস্থিতিতে সরকারের উদ্যোগ প্রয়োজন৷ তিনি বলেন বাংলাদেশ সরকার যদি ভারতের সঙ্গে আলাপ করে তুলার জন্য একটি কোটা নির্ধারণ করতে পারে তাহলে সবচেয়ে ভাল হয়৷

এক বছর আগেও ভারত এভাবে হঠাৎ করেই বাংলাদেশে তুলা রফতানি বন্ধ করে দিয়েছিল৷ তখনও বাংলাদেশের কটন এবং তৈরি পোশাক শিল্প ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়ে৷ মোহাম্মদ আইউব জানান, ভারত যদি শেষ পর্যন্ত তুলা না দেয় তাহলে বিকল্প উৎস অস্ট্রেলিয়া, আফ্রিকা, ব্রাজিল, আমেরিকা বা পাকিস্তান থেকে তুলা আমদানি করতে হবে৷

প্রতিবেদন: হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা

সম্পাদনা: জাহিদুল হক

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য