বিশ্বের কয়েকটি ঐতিহাসিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম
ভারতে তৈরি হয়েছে বিশ্বের সব চেয়ে বড় ক্রিকেট স্টেডিয়াম। বিশ্বের ঐতিহাসিক স্টেডিয়ামগুলি এক নজরে দেখে নেওয়া যাক।
নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়াম
মেলবোর্নকে টেক্কা দিয়েছে ভারতের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়াম। সম্প্রতি ভারতের রাষ্ট্রপতি গুজরাতে স্টেডিয়ামটির উদ্বোধন করেছেন। এক লাখ ১০ হাজার মানুষ একসঙ্গে খেলা দেখতে পারবেন সেখানে। নতুন স্টেডিয়ামে প্রথম টেস্ট খেলল ভারত এবং ইংল্যান্ড। মাত্র দুই দিনে খেলা শেষ। অভিযোগ উইকেট আন্ডার প্রিপেয়ার্ড।
মেলবোর্ন স্টেডিয়াম
অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন স্টেডিয়ামে এক লাখ মানুষ একসঙ্গে খেলা দেখতে পারেন। শুধু আয়তনে নয়, ক্রিকেট ইতিহাসেও মেলবোর্নের নাম স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। বহু ঐতিহাসিক টেস্টের সাক্ষী এই ক্রিকেট স্টেডিয়াম।
ইডেন গার্ডেন্স
আয়তনের দিক থেকে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম স্টেডিয়াম কলকাতার ইডেন গার্ডেন্স। ১৮৬৪ সালে তৈরি এই ক্রিকেট স্টেডিয়াম শুধু ভারত নয়, ভারতীয় উপমহাদেশের প্রথম ক্রিকেট স্টেডিয়াম। ভারতীয় ক্রিকেটের মক্কা হিসেবেও অনেকে এই স্টেডিয়ামটিকে উল্লেখ করেন।
ঐতিহ্যের লর্ডস
আয়তনে ২৪ এ নাম লর্ডসের। কিন্তু ক্রিকেট ঐতিহ্যে এক নম্বর। টমাস লর্ড ছিলেন এই ক্রিকেট মাঠের মালিক। তবে এখন যে লর্ডসে খেলা হয়, সেটি প্রথম লর্ডস নয়। ১৭৮৭ সালে টমাস প্রথম একটি ক্রিকেট স্টেডিয়াম তৈরি করেন। এখন সেটি ওল্ড লর্ডস নামে পরিচিত। ১৮১১ সালে মাঠের পরিবর্তন হয়। দুই বছর সেখানে খেলা হয়। এখন সেই মাঠের নাম লর্ডস মিডল গ্রাউন্ড। বর্তমান স্টেডিয়ামটি তৃতীয় মাঠ। লর্ডসকে বলা হয় ক্রিকেটের মক্কা।
লন্ডনের ওভাল স্টেডিয়াম
দক্ষিণ লন্ডনের ওভাল স্টেডিয়ামে দর্শকাসন মাত্র ২৩ হাজার ৫০০। কিন্তু বিশ্বের ক্রিকেট মানচিত্রে ওভাল স্বনামধন্য। ১৮৮২ সালে এই মাঠেই প্রথম অ্যাশেজ হয়। তারপর থেকে ইংল্যান্ড এবং অস্ট্রেলিয়ার অ্যাসেজ সিরিজ পৃথিবীর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সিরিজ হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে।
বারবাডোজের কেনসিংটন ওভাল
১৮৮২ সালে তৈরি হয়েছিল বারবাডোজের কেনসিংটন ওভাল স্টেডিয়াম। ওয়েস্ট ইন্ডিজের জাতীয় খেলা ক্রিকেট। কেনসিংটন ওভালকে জাতীয় স্টেডিয়াম হিসেবে মনে করা হয়। এখানেই আছে স্যার গ্যারিফিল্ড সোবার্সের মূর্তি।
অ্যাডিলেড ওভাল
দক্ষিণ লন্ডনের ওভাল যেমন অ্যাশেজের জন্য বিখ্যাত, অস্ট্রেলিয়ার অ্যাডিলেড ওভাল তেমনই বডি লাইন সিরিজের জন্য বিখ্যাত। ১৯৩২-৩৩ সালে এই মাঠে কুখ্যাত বডিলাইন বল দেখেছিলেন দর্শকেরা। উত্তেজিত দর্শকদের মাঠ থেকে সরিয়ে নেওয়ার জন্য মাউন্টেড পুলিশ নামানো হয়েছিল।
করাচি ক্রিকেট স্টেডিয়াম
৩৪ হাজার দর্শক ধরে পাকিস্তানের জাতীয় স্টেডিয়ামে। এই স্টেডিয়ামে মাত্র দুইটি ম্যাচ হেরেছে পাকিস্তান। ইমরান থেকে আক্রম, ওয়াকার ইউনিস থেকে শোয়েব আখতার-- এই মাঠে রিভার্স সুইংয়ে কাবু করেছেন বিপক্ষের ব্যাটসম্যানদের। তবে বর্তমানে স্টেডিয়ামের অবস্থা ভালো নয়।
শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম, ঢাকা
২৫ হাজার মানুষ একসঙ্গে বসে খেলা দেখতে পারেন এই মাঠে। ৮০’র দশকে স্টেডিয়ামটি তৈরি হয়েছিল ফুটবলের জন্য। ১৯৮৭ সালে এশিয়ান ক্লাব চ্যাম্পিয়নশিপ হয়েছে এই মাঠে। ২০০৪ সালে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড মাঠটিকে ক্রিকেটের জন্য নেয়। বহু ঐতিহাসিকের ম্যাচের সাক্ষী এই স্টেডিয়াম।