বিশ্বের অন্যতম বড় গোলাপ রপ্তানিকারক দেশের কথা
বিশ্বের অন্যতম বড় গোলাপ ফুল রপ্তানিকারক দেশ কেনিয়া৷ কিন্তু এজন্য মূল্য দিতে হচ্ছে সেখানকার পরিবেশকে৷
উজ্জ্বল রঙ
কেনিয়ার লেক নাইভাসার আশেপাশের বাড়িগুলোর রঙ সেখানে প্রতিবছর ফলানো লাখো ফুলের মতোই বর্ণিল৷ এই এলাকাটি ‘আফ্রিকার ফুলের রাজ্য’ হিসেবে পরিচিত৷ রাজধানী নাইরোবির উত্তরে এর অবস্থান৷ এলাকাটি থেকে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে গোলাপ ফুল, জিনিয়া এবং অন্যান্য শীতকালীন ফুল রপ্তানি হয়৷ দেশের অর্থনীতিতে বড় ভূমিকা রয়েছে এই ফুলের৷ কিন্তু এর একটা অন্ধকার দিকও রয়েছে৷
ফুল বনাম মাছ
২০০৯ সালে এই লেকটি প্রায় মরে যেতে বসেছিল৷ ফলে একেবারে মাছ শূন্য হয়ে পড়েছিল এটি৷ ফুলের খামারগুলো গড়ে ওঠার পর গ্রিন হাউজগুলোতে এই লেক থেকে পানি সরবরাহ করা হতো৷ তার ফলেই এ অবস্থা বলে জানালেন স্থানীয়রা৷ এরপর আবারও লেকে পানি এনে সেখানে মাছ চাষ করে আগের অবস্থা ফিরিয়ে আনতে পুরো এক বছর সময় লেগেছিল৷
গ্রিনহাউজে গণ্ডগোল
২০০৯ সালের পর ফুলের খামারগুলোতে অনেক বিধিনিষেধ জারি করা হয়৷ কিন্তু মাছ ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, খামার মালিকরা সেইসব নিয়ম-নীতি ঠিকমতো মানেন না৷ তাদের মতে, খামারের অনেক রাসায়নিক লেকের পানিতে গিয়ে মেশে৷ কোম্পানি মালিকরা বিষয়টি অস্বীকার করলেও ডয়চে ভেলের সাংবাদিকদের তারা গ্রিন হাউজে প্রবেশের অনুমতি দেননি৷
পরিবেশবান্ধব উপায়
ডয়চে ভেলে ওজেরিয়ান নামে একটি খামারে প্রবেশের অনুমতি পেয়েছিল৷ জার্মানির আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা জিআইজেড সেখানে পরামর্শ দিয়ে থাকে, কীভাবে তারা পরিবেশবান্ধব উপায়ে ফুল উৎপাদন করতে পারে৷ তবে ওই খামারের মালিক জানান, তারা বর্জ্য পদার্থ লেকে ফেলেন না, বরং সেগুলো পুনর্ব্যবহার করেন৷
গুবড়ে পোকা
এসব ফুলের খামারে কাজ করেন অন্তত ছয় হাজার মানুষ৷ খামারে ব্যবহার করা হয় কীটনাশক৷ কিন্তু ওজেরিয়ান খামারের মতো কয়েকটি খামারে গুবড়ে পোকা বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করা হয়৷ গুবড়ে পোকা ক্ষতিকারক পোকা-মাকড় খেয়ে ফেলে৷
কেনিয়ার গোলাপের কদর
ইউরোপের এক তৃতীয়াংশ গোলাপ আমদানি হয় কেনিয়া থেকে৷ বেশিরভাগ হয় জার্মানিতে এবং যুক্তরাজ্যে৷ তবে ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাইরে যুক্তরাষ্ট্রেও এর কদর রয়েছে৷