বেলজিয়ামের বিস্ময় বালক স্নাতকের আগেই বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়ছে!
১১ ডিসেম্বর ২০১৯স্নাতক পরীক্ষার তারিখ নিয়ে মতপার্থক্যের জেরে নেদারল্যান্ডসের আইন্ডহোফেন ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি ছাড়তে বাধ্য হচ্ছেন লরাঁ৷
কারণ, স্নাতক শেষ করতে লরাঁর এখনো যতগুলো পরীক্ষা বাকি তা ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ করা সম্ভব নয় বলে মত বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের৷
নয় বছরের লরাঁ গত মাসেই আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে সংবাদের শিরোনাম হয়েছিলেন৷ বলা হয়েছিল, আগামী ২৬ ডিসেম্বর দশম জন্মদিনের আগেই এই বালক আইন্ডহোফেন ইউনির্ভাসিটির তড়িৎ প্রকৌশল বিভাগ থেকে স্নাতক সম্পন্ন করতে যাচ্ছেন৷ সেটা হলে তিনি হতেন বিশ্বের সর্বকনিষ্ঠ স্নাতক ডিগ্রিধারী৷
কিন্তু এখন ডিগ্রি পাওয়া দূরে থাক, ডিসেম্বরের মধ্যে পরীক্ষা শেষ করা নিয়েই তো গণ্ডগোল৷
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সোমবার লরাঁ ও তার বাবা-মাকে ডেকে পরীক্ষার তারিখ নিয়ে তাদের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন সম্ভব নয় বলে পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছে৷
তারা বলেন, ''লরাঁ ঈশ্বরের বিশেষ উপহার৷ সে অভূতপুর্ব গতিতে তার লেখাপড়ায় এগিয়ে যাচ্ছে৷ তারপরও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের বিশ্বাস তাকে এখনো যতগুলো পরীক্ষায় পাস করতে হবে, সেটা ২৬ ডিসেম্বরের মধ্যে সম্পন্ন করা সম্ভব হবে না৷''
বিশ্ববিদ্যালয় থেকে লরাঁকে পরীক্ষার যে সম্ভাব্য সময়সূচী দিয়েছে তাতে সব শেষ করতে আগামী বছর মাঝামাঝি হয়ে যাবে৷
যদিও এ যুক্তি মানতে নারাজ লরেন্টের বাবা-মা৷ তারা বলছেন, ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ই যথেষ্ট৷ তাই তারা আইন্ডহোফেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রস্তাব গ্রহণ না করার এবং ছেলেকে সেখান থেকে সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন৷
লরাঁর বাবা মঙ্গলবার বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, ''গত সপ্তাহেও সব ঠিক ছিল৷ অথচ এখন তারা ছয় মাস বেশি সময় লাগার কথা বলছে৷
''লরাঁর পরীক্ষা তারিখ কখনোই ধর্তব্যের মধ্যে ছিল না৷ আজই দুইটি বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয় তার ব্যাপারে আগ্রহ দেখিয়েছে এবং এখনো আমাদের হাতে যথেষ্ট সময় আছে৷''
লরাঁর বাবা বেলজিয়ান এবং মা ডাচ৷ শিশু বয়সে দাদা-দাদীর কাছে বেড়ে উঠা লরাঁ চার বছর বয়সে প্রাথমিক স্কুলে ভর্তি হন৷
বর্তমানে সবচেয়ে কম বয়সে স্নাতক ডিগ্রিধারী যুক্তরাষ্ট্রের মাইকেল করনি৷ ১৯৯৪ সালের জুনে মাত্র ১০ বছর চার মাস বয়সে স্নাতক সম্পন্ন করে তিনি গিনস বুকে নাম লেখান৷
এসএনএল (রয়টার্স, এপি)