বেসামরিক পরমাণু দায়বদ্ধতা বিলে মন্ত্রিসভার অনুমোদন
২০ আগস্ট ২০১০শব্দটি কী ছিল যা নিয়ে বিজেপির আপত্তি? শব্দবন্ধটি ছিল ইংরেজি ‘অ্যান্ড' মানে ‘এবং'৷ আপাত নিরীহ হলেও এই ক্ষেত্রে শব্দটির ব্যঞ্জনা ব্যাপক৷ বিলের ১৭ক ধারা আর আর ১৭খ ধারার মধ্যে, ‘এবং' শব্দটি সরকার পরে জুড়ে দেওয়ার ফলে তার অর্থ দাঁড়িয়েছে নাকি অন্যরকম৷ কাজেই বিজেপি'র দাবি, সম্মত রিপোর্টে যে ভাষা ছিল, সেটাই রাখতে হবে৷ সরকার তা মেনে ‘অ্যান্ড' শব্দটি বাদ দেবার পর কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় বিলটি অনুমোদিত হয়৷ ফলে বিজেপি'র সমর্থনে সংসদের শীলমোহর পেতে আর কোন বাধা রইলনা৷ কাজেই, নভেম্বরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ওবামার ভারত সফরের আগে বিলটি পাশ করানো নিয়ে আর চিন্তা রইল না প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিং-এর৷ আজকালের মধ্যেই বিলটি সংসদে পেশ করা হবে৷
উল্লেখ্য, বিজেপি'র সুপারিশ ছিল, দুর্ঘটনার দায় পরমাণু সাজসরঞ্জাম সরবরাহকারিকেও সমানভাবে নিতে হবে৷ ১৭-এর (ক ও খ) উপধারার মধ্যে ‘অ্যান্ড' শব্দ জুড়ে দেওয়ার অর্থ দাঁড়ায়, সরকার ও সরঞ্জাম সরবরাহকারির মধ্যে এজন্য থাকবে পৃথক লিখিত চুক্তির সংস্থান৷ সেখানে সরকার ইচ্ছা করলে সরবরাহকারিকে ছাড় দিতে পারে৷ উল্লেখ্য, বিলের অন্যান্য সংশোধনগুলি সরকারআগেই মেনে নেয়৷ যেমন শুধুমাত্র সরকারি সংস্থাই পরমাণু কেন্দ্র স্থাপন করবে৷ অপারেটরদের ন্যুনতম দায় ৫০০ কোটি টাকা থেকে বাড়িয়ে করা হয় ১৫০০ কোটি টাকা৷ প্রয়োজনে বিজ্ঞপ্তি জারি করে আরো বাড়ানো যেতে পারে৷ দুর্ঘটনার পর ক্ষতিগ্রস্তদের আদালতে গিয়ে ক্ষতিপূরণ চাইতে হবে না৷ এজন্য নিয়োগ করা হবে বিশেষ কমিশনার৷
বিজেপি'র সমর্থন পাবার পর আরজেডি, এসপি ও বিএসপি'র মত দলের সঙ্গে দর কষাকষির আর দরকার হলো না৷ উপরন্তু বাম ও বিজেপি'র বিভাজন ঘটাতেও সমর্থ হলো সরকার৷ বিজেপি'র পাশাপাশি অনুরুপ আপত্তি তুলেছিল বামেরা, যার অনেকগুলিই মেনে নিয়েছে সরকার৷ কিন্তু ক্ষতিপূরণের সীমা বেঁধে দেয়া নিয়ে মতান্তর রয়ে গেছে বামেদের সঙ্গে৷
প্রতিবেদন: অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুনদিল্লি
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ