1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
রাজনীতিপাকিস্তান

বেলুচিস্তানে বন্দুকধারীর হামলা, নিহত অন্তত ১৫

৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪

পাকিস্তানের বেলুচিস্তানে রোববার এই ঘটনা ঘটেছে। নিহতদের অধিকাংশই পাঞ্জাব অঞ্চল থেকে পরিযায়ী শ্রমিক হিসেবে গেছিলেন।

https://p.dw.com/p/4lDWb
বালোচিস্তানে হামলা
বালোচিস্তানে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের হামলাছবি: Banaras Khan/AFP/Getty Images

এখনো পর্যন্ত কোনো গোষ্ঠী হামলার দায় স্বীকার করেনি। তবে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, বালুচ বিচ্ছিন্নতাবাদীরাই এই হামলার পিছনে জড়িত।

পাকিস্তানপুলিশ সরকারিভাবে জানিয়েছে, ঘটনায় সাতজন শর্মিকের মৃত্যু হয়েছে। তবে অসমর্থিত সূত্র জানিয়েছে, ইতিমধ্যেই ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। বস্তুত, বেলুচিস্তানের পশ্চিমে পাঞ্জগুর অঞ্চলে এই ঘটনা ঘটেছে। প্রথম আক্রমণের পর আশপাশে বেশ কয়েকটি এলাকায় আরো হামলার ঘটনা ঘটে।

বালোচ বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীগুলির বক্তব্য, তাদের এলাকায় বাইরের অঞ্চল থেকে কেউ এসে কাজ করতে পারবে না। গত অগাস্টে বালোচ লিবারেশন আর্মি বেশ কিছু আক্রমণ চালায়। তাতে ৩৯ জন পরিযায়ী শ্রমিকের মৃত্যু হয়। বিচ্ছিন্নতাবাদীরা হাইওয়েতে ট্রাক থামিয়ে বেছে বেছে অ-বালোচ শ্রমিকদের গুলি করে হত্যা করে।

বেলুচিস্তানে সশস্ত্র হামলায় নিহত ৭৩

এর আগে গত মে মাসে গদর বন্দর শহরে সাত জন নাপিতকে একই কারণে হত্যা করা হয়েছিল। গত এপ্রিলে ১১ জন পাঞ্জাবি শ্রমিককে হত্যা করা হয়।

বেলুচিস্তানের অবস্থা

পাকিস্তানের গরিবতম অঞ্চলগুলির অন্যতম বেলুচিস্তান। এই অঞ্চলে বালোচ বিচ্চিন্নতাবাদীরা নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য এবং পরিযায়ী শ্রমিকদের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে।

পাকিস্তানের জনসংখ্যার একটি বড় অংশ পাঞ্জাবি। যারা পাকিস্তানের পাঞ্জাবি বলে পরিচিত। ব্যবসা-বাণিজ্যের পাশাপাশি সেনা এবং পুলিশ বাহিনীতেও পাঞ্জাবিদের আধিপত্য। আর এই কারণেই পাঞ্জাবিদের বিরুদ্ধে একের পর এক আক্রমণ চালায় বালোচরা। তাদের বক্তব্য, তাদের এলাকায় এসে পাঞ্জাবি ব্যবসায়ী এবং শ্রমিকরা তাদের কাজ ছিনিয়ে নিচ্ছে।

অন্যদিকে পাকিস্তান সরকার এবং চীনের উপরেও তীব্র ক্ষোভ আছে বালোচ বিচ্ছিন্নতবাদীদের। চীনের বেল্ট অ্যান্ড রোড প্রকল্পের অন্যতম বন্দর গদর। যা বালোচিস্তানের অংশ। বালোচ বিচ্ছিন্নতাবাদীরে অভিযোগ, তাদের এলাকায় ঢুকে চীন এবং পাকিস্তান তাদের জমি কেড়ে নিচ্ছে। উন্নয়নের নামে বালোচদের উপর আক্রমণ চালানো হচ্ছে।

এসজি/জিএইচ (রয়টার্স, এএফপি)