ব্রিটিশ নির্বাচনের ফল ত্রিশঙ্কু হতে পারে, বলছে সমীক্ষা
৬ এপ্রিল ২০১০সোনালি রোদে ভাসা প্রথম বসন্তের সকালবেলায় ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিটে সস্ত্রীক গর্ডন ব্রাউন কিছু উল্লসিত লেবার সমর্থকের সামনে নির্বাচনের যে নির্ঘন্ট জানালেন, তাতে আর মাত্র তেত্রিশ দিন বাকি৷ সাধারণ নির্বাচনের জন্য এই সময়টা অত্যন্ত যে তাতে আর সন্দেহ কী ? কিন্তু, সময় যতই কম হোক, লেবারদের প্রায় সতেরো বছরের শাসনের অবসান ঘটাব এমন একটা মানসিকতায় যথেষ্ট দৃঢ় দেখাচ্ছে বিরোধীদের৷
বিরোধী বলতে কনজারভেটিভ দল৷ নতুন শতাব্দে এ পর্যন্ত ব্রিটিশ ক্ষমতাকেন্দ্রে পা রাখতে তারা ব্যর্থ৷ প্রথমে ইরাক যুদ্ধ, তারপরে আর্থিক মন্দার মার, এইসব সরকার বিরোধী অভিযোগকে কাজে লাগিয়ে বিরোধী রক্ষণশীলরা তাই আশাবাদী, যে শিকে ছিঁড়বেই এই নির্বাচনে৷
কিন্তু শিকে কী আদৌ ছিঁড়বে ? আমজনতা নয়, প্রশ্নটা মিডিয়ার৷ আরও খোলসা করে বললে প্রশ্ন তুলছে নির্বাচনমুখী সমীক্ষা বা জনমত জরিপ৷ লেবারদের ওপর যে ভোটারকরা মহা খাপ্পা এমনটাও নয় আবার লেবারদের গলা জড়িয়েই যে ব্রিটিশরা থাকতে চান এমনটাও মনে হচ্ছে না৷ ফলে ত্রিশঙ্কু সংসদ হওয়ার সম্ভাবনার কথাই জোর দিয়ে বলছে সবগুলো জরিপ৷ বেশ বোঝা যাচ্ছে যে এই নির্বাচনে বহুদিন পর রক্ষণশীল বা কনজারভেটিভরা ভালো ফল যেমন করবে তেমনই কিছু ছোট দল যেমন লিবারাল ডিমোক্র্যাট বা উদার গণতন্ত্রীদের জন্যও ভালো সম্ভাবনা রয়েছে আগামী ৬ মে-র নির্বাচনে৷ লিবারাল ডিমোক্র্যাট দলের শীর্ষ নেতা নিক ক্লেগ ইতিমধ্যেই নেমে পড়েছেন প্রচারে৷ এবং সাফ বলছেন, ব্রাউন তথা লেবার জমানাকে ক্ষতম করতে একেবারে প্রস্তুত তাঁরা৷
তার মানে লড়াইটা হতে চলেছে ত্রিমুখী৷ ব্রাউনের লেবার দল, ক্যামেরনের কনজারভেটিভ আর ক্লেগ-এর লিবারাল ডিমোক্র্যাটরা৷ সময় খুবই কম৷ প্রচারের ব্যস্ততা যাকে বলে তুঙ্গে৷ আগামী কয়েকটা সপ্তাহ ব্রিটিশ রাজনীতির দিকেই চোখ থাকবে আন্তর্জাতিক মহলের৷ আর টিভির পর্দায় চোখ রাখবেন ব্রিটিশরা৷ কারণ, নির্বাচনী বিতর্ক এখন চলবে চ্যানেলে চ্যানেলে৷ তার সঙ্গেই ক্রমশ চড়বে ভোটের ব্যারোমিটার৷
প্রতিবেদক : সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়
সম্পাদনা : দেবারতি গুহ