বৃহস্পতিবারও জেলে থাকতে হবে নেতা-মন্ত্রীদের
২০ মে ২০২১অনিবার্য কারণ বশত প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ বৃহস্পতিবার বসতে পারছে না। হাইকোর্টের ওয়েবসাইটে নোটিস দিয়ে জানানো হয়েছে। যার জেরে পিছিয়ে গেল নারদ-শুনানি। শুক্রবার বেঞ্চ বসবে কি না, তা ওই দিনই জানা যাবে।
বুধবার কলকাতা হাইকোর্টে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ অথবা প্রথম ডিভিশন বেঞ্চে নারদ মামলার শুনানি হয়। কিন্তু ফয়সলা হয়নি। বৃহস্পতিবার ফের শুনানি হওয়ার কথা ছিল। বুধবার শুনানি ঘিরে নাটক হয়েছে অনেক। সিবিআই মামলায় ঢুকিয়ে নিয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর নাম। অন্যদিকে, মন্ত্রী-বিধায়কদের আইনজীবী অভিষেক মনু সিঙ্ভি আদালতকে জানিয়েছেন, সিবিআই নজিরবিহীন ঘটনা ঘটিয়ে ফেলেছে।
আজ, বৃহস্পতিবার দুইটি বিষয়ে নির্দেশ দিতে পারে আদালত। এক, দুই মন্ত্রী, এক বিধায়ক এবং সাবেক মেয়র জামিন পাবেন কি না। এবং দুই, সিবিআইয়ের আর্জি মেনে মামলা রাজ্যের বাইরে নিয়ে যাওয়া হবে কি না। সিবিআইয়ের দাবি, রাজ্যে মামলা চললে সরকারি দল তাতে প্রভাব খাটানোর চেষ্টা করতে পারে। যে ভাবে নিজাম প্যালেসে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অবস্থান বিক্ষোভ দেখিয়েছেন, তা নজিরবিহীন। আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক এবং সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপধ্যায়ের নামও মামলায় জড়িয়েছে সিবিআই। তাদের বক্তব্য, এ কারণেই মামলাটি রাজ্যের বাইরে নিয়ে যাওয়া দরকার।
কংগ্রেস নেতা, দুঁদে আইনজীবী এবং রাজ্য সরকারের আইনজীবী অভিষেক মনু সিঙ্ভি অবশ্য সিবিআইয়ের এই বক্তব্য উড়িয়ে দিয়েছেন। সলমন খান এবং সঞ্জয় দত্তের প্রসঙ্গ টেনে এনে তিনি বলেছেন, তারা প্রভাবশালী ছিলেন বলে মামলা সরিয়ে নেওয়া হয়নি। একই সঙ্গে সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে পাল্টা মন্তব্য করেছেন তিনি। সিঙ্ভির মন্তব্য, চার বছরের পুরনো মামলা। নির্বাচনের সময় পুরনো সরকার ইস্তফা দেওয়ার পরেই কেন রাজ্যপালের কাছে সিবিআই অনুমতির জন্য আবেদন করলো? কেন এই সময়টাকেই বেছে নেওয়া হলো? শুধু তাই নয়, যে প্রক্রিয়ায় চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।
এ দিন হাইকোর্ট সিবিআইয়ের আইনজীবীকে প্রশ্ন করেন, করোনাকালে কেন চার নেতাকে জেলে রাখতে হবে? সিবিআই সেখানেও প্রভাবের প্রসঙ্গটি তোলে।
বুধবার শুনানি চলেছে আড়াই ঘণ্টা। পরবর্তী শুনানি শুক্রবার হয় কি না, সেটাই এখন দেখার। তবে হাইকোর্টের এক সূত্র জানিয়েছে, আদালতের রেজিস্ট্রার জেনারেলের কাছে নতুন ডিভিশন বেঞ্চ তৈরির আবেদন জানাতে পারেন চার নেতা-মন্ত্রী। বিষয়টি নিয়ে ভাবনাচিন্তা শুরু হয়েছে।
এসজি/জিএইচ (পিটিআই)