1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বুন্ডেসলিগা: বায়ার্ন আবার শীর্ষে, শালকে হারাল হফেনহাইমকে

৩১ জানুয়ারি ২০১০

বৃষ্টি নয়, রীতিমতো তুষারপাতের মধ্যে ফ্যান বয়টেন, মারিও গোমেজ এবং আরিয়েন রবেনের গোল: বায়ার্ন মিউনিখের সেই পুরনো দাপট যেন আবার ফিরে এসেছে, ফিরে এসেছে কোচ লুইস ফ্যান গালের মুখের হাসি৷

https://p.dw.com/p/LnqN
রিয়াল মাদ্রিদ থেকে আগত আরিয়েন রবেনকে স্বাগত জানিয়েছিলেন ফ্যান গাল মাত্র গত অগাস্টেছবি: AP

৫৮ মিনিটের মাথায় আরিয়েন রবেনের ক্রসে হেড করে গোল করল ফ্যান বয়টেন৷ গোমেজের গোল ৭৫ মিনিটে এবং রবেন স্বয়ং খেলা শেষ হওয়ার আর মাত্র চার মিনিট বাকি থাকতে একটি কার্লিং ফ্রি-কিকে স্কোর ৩-০-য় দাঁড় করায়৷ কিন্তু প্রথম ৫৮ মিনিট বায়ার্ন গোল করতে না পারার কারণ যে শুধু মাইঞ্জের ডিফেন্সিভ খেলা কিংবা আবহাওয়ার দুর্যোগ নয়, সেটা ফ্যান গালও ভালো করেই জানেন৷ অপরদিকে প্রতিবেশী দেশ বেলজিয়ামের ফ্যান বয়টেন এবং স্বদেশ নেদারল্যান্ডসের গোলন্দাজ আরিয়েন রবেন যে মিউনিখে এসে ভেলকি দেখাচ্ছে, তা'তে গোপনে গোপনে খুশী বৈকি ফ্যান গাল৷ বায়ার্ন এখন ৪২ পয়েন্টে, বায়ার লেভারকুজেন এবং শালকের চেয়ে এক পয়েন্ট এগিয়ে - এবং তালিকার শীর্ষে, যেখানে বায়ার্নকে দেখতে সকলে অভ্যস্ত৷

ডিফেন্স ছাড়া অফেন্সে কাজ হয় না

শালকের কাছে হফেনহাইম অতীতে জুজুবুড়ি হয়ে থাকতে পারে, কিন্তু শনিবার তার কোনো লক্ষণ দেখা যায়নি৷ প্রথমার্ধে কেভিন কুরানি এবং দ্বিতীয়ার্ধে লুকাস স্মিটসের গোলেই কাজ হয়ে গেছে: ২-০৷ সেক্ষেত্রে ব্রেমেন দেখিয়েছে ডিফেন্স ধ্বসে পড়া কা'কে বলে৷ খেলার প্রথম ১৮ মিনিটে তিনটে গোল খেয়েছে ব্রেমেন, বোরুসিয়া মোয়েনশেনগ্লাডবাখের কাছে৷ পরে আরো একটি গোল খায় ব্রেমেন৷ আপ্রাণ চেষ্টায় শেষমেষ স্কোর ৪-৩-এ দাঁড় করানো সম্ভব হয় বটে, কিন্তু সেটাও ব্রেমেনের পর পর পাঁচ নম্বর পরাজয়৷ সাধে কি স্পোর্টস ডাইরেক্টর ক্লাউস আলফস বলেছেন, ‘‘দল হিসেবে আমাদের ডিফেন্স অতীব খারাপ৷''

কোলোনের পালে হাওয়া

চোখ ধাঁধাঁনো নয়, চোখজুড়ানো খেলা দেখিয়েছে শনিবার নুরেমবার্গের সুইস স্ট্রাইকার আলবের্ট বুনিয়াকু৷ তার হ্যাটট্রিকেই নুরেমবার্গ জেতে ৩-১ গোলে, হ্যানোভারে৷ হ্যানোভারও ব্রেমেনের মতো এই নিয়ে পর পর পাঁচটি ম্যাচে হারল৷ কোলোন কিন্তু আইনট্রাক্ট ফ্রাঙ্কফুর্টকে ২-১ গোলে হারিয়ে রেলিগেশনের দুঃস্বপ্নকে অনেক পিছনে ফেলে দিয়েছে৷ ওদিকে পয়েন্টের তালিকার একেবারে তলানি হের্থা বার্লিন অনুরূপ বিপদগ্রস্ত বোখুমের সঙ্গে গোলবিহীন, কেউ বলবেন দন্তবিহীন ড্র করেছে৷

প্রতিবেদক: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী

সম্পাদনা: রিয়াজুল ইসলাম