বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ৭০ বছর
কয়েকদিন আগেই ৭০ বছর পূর্ণ হয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা ডাব্লিউএইচও-র৷ গত ৭০ বছরে বিশ্বকে কী দিয়েছে ডাব্লিউএইচও ? চলুন দেখে নেয়া যাক....
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরপরই প্রতিষ্ঠিত
১৯৪৮ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরপরই প্রতিষ্ঠিত হয় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা৷ সেদিন ছিল ৭ এপ্রিল৷ সেই হিসেবে এ মাসেই পালিত হলো জন্মদিন৷ জাতিসংঘের সদস্য দেশগুলোর অংশগ্রহণে প্রথম বিশেষ সংস্থা এটি৷
মাতৃ ও শিশু মৃত্যুহার কমানো
দুই দশক আগেও সারা বিশ্বে শিশুমৃত্যুর হার অনেক বেশি ছিল৷ ১৯৯০ সালে প্রতিদিন কমপক্ষে ৩৫ হাজার পাঁচ বছরের কম বয়সি শিশু মারা যেতো৷ ২০১৬ সালে মারা যায় ১৫ হাজারের মতো৷ মাতৃমৃত্যুহারও কমে প্রায় অর্ধেক হয়েছে৷
গড় আয়ু বেড়েছে
গড় আয়ু বৃদ্ধিতেও ভূমিকার রেখেছে ডাব্লিউএইচও৷ যদিও ইউরোপীয়দের তুলনায় আফ্রিকানদের আয়ু এখনও কুড়ি বছর কম , কিন্তু ১৯৯০ সালের তুলনায় আফ্রিকার জনগণের গড় আয়ু আট বছর বেড়েছে৷
এইডসে মৃত্যুহার কমছে
১৯৯৭ সাল থেকে এইচআইভিতে সংক্রমণের হার কমছে৷ তবে ২০০৫ এবং ২০০৬ সালে বার্ষিক মৃত্যু সর্বোচ্চ মাত্রায় পৌঁছেছিল৷ ওই সময়ে প্রতিবছর প্রতি দুই লাখ মানুষ এইডসের কারণে মানা যেতো৷ বর্তমান পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বিশ্বব্যাপী এইচআইভি ভাইরাসে সংক্রমিত মানুষের সংখ্যা ৩৬ মিলিয়ন৷
পরিষ্কার খাবার পানি পাচ্ছে অনেক বেশি মানুষ
কলেরা বা ডিপথেরিয়ার মতো রোগকে দূরে রাখার মূল চাবিকাঠি-ই হচ্ছে হচ্ছে পরিস্কার পানীয় জল৷ গত ৩০ বছরে অনিরাপদ পানি পানের কারণে মৃত্যুর হার বিশ্বব্যাপী হ্রাস পেয়েছে৷ তবে ভারতসহ বিশ্বের বেশ কিছু দেশে এখনো স্যানিটেশন ব্যবস্থার আরো উন্নতি প্রয়োজন৷ আগামীতে এ খাতে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে৷
জীবন বাঁচায় পোলিও টিকা
একসময় বিশ্বব্যাপী লক্ষ লক্ষ শিশুর জীবনের জন্য বড় হুমকি ছিল পোলিও৷ তবে পোলিও টিকা আবিষ্কারের পর থেকে চিত্র ধীরে ধীরে বদলাতে থাকে৷ পরিসংখ্যান বলছে, বিশ্বের অনেক দেশই এখন একেবারে পোলিওমুক্ত৷ ১৯৮৮ সালে সারা বিশ্বে মোট সাড়ে তিন লাখ পোলিও রোগী ছিল, ২০১৬ সালে সেই সংখ্যা কমে ৩৭ হয়েছে৷