1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘প্রবারণা পূর্ণিমা’

হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা২৯ অক্টোবর ২০১২

প্রবারণার আলোয় সব হিংসা বিভেদ দূর করে আবার জেগে ওঠার শপথ নিয়েছেন বৌদ্ধসহ সব সম্প্রদায়ের মানুষ৷ তারা বলেছেন বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি অটুট রাখা হবে৷ যারা এই সম্প্রীতি নষ্ট করতে চায় তারা দেশ এবং মানবতার শত্রু৷

https://p.dw.com/p/16YTW
Exiled Tibetan Buddhist monks participate in a candlelit vigil to mourn the death of two Tibetan women who allegedly immolated themselves on March 3rd and 4th in two separate incidents in Tibet, in Dharmsala, India, Monday, March 5, 2012. Chinese repression has led to the self-immolations of many Tibetans and deadly clashes with Chinese authorities. (Foto:Ashwini Bhatia/AP/dapd)
ছবি: AP

আজ বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের ২য় বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব ‘প্রবারণা পূর্ণিমা'৷ আশংকা ছিল গত ২৯শে সেপ্টেম্বর কক্সবাজারের রামুতে বৌদ্ধ বসতি আর বিহারে হামলা এবং আগুনের পর হয়তো তারা এই উৎসব পালন করতে পারবেন না৷ কিন্তু তারা আপন শক্তিতে জেগে উঠেছেন৷ প্রাণের আলোয় আলোকিত হয়ে ‘প্রবারণা পূর্ণিমা' উদযাপনের মাধ্যমে অহিংসার বাণী ছড়িয়ে দিচ্ছেন৷

রবিবার সন্ধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে তাই আয়োজন করা হয় প্রবারণা সংহতি সমাবেশ৷ এই সামাবেশে যোগ দেন বৌদ্ধ সম্প্রদায়সহ সব সম্প্রদায়ের মানুষ৷ওড়ানো হয় ফানুস আর জ্বালানো হয় হাজার প্রদীপ৷ সবার প্রার্থনা এই আলোয় সব আঁধার যেন দূর হয়৷

অনুষ্ঠানে এসে ঢাকার আন্তর্জাতিক বৌদ্ধ বিহারের অধ্যক্ষ ধর্মমিত্র মহাথেরো ডয়চে ভেলেকে জানান, হিংসা নয়, ভালবাসা দিয়ে জয় করতে হবে৷ প্রত্যাঘাত নয়, শান্তির পথে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে৷

আর কথা সাহিত্যিক আনিসুল হক বললেন, সম্প্রীতি আর মিলনের বাণীকে বড় করে তুলতে হবে৷ আমাদের যা কিছু ইতিবাচক আছে তাই তুলে ধরতে হবে৷

প্রবারণা সংহতি সমাবেশে আরো যোগ দিয়েছেন শিল্প মন্ত্রী দিলীপ বড়ুয়া, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকসহ সুশীল সামাজের প্রতিনিধি, সাংবাদিক, সাহিত্যিক, শিল্পীরা৷ শিল্প মন্ত্রী দিলীপ বড়ুয়া বলেছেন, রামুতে যারা হামলা চালিয়েছে তাদের অবশ্যই শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে৷ অনুষ্ঠানের শেষে ছিল মানবাতাবাদী গান৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য